সম্প্রচার শেষ ১৩ জুন ২০২৪

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

১৮: ৪০ , জুন ১৩

নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জয়

এ ম্যাচটিকে বলা হচ্ছিল সুপার এইটে ওঠার সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে, পরের পর্বে যাওয়ার কাজ সহজ হয়ে আসবে অনেকটাই। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেটিই করেছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে কীভাবে নেদারল্যান্ডসকে হারাল বাংলাদেশ, সেটি পড়ুন নিচে—

১৩: ৪০ , জুন ১৩

কিংসটাউনে সামনে নেদারল্যান্ডস, হাতছানি সুপার এইট

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে হাতের মুঠোয় থেকে বেরিয়ে যাওয়া জয়। এবার সামনে নেদারল্যান্ডস। হাতছানি সুপার এইটের। এ ম্যাচে জিতলে সুপার এইটের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অনেকটাই। তবে প্রায় একই সমীকরণ নেদারল্যান্ডসের সামনেও। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে সেই ডাচদের মুখোমুখি নাজমুল হোসেনের দল। কিছুক্ষণ পরই হবে টস। প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!

১৩: ৪২ , জুন ১৩

চাপ? 

নাজমূল আবেদীনের বিশ্লেষণ

ডাচরাও যে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, সেটি নিয়ে কোনো সংশয় নেই। দলটা মানসিক দিক দিয়ে বেশ শক্তিশালী। হয়তো বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত খেলার অভিজ্ঞতা নেই, তবে গুছিয়ে খেলে। টপ অর্ডারে ম্যাক্স ও’ডাউড নেপালের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছে, বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গলের বোলিংও ভালো লেগেছে। শেষ যে কবার তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তাতে খুব একটা সুখকর নয়। অবশ্যই তাদের হালকাভাবে বাংলাদেশ নেবেও না। তারাও জানে, হারাতে গেলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তবে ওপরের সারির ও তুলনামূলক অভিজ্ঞ দল হিসেবে চাপটা বাংলাদেশের ওপরই বেশি থাকবে।
আরও পড়ুন
১৩: ৪৬ , জুন ১৩

কিংসটাউনে সুখস্মৃতি

দেশের বাইরে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় এসেছিল কিংসটাউনের এ মাঠ আর্নস ভেল গ্রাউন্ডেই। ২০০৯ সালে সে ম্যাচে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ইনিংসে ৬.৩ ওভার বোলিংয়ের পর উঠে যান মাশরাফি, বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। দ্বিতীয়সারির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৯৫ রানে। বিশ্বকাপের এ ম্যাচ দিয়ে ১০ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে এ মাঠে।

১৩: ৪৯ , জুন ১৩

এবং ডাচ দুঃস্মৃতি 

৪-৩
ডাচদের বিপক্ষে চারটি জয়ের বিপরীতে তিনটি হার আছে বাংলাদেশের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে)

সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে ইডেন গার্ডেনসে হেরেছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটি জিতেছিল ৯ রানে। দুই দলের তার আগের ম্যাচটি ছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, সেবার ৮ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। সীমিত ওভারে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বাংলাদেশের রেকর্ড ৪-৩।

১৪: ০৩ , জুন ১৩

বৃষ্টি

টসের কিছুক্ষণ আগে নেমেছে বৃষ্টি। ফলে পিছিয়ে গেছে সেটি।

১৪: ২৫ , জুন ১৩

৮-৩০ মিনিটে টস

থেমেছে বৃষ্টি, বাংলাদেশ সময় রাত ৮-৩০ মিনিটে হবে টস। রাত ৮-৪৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা (অবশ্যই যদি আর বৃষ্টি না হয়)।

১৪: ২৭ , জুন ১৩

নজর রাখছে শ্রীলঙ্কাও

দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের কাছে হারের পর নেপালের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়াতে সুতোর ওপর ঝুলছে শ্রীলঙ্কার ভাগ্য। সুপার এইটের স্বপ্ন লঙ্কানদের বেঁচে থাকবে শুধু এ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে।

১৪: ৩১ , জুন ১৩

টস

টসে জিতেছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ‘অজানা’ কন্ডিশনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত তাঁর। নতুন বলে একটু সতর্ক থাকতে হবে, মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।

