ডুসেনের ব্যাটে বিশ্বকাপের ২০০তম সেঞ্চুরি
১৯৭৫ সালের ৭ জুন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্মদিন। ইংলিশ গ্রীষ্মের সেই দিনটায় একসঙ্গে শুরু হয়েছিল চারটি ম্যাচ। সেই প্রথম দিনেই দুই-দুইটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যায় বিশ্বকাপ। তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিস ও নিউজিল্যান্ডের গ্লেন টার্নার।
তবে ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরির মতো বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিটিও নিজের করে নিয়েছিলেন ইংলিশ ওপেনার অ্যামিস। ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে অ্যামিস সেঞ্চুরি করার কিছু সময় পর এজবাস্টনে ইস্ট আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কিউই ব্যাটসম্যান টার্নার।
৪৮ বছর পর আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করে ফেলল বিশ্বকাপের সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের ‘২০০’তম সেঞ্চুরিটির মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার রেসি ফন ডার ডুসেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফন ডার ডুসেন সেঞ্চুরি ছোঁয়ার কিছুক্ষণ আগেই ১৯৯তম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন তাঁর সতীর্থ কুইন্টন ডি কক। ডি কক ফিরেছেন ঠিক ১০০ করে, আর ডুসেন ১০৮ রান করে। পরে ২০১তম সেঞ্চুরিটি করার পথে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ডুসেনের আরেক সতীর্থ এইডেন মার্করাম (৪৯ বল)।
এবার ভারত বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৯৬ সেঞ্চুরি নিয়ে। আহমেদাবাদে উদ্বোধনী ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে সংখ্যাটাকে ১৯৮-এ নিয়ে যান নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। এরপর এক ইনিংসেই তিন সেঞ্চুরি করে প্রোটিয়ারা সংখ্যাটাকে নিয়ে গেল ২ শর ওপরে।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি
১৯৭৫ সালে প্রথম দিনেই সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বিশ্বকাপ সেঞ্চুরির ‘ফিফটি’ করে ১৯৯৬ সালে। চেন্নাইয়ের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বকাপের ৫০তম সেঞ্চুরিটি আসে অস্ট্রেলীয় ওপেনার মার্ক ওয়াহর ব্যাট থেকে।
বিশ্বকাপে কোন দলের কত সেঞ্চুরি (শীর্ষ পাঁচ)
১ থেকে ৫০-এ পৌঁছাতে ২১ বছর ও ছয়টি বিশ্বকাপ লাগলেও ১১ বছর পরই সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি পেয়ে যায় বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালে গ্রেনাডায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শততম সেঞ্চুরিটি করেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ম্যাথু হেইডেন।
আট বছর পর ২০১৫ সালে ১৫০তম সেঞ্চুরি দেখে বিশ্বকাপ। হোবার্টে সেবার মাইলফলকটি ধরা দেয় জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাটে। টেলরের ১৫০ ছোঁয়ার আট বছর পর আজ ‘২০০’ পেয়ে গেল বিশ্বকাপ।