মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে ‘এ’ দলের ড্র
জিততে হলে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। চতুর্থ ইনিংসে ৪৬১ রান তাড়া করতে নামা ‘এ’ দলের শেষ দিনে দরকার ছিল ৪১৪ রান। আর ম্যাচ বাঁচাতে হলে ব্যাট করতে হতো সারা দিন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ চার দিনের ম্যাচে দ্বিতীয়টি করতে পেরেছে স্বাগতিকেরা। মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংস। জাকির হাসান, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী ও শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে মাহমুদুলের ছোট ছোট জুটিতে হার এড়িয়েছে ‘এ’ দল।
গতকাল শেষ বেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিশাল লক্ষ্যের জবাবে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষে ৪৭ রান করে সাইফ হাসানের দল। আজ সকালে দুই ওপেনার মাহমুদুল ও জাকিরের উদ্বোধনী জুটিকে নিয়ে যান ৯৩ রানে। জাকির ৯৫ বলে ৪৩ রান করে আউট হন কেভিন সিনক্লেয়ারের অফ স্পিনে। তিনে নামা আরেক বাঁহাতি মুমিনুল হকের ইনিংসও দীর্ঘ হতে দেননি সিনক্লেয়ার। ৫ রান করে আউট হন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক।
দ্রুত ২ উইকেট হারালেও পথ হারাননি মাহমুদুল। অধিনায়ক সাইফের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। সাইফ ৪৯ বলে ৩৮ রান করে আকিম জর্ডানের বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন। ইয়াসির অবশ্য সাইফের শূন্যতা পুষিয়ে দেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। ৮৫ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাহমুদুলের সঙ্গে ইয়াসিরের ১১৭ রানের জুটিতে ক্যারিবীয়দের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসে।
সিনক্লেয়ারের বলে ইয়াসির বোল্ড হলেও দাঁড়িয়ে যান শাহাদাত হোসেন। ৩৯ বলে ২০ রান করে মাহমুদুলকে সঙ্গ দেন এই ডানহাতি। ৯১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ রানের স্কোর থাকার সময় ড্র হয় ম্যাচটি। বাংলাদেশ ইনিংসের পুরো ৯১ ওভার ক্রিজে ছিলেন মাহমুদুল। বল খেলেছেন ২৬৮টি, তাঁর ১১৪ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ১৪টি। এটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাহমুদুলের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানে অলআউট হয়। জবাবে আরও একবার ব্যাটিং–ব্যর্থতার প্রদর্শনী দেখা যায় স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২০৫ রানে থামে সাইফদের প্রথম ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের সামনে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ফলোঅন করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা না করে আবার ব্যাটিং করে তারা, ৫ উইকেটে ২২০ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ক্যারিবীয়রা। এতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬১ রান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ড্র হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় পায় ক্যারিবীয়রা। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজটি ১-০ ব্যবধানে জিতল জশুয়া দা সিলভার দল।