জয় শাহকে নাজাম শেঠির দেওয়া খোঁচার জবাবে যে বক্তব্য এসিসির
বৃহস্পতিবার এসিসি আগামী দুই বছরের জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি)র প্রতিযোগিতাগুলোর বিস্তারিত সূচি প্রকাশ করেছে। সেই সূচি নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও টুইট করে জানিয়ে দেন এসিসি সভাপতি জয় শাহ। তবে পাল্টা টুইটে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজাম শেঠি জানান, একতরফাভাবে এই সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
জয় শাহকে কটাক্ষ করে সেই টুইটে নাজাম লিখেছেন, ‘আপনি আমাদের পিএসএল ২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার ও কাঠামোও উপস্থান করতে পারেন।’
তবে আজ নাজাম শেঠির এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছে এসিসি। সে সঙ্গে একতরফাভাবে সূচি ঘোষণার যে অভিযোগ, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে সংস্থাটি। এসিসির দাবি, ২২ ডিসেম্বর মেইল পাঠিয়ে এই সূচির ব্যাপারে পিসিবিকে অবহিত করা হয়েছিল। তবে পিসিবি সেই মেইলের কোনো জবাব দেয়নি।
এক বিবৃতিতে এসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা জেনেছি পিসিবির চেয়ারম্যান মন্তব্য করেছেন যে এসিসি প্রেসিডেন্ট একতরফাভাবে সূচি ঠিক করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন। এসিসি এটা স্পষ্ট করতে চায় যে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই এটা ঠিক করা হয়েছে। এই ক্যালেন্ডারটি উন্নয়ন কমিটি এবং অর্থ ও বিপণন কিমিটি ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বরের বৈঠকে অনুমোদন করেছিল।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ক্যালেন্ডার অংশগ্রহণকারী সব সদস্যকে একটি মেইলের মাধ্যমে আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ছিল। যেখানে কয়েকটি বোর্ড সদস্যের প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গিয়েছিল, তবে পিসিবি থেকে কোনো মন্তব্য বা পরিবর্তনের প্রস্তাব আসেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনাব শেঠির করা মন্তব্য ভিত্তিহীন, যা এসিসি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’
এসিসির যে কমিটি এই সূচি অনুমোদন করেছে. সেখানে পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি নেই। আর যেদিন মেইলটি পাঠানোর দাবি করা হচ্ছে, সেদিন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে চলছিল মসনদ বদলের উত্তাপ। সেদিনই পিসিবি চেয়ারম্যানের পদ থেকে রমিজ রাজাকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আসেন নাজাম শেঠি।
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস টককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাজাম বলেছেন, ‘আমি রাগান্বিত না, তবে বিভ্রান্ত। তারা আমাদের একটা ফোন দিতে পারত। আলাপ করতে পারত। একতরফাভাবে এটা করা ভালো না, যখন এর জন্য একটি কাউন্সিল আছে।’