১৪: ৩২ , জুন ১৩

অপরিবর্তিত বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হারা ম্যাচের একাদশ থেকে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ

তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান।

১৪: ৩৭ , জুন ১৩

নেদারল্যান্ডসে একটি পরিবর্তন

ব্যাটসম্যান তেয়া নিদামাউনুরুর জায়গায় ফেরানো হয়েছে অফ স্পিনার আরিয়ান দত্তকে। ফলে বাড়তি একজন বোলারকে নিয়ে নামছে তারা।

নেদারল্যান্ডস একাদশ

মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিত সিং, সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট, বাস ডি লিডি, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), আরিয়ান দত্ত, লোগান ফন বিক, টিম প্রিঙ্গল, পল ফন মিকেরেন ও ভিভিয়ান কিংমা।

১৪: ৫৩ , জুন ১৩

সতর্ক শুরু

প্রথম দুই বল ডট হওয়ার পর তৃতীয় বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তানজিদ, সফল হননি। চতুর্থ বলে বাড়তি বাউন্সের আভাস মিলেছে, ভিভিয়ান কিংমার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলটি উঠেছিল বেশ ওপরে। চতুর্থ বলে নাজমুলের একটি সিঙ্গেলই হয়ে থেকেছে প্রথম ওভারে ব্যাট থেকে আসা একমাত্র রান। ১ ওভারে ৩/০।

১৪: ৫৬ , জুন ১৩

ওপেনিং জুটি টিকল ৮ বল

৩, ৯, ১
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি

দুই ওপেনারই বাঁহাতি, তাঁদের সামনে দ্বিতীয় ওভারে আনা হয়েছে অফ স্পিনার আরিয়ান দত্তকে, যিনি এ ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন। তাঁর দ্বিতীয় বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, টপ অর্ডারের গল্পটা বদলাচ্ছে না আজও। ৩ বলে ১ রান করে ফিরেছেন নাজমুল, আজও রানের দেখা পেলেন না তিনি। বাংলাদেশ ৩/১, ১.২ ওভার।

১৫: ০৭ , জুন ১৩

ঘটনাবহুল ওভারে ১৮ রান

প্রথম ৮ বলে ০ রান ছিল তানজিদের। নবম বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিং ছিল না, তবে মিড অন কোনোমতে পার করাতে পেরেছিলেন বলে বিপদ ঘটেনি। লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল পেয়ে এরপর প্রথম বাউন্ডারিটি মারেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। পরের শটে অবশ্য নিয়ন্ত্রণ আর টাইমিং দুটিই ভালো ছিল, সামনে এসে কাভারের ওপর দিয়ে মেরেছেন ইনিংসে প্রথম ছক্কা। এরপর খেলা বন্ধ থেকেছে কিছুক্ষণ। শর্ট বলে টপ-এজড হয়েছিল, সেটি অবশ্য পেছনে যায়নি, ওপরেও ওঠেনি। বল আটকে গেছে তানজিদের হেলমেটের গ্রিলে। নিয়ম অনুযায়ী কনকাশন-পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তানজিদকে। সে বিরতির পর কাট করে চার মেরেছেন তানজিদ। কিংমার করা তৃতীয় ওভারে এসেছে ১৮ রান, সবকটিই তানজিদের ব্যাটে। ৩ ওভারে ২৩/০।

১৫: ১১ , জুন ১৩

সেই এঙ্গেলব্রেখটে থামলেন লিটন

২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার সময় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ক্যাচের জন্য স্মরণীয় ছিলেন সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট। এখন তিনি নেদারল্যান্ডসের। সেন্ট ভিনসেন্টে দেখা গেল যেন সেই ১৬ বছর আগের ফিল্ডার এঙ্গেলব্রেখটকেই! আরিয়ানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন লিটন। স্কয়ার লিগের দিক থেকে মিডউইকেটের দিকে ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন এঙ্গেলব্রেখট। দারুণ একটি ওভারের পর বাংলাদেশ হারিয়েছে আরেকটি উইকেট। ২৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল তারা, দুটিই নিলেন এঙ্গেলব্রেখট। ৪ ওভারে ৩০/২।

১৫: ১৮ , জুন ১৩

আজ কি সাকিবের দিন?

