নাঈম ইসলাম সাধারণত যা করেন, সেটিই করছিলেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে ঢাকা মহানগরের লিডটা বাড়াচ্ছিলেন। প্রথম ইনিংসেও ২১২ বল খেলে করেছিলেন ৬৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও ঠিক একই ধাঁচে খেলে ৪৪ রান করে ফেলেছিলেন, লিড হয়ে গিয়েছিল ২০৪ রান।
তবে মহানগরের সেই লিড আর বাড়তে দেননি সিলেট বিভাগের পেসার রেজাউর রহমান। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে ৭৫তম ওভার করছিলেন রেজাউর, দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে শহিদুল ইসলামকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন নাঈম। পরের বলেই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে কট বিহাইন্ড হন শহিদুল।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা কাজী অনিকও একই ভুল করলেন। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কিপার জাকের আলীকে ক্যাচ দেন তিনি। হ্যাটট্রিক বলে লেংথ কমিয়ে আনেন রেজাউর, লাইনও ঠিক চতুর্থ স্টাম্প বরাবর। তাতেই কট বিহাইন্ড আরিফ আহমেদ। রেজাউর মাতেন হ্যাটট্রিকের উদ্যাপনে, যাতে যোগ দেয় পুরো সিলেট দল। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণিতে এটি ১৮তম হ্যাটট্রিক, ২০২১-২২ মৌসুমের পর জাতীয় লিগে প্রথম।
দুই দলের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয় রেজাউরের হ্যাটট্রিকেই। ২১২ রানে অলআউট হওয়া ঢাকা মহানগরকে হারাতে হলে শেষ দিনে চতুর্থ ইনিংসে সিলেটকে করতে হবে ২০৫ রান। হ্যাটট্রিকসহ সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন রেজাউর, ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহানুর রহমান।
এর আগে সাদমান ইসলাম (৫৬) ও নাঈম হাসানের (৬৫) ফিফটিতে মহানগর প্রথম ইনিংসে ২৪৩ রান করে। জবাবে জাকির হাসানের (১০৪) সেঞ্চুরি ও জাকের আলীর (৫৫) ফিফটিতে ২৫১ রান করে সিলেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ৩১১ রানের লিড নিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। আজ চট্টগ্রাম তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান করেছে। ফিফটি করেছেন ইয়াসির আলী (৭৪), শামীম হোসেন (৬৭) ও নাঈম হাসান (৫১)। বরিশালের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগকে ২৩ রানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। রংপুরের ১৫২ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১২৮ রানে অলআউট হয়েছে রংপুর। পেসার এনামুল হক ৭.২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন। সালাউদ্দিন শাকিল ৩টি ও সুমন খান ২টি উইকেট নিয়েছেন। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা রনি তালুকদার।
ওদিকে ঘরের মাঠে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে রাজশাহী বিভাগ। খুলনার ৫৪২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে গেছে রাজশাহী। এর আগে ৮৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করা খুলনার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১২৫ রান। তাঁর অপরাজিত ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা।