পাকিস্তানের শেষে চারে ওঠার সামর্থ্য আছে, বিশ্বাস উমর গুলের
বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণ হয়েছিল পাকিস্তানের। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮১ রানে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। লঙ্কানদের দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল বাবর আজমের দল।
কিন্তু শুরুটা ছন্দটা আর ধরে রাখতে পারেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে বাজেভাবে হেরে বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অস্ট্রেলিয়ার কাছেও হার। টানা দুই হারের পর বাবর–রিজওয়ানদের কড়া সমালোচনা করেছেন ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার, রমিজ রাজা, মঈন খান, মিসবাহ উল হক, শোয়েব মালিকদের মতো দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা।
তবে উমর গুল বাবরের দলের সমালোচনা না করে বরং ঘুরে দাঁড়াতে কী করতে হবে, সেই পরামর্শ দিয়েছেন। চেন্নাইয়ে আগামীকাল আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
সেই ম্যাচের আগে স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে সাবেক ফাস্ট বোলার গুল বলেছেন, ‘বড় ইভেন্টে ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। ভুল থেকে দ্রুত শেখো এবং এগিয়ে যাও। পাকিস্তানের এই দলে প্রতিভার অভাব নেই। তাদের শুধু ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে পরিকল্পনা করতে হবে।’
পরশু অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর প্রথমবার পয়েন্ট তালিকার পাঁচে নেমে গেছে পাকিস্তান। তবে গুলের বিশ্বাস, পরের ম্যাচগুলোতে ভালো করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে পাকিস্তান, ‘পাকিস্তান ছোট দল নয়। আমাদের ভালো ও বড় মাপের খেলোয়াড় আছে। আশা করি, পরের ম্যাচগুলোতে কোনো সমস্যা হবে না। ঘুরে দাঁড়িয়ে তাদের শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার সামর্থ্য আছে।’
এশিয়া কাপে চোট পাওয়া চোট থেকে সেরে না ওঠায় বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না নাসিম শাহ। ছিটকে পড়ার আগে নাসিম ছিলেন দারুণ ছন্দে। ২০ বছর বয়সী এই পেসারের সঙ্গে শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ মিলে গড়ে তুলেছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা পেস আক্রমণ।
দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা গুল মনে করেন, পাকিস্তান দল নাসিমের অভাব অনুভব করছে, ‘গত কয়েক বছরে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহকে নিয়ে আমাদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু নাসিমের চোট আমাদের বড্ড ভোগাচ্ছে।’
গুলের ধারণা, ভারতের পিচ বোলারদের জন্য খুব একটা সহায়ক নয়। এ ধরনের পিচে ভালো করতে বোলারদের কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া ও লাইন–লেংথ ঠিক রেখে বোলিংয়ের পরামর্শ তাঁর, ‘ভারতের উইকেটগুলো বোলারদের জন্য সহায়ক নয়। বাউন্ডারিও ছোট। একজন বোলার যদি কন্ডিশন বুঝে লাইন–লেংথ ঠিক রেখে বোলিং করতে পারে, তাহলে সফল হবে। ব্যাটারদের জায়গা (অফ স্টাম্পের বাইরে বলা করা) দেওয়া যাবে না। ভারতে শৃঙ্খলা মেনে বোলিং করা বাধ্যতামূলক।’