অনুশীলনে আজ এমন রূপে দেখা গেছে সাকিবকে
আইসিসি

ব্যাটিং বা বোলিং—সাকিবকে ঠিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পঞ্চম ওভারে আসা পল ফন মিকেরেনকে কাভার ড্রাইভে চার মেরেছেন সাকিব। প্রথম ৭ বলে ৭ রান তাঁর। ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে মিডল অর্ডারে সাকিবের ব্যাটিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আজ পারবেন সাকিব? ৫ ওভারে ৩৫/২।

নাজমূল আবেদীনের বিশ্লেষণ

সাকিব আল হাসানের ফর্ম নিয়েও কথা হচ্ছে, সেটিই স্বাভাবিক। দীর্ঘ দিন শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করে আসা একজনের দলের জন্য অবদান রাখতে না পারার ব্যাপারটা চোখে পড়ার মতোই। তবে আমার বিশ্বাস, সে নিজেও এটি নিয়ে কাজ করছে এবং ফেরার পথ খুঁজছে। হয়তো শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভালো করেনি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, খুব দ্রুতই আমরা সেই চেনা সাকিবকে ফিরে পাব।
১৫: ২২ , জুন ১৩

পাওয়ারপ্লেতে ৫৪

অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে চার। এরপর কাট করে আরেকটি। লোগান ফন বিকের ওপর চড়াও সাকিব। পঞ্চম বলে ফন বিক করেছিলেন শর্ট, আগের দুই ম্যাচে যে লেংথের বলে আউট হয়েছিলেন সাকিব। এবার অবশ্য ভাগ্যকে পাশে পেয়েছেন সাকিব, টপ এজ গেছে ফাইন লেগ দিয়ে। শেষ বলে আউটসাইড-এজে পেয়েছেন আরেকটি চার। ষষ্ঠ ওভারে এসেছে চারটি চার। সাকিব ১৩ বলে ২৫, বাংলাদেশ ৬ ওভারে ৫৪/২।

১৫: ৩১ , জুন ১৩

২ ওভারে ৩১, এরপর ৪

পাওয়ারপ্লের মধ্যে ও পরে মিলিয়ে শেষ ২ ওভারে এসেছিল ৩১ রান, চার ছিল ছয়টি। এখন পর্যন্ত ২ উইকেট নেওয়া আরিয়ান এসে রানের গতিটা টেনে ধরেছেন। অষ্টম ওভারে তাঁর কাছ থেকে ৪ রান নিতে পেরেছেন সাকিব ও তানজিদ, এর মধ্যে একটি ছিল ওয়াইড। ৮ ওভারে ৭০/২।

১৫: ৩৬ , জুন ১৩

শর্ট বলে থামলেন তানজিদ

এ মাঠের পাশেই সমুদ্র, গ্যালারির মাঝেও ফাঁকা জায়গা। ফলে বাতাসের গতি ভালোই। যেদিকে বাতাসের প্রবাহ, পল ফন মিকেরেনকে তার উল্টো দিকে তুলে মেরেছিলেন তানজিদ। তবে শর্ট বলে খেলা তাঁর পুল এগোয়নি খুব একটা। মিডউইকেট সীমানার বেশ আগেই বাস ডি লিডির হাতে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশি ওপেনার। ২৬ বলে ৩৫ রানে থেমেছেন তিনি, ৩২ বলে ৪৮ রানে থেমেছে সাকিবের সঙ্গে জুটি।

১৫: ৪০ , জুন ১৩

১০ ওভার শেষ

৭ ওভারে ৬৬। এরপর ৩ ওভারে এল ১০ রান, সঙ্গে তানজিদের উইকেট। ১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭৬/৩।

১৫: ৫৪ , জুন ১৩

হৃদয় বোল্ড

মাঝে ২৭ বলের বাউন্ডারি-খরা কাটিয়েছিলেন সাকিব। আরিয়ান দত্ত এরপর শেষ করেছেন তাঁর ৪ ওভার, ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে। এরপর সফল টিম প্রিঙ্গল। এ বাঁহাতি স্পিনার করেছেন আন্ডার-কাট, সিমের অবস্থান এমন ছিল যাতে বল পিচে পড়ে পেটের ওপর। পড়ার পর নিচু হওয়া বলে জায়গায় বানিয়ে কাট করতে গিয়েছিলেন হৃদয়। তবে ব্যাটে লেগে বল ঢুকেছে স্টাম্পে। ১৫ বলে ৯ রান করে বোল্ড হৃদয়!

১৬: ০৮ , জুন ১৩

নেমেই ব্যাটিং সহজ নয় যেখানে

তানজিদ প্রথম ৮ বলে রান করতে পারেননি কোনো। সাকিব প্রথম ৭ বলে করেছিলেন ৭ রান। মাহমুদউল্লাহ প্রথম ১৩ বলে ৭ রান। নেমেই শট খেলা সহজ নয় এখানে, অন্তত বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের প্যাটার্ন দেখে মনে হচ্ছে সেটিই। অবশেষে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে-বলে হয়েছে! স্লটে পেয়ে লং অনের ওপর দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। ১৪ বলে এখন ১৩ রান তাঁর। ১৬ ওভারে ১১২/৪।

১৬: ১৪ , জুন ১৩

সাকিবের ফিফটি

২০২২ সালে বিশ্বকাপের আগে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। এরপর ২০ ইনিংস ফিফটির দেখা পাননি তিনি। অবশেষে সেটির দেখা পেলেন তিনি। ক্যারিয়ারে ১৩তম ফিফটিতে যেতে তাঁর লেগেছে ৩৮ বল। কাজ বাকি, সাকিব জানেন সেটি।

১৬: ১৭ , জুন ১৩

আবার এক মিটারের আক্ষেপ মাহমুদউল্লাহর

মিটারখানেক! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সে আক্ষেপে পুড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আজ ঠিক দলের জয়-পরাজয় ঝুলছে এমন অবস্থা নয়। তবে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন সেভাবেই। ফন মিকেরেনের শর্ট বলে পুল করেছিলেন, ডিপ মিডউইকেটে এঙ্গেলব্রেখটের হাতে ধরা পড়েছেন ২১ বলে ২৫ রান করে। ১৮ ওভারে ১৩৩/৫।

১৬: ২৭ , জুন ১৩

সাকিব ৬৪*, বাংলাদেশ ১৫৯

২০ ইনিংস পর ফিফটি পেয়েছেন সাকিব
বিসিবি

১৯তম ওভারে জাকের আলী মেরেছেন ৩ চার। সে ওভারে আসে ১৪ রান। ২০তম ওভারে সাকিব তুলেছেন ১২ রান। বাংলাদেশ গেছে ১৫৯ রান পর্যন্ত। ৪৬ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব, জাকের ৭ বলে করেন ১৪ রান।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারায় ২৩ রানের মধ্যে। তবে তানজিদ ও সাকিবের ৪৮ রানের জুটিতে সে চাপ বাংলাদেশ সামাল দেয় ভালোভাবেই। ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধরে রেখেছিলেন মূলত সাকিবই। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও জাকেরের ক্যামিওতে বাংলাদেশ পেয়েছে বেশ ভালো একটা সংগ্রহই। এ পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন নয় মোটেও। তবে মাঠের বাতাস তো আছেই, গতির বৈচিত্রও কাজে দিচ্ছে।

১৬: ৪২ , জুন ১৩

মোস্তাফিজে শুরু

পিচের ধরনটিই এমন। মোস্তাফিজুর রহমান তাই এসেছেন প্রথম ওভার করতেই। এমনিতেই ম্যাক্স ও’ডাউড ইনিংস গড়তে সময় নেন। তৃতীয় বলে প্রথম চারটি মেরেছেন মাইকেল লেভিট। ১ ওভারে ৫/০।

১৬: ৫১ , জুন ১৩

তাসকিনের ঘটনাবহুল ওভার

প্রথম বলে কট বিহাইন্ডের আবেদন। পরের বলে পায়ের কাছে পেয়ে ঘুরিয়ে ছক্কা লেভিটের। তৃতীয় বলে এসেছিল রানআউটের সুযোগ। জাকেরের সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভাঙার আগে ক্রিজে ঢুকেছেন লেভিট, তবে সেটি ঠিক বড় ব্যবধানে নয়। আল্ট্রা-এজে পরে দেখিয়েছে, কট বিহাইন্ডের আবেদন যে বলে হয়েছিল, সেটি লেগেছিল লেভিটের থাই প্যাডে। শেষ পর্যন্ত তিনি অক্ষত। ৩ ওভারে ১৭/০।

১৬: ৫৬ , জুন ১৩

প্রথম আঘাত তাসকিনের

প্রথম ৪ ওভারে আনা হয়েছে চার জন বোলারকে। সফল হননি কেউই। নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন তাসকিন। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে কাভারের ওপর ক্যাচ তোলেন লেভিট। সময় নিয়ে সহজ ক্যাচ নিতে ভুল করেননি হৃদয়। নেদারল্যান্ডস প্রথম উইকেট হারিয়েছে ২২ রানে, ১৬ বলে ১৮ রান করে থেমেছেন লেভিট।

১৭: ০৩ , জুন ১৩

সফল তানজিমও

দ্বিতীয় বলে দারুণ ড্রাইভে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন ম্যাক্স ও’ডাউড। এক বল পর টেনে মেরেছিলেন। দারুণ রিফ্লেক্সে ফিরতি ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ২ উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস।

১৭: ০৪ , জুন ১৩

পাওয়ারপ্লে শেষে বাংলাদেশও

হারিয়েছিল ২ উইকেট। তবে উঠেছিল ৫৪ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে এঙ্গেলব্রেখটের মারা চারের পর ডাচদের স্কোর প্রথম ৬ ওভারে ৩৬/২।

১৭: ০৯ , জুন ১৩

নেদারল্যান্ডসের ৫০

পাওয়ারপ্লে শেষ। কিন্তু তাতে বিক্রমজিত সিংয়ের কিছু যায় আসেনি। সাকিবকে টানা দুটি স্লগ সুইপে ছক্কায় শেষ করেছেন সপ্তম ওভার। ওই দুই ছক্কায় ৫০ পূর্ণ হয়েছে।

১৭: ১৬ , জুন ১৩

নেদারল্যান্ডসের লক্ষ্য যখন ১৬০

বিশ্বকাপে ১৬০ বা এর বেশি রান তাড়া করে নেদারল্যান্ডস জিতেছে দুবার, সর্বশেষ ২০১৪ সালে।

নেদারল্যান্ডসের সে ম্যাচটি ছিল স্মরণীয়। সুপার টেনে যেতে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য ১৪.২ ওভারে পেরোতে হতো তাদের। সেটি তারা পেরিয়েছিল ১৩.৫ ওভারেই।

সেন ভিনসেন্টে উইকেট হারালেও বড় শট খেলা থামায়নি নেদারল্যান্ডস। মাঝে মোস্তাফিজের ওভারে মাত্র ৪ রান এলেও রিশাদের করা নবম ওভারে এসেছে ১৪ রান। ৯ ওভারে ৬৮/২, এ সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৭৩/৩।

১৭: ১৯ , জুন ১৩

মাহমুদউল্লাহর ব্রেকথ্রু

সুপার এইটে যাওয়ার স্বপ্ন লঙ্কানদের বেঁচে থাকত শুধু এ ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই। তবে নেদারল্যান্ডস ইনিংসেও ৫ ওভার হয়ে যাওয়ার পর এ ম্যাচে ফল ২৩ বলে ৩৭ রানের জুটি ভাঙল ১৬ বলে ২৬ রান করা বিক্রমের উইকেটে।

১৭: ২১ , জুন ১৩

১০ ওভারশেষে

বাংলাদেশ ৭৬/৩।

নেদারল্যান্ডস ৭৪/৩।

১৭: ৪১ , জুন ১৩

এগিয়ে নেদারল্যান্ডসই

বাউন্ডারি আসছে নিয়মিত। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট দারুণ। এডওয়ার্ডস ও এঙ্গেলব্রেখটের জুটি হতাশ করে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। ৩৬ বলে দরকার ৫৬ রান। বাকি ৭ উইকেট। ফেবারিট নেদারল্যান্ডসই।

১৭: ৪৩ , জুন ১৩

এবং ব্রেকথ্রু

এর আগপর্যন্ত রিশাদ আহমেদ তেমন হুমকি তৈরি করতে পারেননি। এবার সফল তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলের লাইন মিস করে গেছেন এঙ্গেলব্রেখট। লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়েছেন, কাভারে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি তানজিম। ২২ বলে ৩৩ রানে ফিরলেন এঙ্গেলব্রেখট। এডওয়ার্ডসের সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল ৩১ বলে ৪২ রানের।

১৭: ৪৬ , জুন ১৩

রিশাদের জোড়া উইকেট!

সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট। এরপর বাস ডি লিডি। রিশাদের শিকার দুজনই। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলে রিশাদের টার্নে পরাস্ত ডি লিডি। উইকেটের পেছনে দ্রুতগতির লিটন করেছেন স্টাম্পিং। ১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে নেদারল্যান্ডস। এবার এগিয়ে বাংলাদেশ! ৩০ বলে দরকার ৪৯ রান।

১৭: ৫৩ , জুন ১৩

এবার মোস্তফিজের আঘাত

রিশাদের জোড়া আঘাতের পর সাকিবের ওভারে এসেছিল ৫ রান। ডেথ ওভারের শুরুতে সফল মোস্তাফিজ। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে ধরা পড়েছেন স্কট এডওয়ার্ডস। বাংলাদেশ এখন পরিষ্কার ফেবারিট!

১৭: ৫৭ , জুন ১৩

রিশাদের তৃতীয়

বোলিংয়ে রিশাদ। ফিল্ডিংয়ে রিশাদ। সফল রিশাদ! রিশাদকে ডেথ ওভারে এনেছেন নাজমুল। সে আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিলেন এ লেগ স্পিনার। ফন বিককে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি হন টপ-এজড। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়েছেন রিশাদ। ১১৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস।

১৭: ৫৯ , জুন ১৩

১২ বলে দরকার ৩৬

প্রথম ২ ওভারে দিয়েছিলেন ১৯ রান। এরপর ৪ ওভারে ৩৩ রান, ৩ উইকেট। ম্যাচের প্রেক্ষিতে দারুণ ৩টি উইকেট। রিশাদ হোসেন বলতে গেলে ঘুরিয়ে দিয়েছেন ম্যাচ। এখন অভিজ্ঞ পেসারদের পালা বাংলাদেশের ম্যাচটি শেষ করার।

১৮: ০৪ , জুন ১৩

‘মিতব্যয়ী’ মোস্তাফিজ

৪ ওভারে ১/১২। কিপটে বোলিংয়ের আরেকটি উদাহরণ মোস্তাফিজের। ১৯তম ওভারে এসে দিলেন মাত্র ৩ রান। জয়ের জন্য ৬ ওভারে নেদারল্যান্ডসের দরকার ৩৩ রান।

১৮: ০৮ , জুন ১৩

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

ম্যাচের শেষ বল। টিম প্রিঙ্গল বোল্ড তাসকিন আহমেদের বলে। ২০তম ওভারে নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। তাসকিন আহমেদ দিলেন ৭ রান। ২৫ রানের জয়ে সুপার এইটের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই দুই ম্যাচের দিকে আলাদা করে নজর ছিল বাংলাদেশ দলের। সেটির প্রথমটি এই নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং ফর্মটা খুঁজে পেলেন সাকিব। রান তাড়ায় মাঝে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল নেদারল্যান্ডস। ফেবারিটই ছিল তারা। প্রথম ২ ওভারে ১৯ রান দেওয়া রিশাদকে এরপর তৃতীয় ওভারে আনেন নাজমুল। তাতে জোড়া আঘাতে কার্যত ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন রিশাদ। এরপর বাংলাদেশ পেসারদের সামলাতে পারেননি ডাচ ব্যাটিংয়ের টেল-এন্ডাররা।

৩ ম্যাচে ২ জয় বাংলাদেশের। আগামী ১৭ জুন সকালে নেপালকে হারালে নিশ্চিত হবে সুপার এইট। সে ম্যাচে হারলেও থাকবে সম্ভাবনা।

১৮: ১৩ , জুন ১৩

আজ সাকিবের দিন

গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারতেন রিশাদ। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার গেছে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে ধরে রাখা সাকিবের কাছেই।

শীর্ষ চারের কারও রান করা দরকার ছিল। বোলারদের স্নায়ু ধরে রাখার জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে।
ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসান