ইনিংস ব্যবধানে হারেনি আইরিশরা
ইংল্যান্ডের জয় অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন তৃতীয় দিনে বেন স্টোকসের দল জিতবে ইনিংস ব্যবধানেই। তবে চার দিনের এই টেস্ট ইংল্যান্ড জিতেছে ঠিকই, কিন্তু ইনিংস ব্যবধানে নয়। লর্ডসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ইংল্যান্ডের জয় ১০ উইকেটে।
৩৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা আইরিশরা ৩৬২ রান তুলে ইংলিশদের ১১ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। লক্ষ্যটা ৪ বলেই ছুঁয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ৩টি চার মেরে দলকে জিতিয়ে দেন জ্যাক ক্রলি। এই নিয়ে ‘বাজবল’ খেলে ১৩ টেস্টের ১১টিতেই জিতল ইংল্যান্ড।
ইনিংস হার এড়ানো আয়ারল্যান্ডও দারুণ লড়াই করেছে। এই লড়াইয়ে আইরিশদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও মার্ক অ্যাডাইর। ১৬২ রানে ৬ উইকেট হারানো আইরিশদের মান বাঁচান এই দুই ব্যাটসম্যান। দুজনে গড়েন ১৬৩ রানের জুটি, সেটিও সেই বাজবলের ঢংয়ে—১৬৫ বলে। ম্যাকব্রাইন ও অ্যাডাইর—দুজনের সামনেই ছিল লর্ডসে সেঞ্চুরি করার সুযোগ।
তবে দলীয় ৩২৫ রানে ম্যাথু পটসের বলে সেঞ্চুরির ১২ রান আগে ফিরতে হয়েছে অ্যাডাইরকে। ৭৬ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে ইংলিশ বোলারদের ভালোই ভুগিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ম্যাকব্রাইন অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে, সঙ্গীর অভাবে লর্ডসের আকাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিটা পাননি এই অলরাউন্ডার। চোটের কারণে ১২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া ওপেনার জেমস ম্যাককলাম আর নামতে পারেননি। তিনি নামতে পারলেও হয়তো সেঞ্চুরির আক্ষেপ মিটত ম্যাকব্রাইনের।
২৫৫ রান, হাতে ৭ উইকেট— ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে এই সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। ৩ উইকেটে ৯৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড এদিন শুরুতেই হারায় লরকান টাকারকে। এরপর ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি হ্যারি টেক্টর , কার্টিস ক্যাম্ফারও। তবে এরপরই দুর্দান্ত জুটি গড়েন ম্যাকব্রাইন ও অ্যাডাইর। অন্যদিকে বল হাতে প্রথম পরীক্ষাটায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন ইংলিশ পেসার জশ টাং।
লর্ডসে অভিষেক টেস্টেই নিয়েছেন ৫ উইকেট। সুযোগ পেয়েছেন অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টের দলেও।
এর আগে প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডকে ১৭২ রানে গুটিয়ে দিয়ে পোপ, বেন ডাকেটদের ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড গড়ে রানের পাহাড়। পোপের ডাবল সেঞ্চুরি আর বেন ডাকেটের বড় সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেট ৫২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন বেন স্টোকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড: ১৭২ ও ৮৬.২ ওভারে ৩৬২ (অ্যাডাইর ৮৮, ম্যাকব্রাইন ৮৬*; টাং ৫/৬৬)।
ইংল্যান্ড: ৫২৪/৪ ডি. ও ১২/০ (ক্রলি ১২*)।
ফল: ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ওলি পোপ।