- স্বাগত!
- টস
- বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন
- নিউজিল্যান্ডে অভিষেক অশোকের
- স্বপ্নপূরণ (ওয়ানডে)
- এখানে বৃষ্টি নেই
- অবশেষে সৌম্যর রান
- ৩ ওভারে ২ চার
- ‘মুক্তি’ পেলেন এনামুল
- ইতিবাচক নাজমুল-সৌম্য
- ১২ রানের ওভার, এরপর আউট নাজমুল
- চার এবং আউট লিটন
- জুটি দরকার, জুটি কই
- এবার হবে?
- হৃদয়—অভাগা
- সাড়ে চার বছর পর ফিফটি, এরপর দুবার বাঁচলেন সৌম্য
- ২২.৩ ওভারে ১০০/৪
- ইনিংসের মাঝপথে
- ৫০ রানের জুটি
- একটু পরিসংখ্যান
- মুশফিকের আউটে ভাঙল জুটি
- আবার বাঁচলেন সৌম্য
- ৫ বছর পর আরেকটি শতক পেলেন সৌম্য
- ফিরলেন সৌম্য?
- ৫০ রানের জুটি
- থামলেন মিরাজ
- ছুটছেন সৌম্য
- সৌম্যর ১৫০
- শচীনকে ছাড়িয়ে সৌম্য
- থামলেন সৌম্য
- ২৯১ রানে থামল বাংলাদেশ
- ওয়ানডেতে বাংলাদশের সর্বোচ্চ ইনিংস
- আপনার চোখে সেরা কোনটি?
- সৌম্যময় এক ইনিংস
- সতর্ক শুরু
- এগোচ্ছেন ইয়াং ও রবীন্দ্র
- নিউজিল্যান্ডের ৫০
- আক্রমণাত্মক রবীন্দ্র ও ইয়াং
- ১৫ রানের ওভারে রিশাদের দারুণ ক্যাচে থামলেন রবীন্দ্র
- ইয়াংয়ের ৫০, নিউজিল্যান্ডের ১০০
- স্যাক্সটন ওভাল, নেলসন
- ‘দ্বিতীয়’ হয়েও যেখানে এগিয়ে সৌম্য
- ২০ ওভার শেষে
- ১৫০ পেরিয়ে নিউজিল্যান্ড
- বেঁচে গেলেন ইয়াং, ১০০ রানের জুটি
- এবার নিকোলসের ফিফটি
- ঘটনাবহুল ওভারে নেই ইয়াং
- বোলিংয়ে নাজমুল
- আরেকটি ৫০ রানের জুটি
- শতক পেলেন না নিকোলসও
- ৩০ বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ৮ রান
- ৭ উইকেটে জয় নিউজিল্যান্ডের
স্বাগত!
ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে বাংলাদেশ, এর আগেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে যেমন হেরেছিল আর সব ওয়ানডে। এবার নেলসনে আরেক বার সেই ধারা ভাঙার পালা।
পারবে বাংলাদেশ? স্যাক্সটন ওভালে কিছুক্ষণের মধ্যেই টস। প্রথম লাইভে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সাইফুল্লাহ্ বিন আনোয়ার।
টস
এবার টসে জিতেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেছেন, টসে জিতলে তিনি ব্যাটিং-ই নিতেন।
বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন
মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় দলে এসেছেন তানজিম হাসান। আফিফ হোসেনের জায়গায় অভিষেক হচ্ছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের।
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস, এনামুল হক, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম।
নিউজিল্যান্ডে অভিষেক অশোকের
গত ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল দুজনের। আজ হচ্ছে আরেক জনের। লেগ স্পিনার আদি অশোক এসেছেন ইশ সোধির জায়গায়।
উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, হেনরি নিকোলস, টম ল্যাথাম, টম ব্লান্ডেল, মার্ক চাপম্যান, জশ ক্লার্কসন, অ্যাডাম মিলনে, আদি অশোক, জ্যাকব ডাফি ও উইলিয়াম ও’রর্ক।
স্বপ্নপূরণ (ওয়ানডে)
এখানে বৃষ্টি নেই
ডানেডিনে ছিল বৃষ্টির দাপট। নেলসনে সেটি নেই মোটেও। নির্ধারিত সময়েই শুরু হচ্ছে খেলা।
অবশেষে সৌম্যর রান
অ্যাডাম মিলনেকে প্যাডের ওপর থেক ফ্লিক করে চারে শুরু করেছেন সৌম্য, ইনিংসের দ্বিতীয় বলে। সর্বশেষ ৩ ইনিংসে সৌম্যর প্রথম রান। প্রথম ওভারে এসেছে ওই একটি চারই।
৩ ওভারে ২ চার
৪ বল ডট। এরপর শর্ট বলে পুল করে চার। সৌম্যর দ্বিতীয় বাউন্ডারি আজ। মাঝে জ্যাকব ডাফির ওভারে এসেছে ২ রান। ৩ ওভারশেষে অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটি, আপাতত বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক সেটিই।
৩ ওভারে ১০/০।
‘মুক্তি’ পেলেন এনামুল
উইকেটে বাউন্স আছে, আছে ক্যারিও। প্রথমে মুভমেন্টের আশায় একটু ফুললেংথে করলেও ডাফি ব্যবহার করছেন শর্ট বলও। আপাতত তাতে স্বস্তিতে নেই এনামুল, প্রথম ১১ বলে তিনি করতে পেরেছিলেন ২ রান। মিলনের বলে এরপর দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলেছেন তিনি, ফুললেংথের বলে চেক ড্রাইভের মতো খেলতে চেয়েছিলেন। ক্যাচ ঠিকঠাক নিয়েছেন কি না টম ল্যাথাম, তা দেখার জন্য যাওয়া হয়েছিল টেলিভিশন আম্পায়ার রড টাকারের কাছে। কয়েকটি অ্যাঙ্গেলে দেখার পর আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তিনি। এনামুল থেমেছেন ১২ বলে ২ রান করেই। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ইতিবাচক নাজমুল-সৌম্য
মিলনেকে দারুণ ড্রাইভে লং অফ দিয়ে চারে শুরু করেছিলেন নাজমুল। ১ বল পর ডাফিকে কাভার ড্রাইভে আরেকটি চার মেরেছেন সৌম্য। নাজমুল ইতিবাচক। এ উইকেটে প্রথম ইনিংসে গড় স্কোর ২৮০ রানের মতো, ফলে লড়াইয়ের জন্য বড় স্কোর দরকার বাংলাদেশের।
ডাফির শর্ট বলে ব্যাটের পর হেলমেটে লাগায় কনকাশন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়া নাজমুল এরপর স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন, যদিও বিপদ ঘটেনি। তবে ষষ্ঠ ওভার বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক, এসেছে ৯ রান।
৬ ওভারে ২৪/১।
১২ রানের ওভার, এরপর আউট নাজমুল
ও’রর্কের প্রথম ওভার। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে কাট করে দুটি চার সৌম্যর। যে ওভার শেষ হয়েছে আরেকটি দারুণ শটে—কাভার দিয়ে চার। শুরুতে একটু সময় নেওয়ার পর দ্রুত এগোনোর ইঙ্গিত সৌম্যর।
তবে পরের ওভারেই থেমেছেন নাজমুল। লেংথ বলে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে খেলতে লিডিং-এজড হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, যদিও খেলবেন কি না, এমন সংশয়ে ছিলেন বলে মনে হয়েছে। এর আগে শর্ট বল ভালোভাবে ব্যবহার করছিলেন জ্যাকব ডাফি। বাড়তি বাউন্সের বলে পেলেন পুরস্কার।
৮ ওভারে ৩৭/২।
চার এবং আউট লিটন
প্রথম ৯ বলে স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছিলেন না লিটন। দশম বলে দারুণ নিয়ন্ত্রিত পুল শটে চার মারলেন ডাফিকে। এবং ঠিক পরের বলেই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কাভারে উইল ইয়াংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন তিনি! প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
৯.৪ ওভারে ৪৪/৩।
জুটি দরকার, জুটি কই
১২তম ওভারের পঞ্চম বলে ৫০ ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ, এর ২৯ রানই করেছেন সৌম্য। ডানেডিনের মতো নেলসনেও একটা জুটি খুঁজে ফিরছে বাংলাদেশ। এনামুল (জুটিতে ১১), নাজমুল (২৫) বা লিটন (৮) সেটি গড়তে পারেননি সৌম্যর সঙ্গে।
১২ ওভারে ৫০/৩।
এবার হবে?
সৌম্য অপরাজিত ৩৯ রানে, ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তাঁর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে। বাংলাদেশের বড় কোনো স্কোরের জন্য এ জুটি বড় হওয়া প্রয়োজন।
১৫ ওভারে ৭১/৩
হৃদয়—অভাগা
দেখে মনে হবে, আউট হয়েছেন সৌম্য সরকারই। তবে তাঁর হতাশা আসলে নিজের আউটকে ঘিরে নয়।
জশ ক্লার্কসনের বলে সৌম্য ড্রাইভ করেছিলেন। টাইমিং ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু সেটি গিয়ে ভাঙল নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। সেটিও আবার ক্লার্কসনের বুটে লেগে দিক পরিবর্তনের পর। যখন স্টাম্প ভেঙেছে, হৃদয় ছিলেন ক্রিজের বাইরে।
টেলিভিশন আম্পায়ার নিশ্চিত করেছেন, ক্লার্কসনের বুটে লেগে গেছে বল। হৃদয় হয়েছেন রানআউট। এভাবে রানআউট হলে অভাগা ছাড়া আর কী বলবেন তাঁকে!
সৌম্যর সঙ্গে জুটিটা আশা জোগাচ্ছিল। সেটি থামল ৩৬ রানে।
১৭ ওভারে ৮০/৪।
সাড়ে চার বছর পর ফিফটি, এরপর দুবার বাঁচলেন সৌম্য
২০১৯ সালের জুলাই মাসে সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন। প্রায় সাড়ে চার বছর পর অবশেষে আরেকটি ফিফটি বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনারে। যদিও এ সময়ের মধ্যে এটি তাঁর মাত্র সপ্তম ইনিংস। ক্লার্কসনকে পাঞ্চ করে মারা চারে মাইলফলকে গেছেন তিনি, ৫৮ বলে।
এরপর কাভারে সুযোগ দিয়েছিলেন। রাচিন রবীন্দ্র ফেলেছেন সে ক্যাচ। পঞ্চম বলে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে তাঁকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার শন হেগ। সৌম্য অবশ্য রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই। কেন, সেটি বোঝা গেছে আল্ট্রা-এজে। প্যাডের আগে ব্যাটে লেগেছিল তাঁর।
২১ ওভারে ৯৩/৪।
২২.৩ ওভারে ১০০/৪
১১.৫ ওভারে এসেছিল ৫০ রান, যদিও তার আগেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল ৩ উইকেট। মাঝে হৃদয়ের রানআউটের পর মুশফিককে নিয়ে এগোচ্ছেন সৌম্য। তবে এখনো এ জুটি ছোটা শুরু করেনি। ২৩তম ওভার শেষে সেটি অবিচ্ছিন্ন ২৩ রানে।
ইনিংসের মাঝপথে
২৫ ওভার শেষ। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১১৫ রান। ফিফটির পর এগোচ্ছেন সৌম্য, সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। ফিফটির পর একাধিক জীবন পেয়েছেন সৌম্য, সর্বশেষ অ্যাডাম মিলনে ছেড়েছেন কঠিন একটি ক্যাচ।
৫০ রানের জুটি
মিড অফের ওপর দিয়ে চার। কাভার ড্রাইভে চার। আদি অশোকের ওপর চড়াও হয়েছেন সৌম্য। এ ওভারে মুশফিকের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠে গেছে ৫০ রান।
২৮ ওভারে ১৩৪/৪।
কত করবে বাংলাদেশ?
একটু পরিসংখ্যান
৩৩ ওভারশেষে বাংলাদেশ ১৬৪/৪।
মুশফিকের আউটে ভাঙল জুটি
জ্যাকব ডাফির ভেতরের দিকে ঢোকা বলে খোঁচা দিলেন মুশফিক। নিজে থামলেন ৪৫ রানে, সৌম্যর সঙ্গে জুটি থামল ৯১ রানে। বাংলাদেশ অসময়ে হারাল আরেকটি উইকেট। নিউজিল্যান্ডের জন্য অবশ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রেকথ্রু।
৩৪.৫ ওভারে ১৭১/৫।
আবার বাঁচলেন সৌম্য
হওয়ার কথা ছিল সহজ ক্যাচ। তবে পয়েন্ট থেকে কাভারে মাঝে বলের গতিপথ পড়োতে ভুল করে ফেলেছেন উইল ইয়াং। ৯২ রানে সৌম্য পেয়েছেন আরেকটি জীবন, ইনিংসে যেটি চতুর্থ তাঁর। মুশফিকের আউটের পর বেশ ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে তাঁর ব্যাটিং-ও। যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন।
৩৭ ওভারে ১৭৯/৫।
৫ বছর পর আরেকটি শতক পেলেন সৌম্য
অশোকের বলে অফ সাইডে সিঙ্গেল। এরপর লাফ দিলেন। ব্যাটের ওপর হেলমেট নিয়ে দুহাতে ধরে করলেন ধ্যানের ভঙ্গি। সৌম্য পেলেন ক্যারিয়ারে তৃতীয় শতকের দেখা, দ্বিতীয় শতকটি এসেছিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে। শতকে যেতে তাঁর লেগেছে ১১৬ বল।
ফিফটির পর ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন। ৫০-৬০ রানের মাঝে জীবন পেয়েছেন তিনবার। ৯০-এর পর গিয়ে আরেকবার। সে সব কাজে লাগালেন তিনি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস ধরে রেখেছেন এ বাঁহাতিই।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে স্বীকৃত ক্রিকেটে সর্বশেষ শতকের দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য। এবার জাতীয় দলে এসেছেন বিস্ময় জাগিয়েই, তবে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে ভরসা রাখা হয় তাঁর ওপর। প্রথম ম্যাচে ০ রানে ফিরলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টিম ম্যানেজমেন্টের সে আস্থার প্রতিদান দিলেন সৌম্য।
৪০ ওভারে ১৯৪/৫।
ফিরলেন সৌম্য?
উৎপল শুভ্রর লেখা, নিউজিল্যান্ড সফরের দলে সৌম্য ডাক পাওয়ার পর।
সেই সৌম্য আজ পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় শতকের দেখা।
৫০ রানের জুটি
এবার মিরাজের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি হয়ে গেল সৌম্যর। শতকের পর তিনি এগোচ্ছেন দ্রুতগতিতে। সর্বশেষ অ্যাডাম মিলনের শর্ট বলে মেরেছেন ছক্কা। এ ওভার এসেছে ১৩ রান।
৪৩ ওভারে ২২৩/৫।
থামলেন মিরাজ
সৌম্যকে রেখে ফিরলেন মিরাজও! অশোকের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি ২৬ বলে ১৯ রান করে। ২৩২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ছুটছেন সৌম্য
১১৬ বলে করেছিলেন শতক। পরের ১৯ বলে সৌম্য করেছেন ৩৯ রান। ৫ ওভার বাকি, বাংলাদেশ ২৪৩/৬।
সৌম্যর ১৫০
ডাফিকে কাট করে চার। ইনিংসে সৌম্যর এটি ২০তম চার। তাতেই ১৫০ পেরিয়ে গেলেন তিনি। ইনিংসে তৃতীয় ফিফটি করলেন মাত্র ২৮ বলে।
শচীনকে ছাড়িয়ে সৌম্য
৪৯ ওভারে ২৮৯/৭
থামলেন সৌম্য
লিটন দাসের ১৭৬ রানের রেকর্ড ভাঙা হলো না। তবে সৌম্য সরকার খেললেন স্মরণীয় এক ইনিংস। স্যাক্সটন ওভালের করতালিতে তিনি ফিরলেন ১৫১ বলে ১৬৯ রান করে, যাতে ছিল ২২টি চার ও ২টি ছক্কা।
২৯১ রানে থামল বাংলাদেশ
১ বল বাকি থাকতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ওভারে সে উইল ও’রর্ক নিলেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশ থামল ২৯১ রানে।
ওয়ানডেতে বাংলাদশের সর্বোচ্চ ইনিংস
আপনার চোখে সেরা কোনটি?
সৌম্যময় এক ইনিংস
আগের ম্যাচেও আউট হয়েছিলেন কোনো রান না করেই। সৌম্য সরকারকে কেন আবার জাতীয় দলে ফেরানো হয়েছে—স্বাভাবিকভাবেই সে প্রশ্ন উঠেছিল আবার। নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই সৌম্যই পেলেন শতকের দেখা। আক্ষরিক অর্থেই সৌম্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস, তাঁর ১৬৯ রানের রেকর্ড রানের ইনিংসে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ তুলেছে ২৯১ রান।
নিউজিল্যান্ডে সৌম্যর সুখস্মৃতি ছিল আগেও, তবে সেটি ঠিক সীমিত ওভারে নয়। টেস্টে শতক করেছেন, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ছিল ৫১ রানের দুটি ইনিংস। আজ স্যাক্সটন ওভালে পেয়ে গেলেন ওয়ানডে শতকও। শুধু তা-ই নয়, তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ১৫০ পেরিয়েছেন। শট নির্বাচন, টাইমিং, প্লেসমেন্ট—সৌম্য ছিলেন দুর্দান্ত।
সতর্ক শুরু
প্রথম ম্যাচে প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এবার সতর্ক শুরু করেছেন দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। শরীফুল ও হাসানের করা প্রথম ২ ওভারে এসেছে ৪ রান।
এগোচ্ছেন ইয়াং ও রবীন্দ্র
সতর্ক শুরুর পর এগোচ্ছেন রবীন্দ্র ও ইয়াং। প্রথম ৭ ওভারে ৩ পেসারকেই এনেছেন নাজমুল, তবে ব্রেকথ্রুর দেখা পাননি কেউ। ৭ ওভারে ৩৫/০।
নিউজিল্যান্ডের ৫০
নবম ওভারে ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই থিতু হয়েছেন। ৯ ওভারে ৪০ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড বিনা উইকেটে ৫২।
আক্রমণাত্মক রবীন্দ্র ও ইয়াং
সর্বশেষ ৩ ওভারে এসেছে ৫টি চার, এর মধ্যে তানজিমের করা ১০ম ওভারে দুটি মেরেছেন রবীন্দ্র। শর্ট বা ফুললেংথ—কোনোটিতেই রক্ষা পাননি তানজিম।
১০ ওভারে ৬১/০।
১৫ রানের ওভারে রিশাদের দারুণ ক্যাচে থামলেন রবীন্দ্র
শর্ট লেংথ, পুল করে চার। আবার শর্ট, ফল একই। হাসান মাহমুদের ওপর এবার চড়াও হয়েছেন ইয়াং। রবীন্দ্রও ছেড়ে কথা বলেননি। আবার প্রায় একই ধরনের লেংথ। ব্যাকফুট থেকে টেনে এবার ছক্কা মেরেছেন রবীন্দ্র। এবং এরপর রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচ! আবার শর্ট লেংথে করেছিলেন হাসান, আবার টেনে মেরেছিলেন রবীন্দ্র। আরেকটি বাউন্ডারি হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ডিপ মিডউইকেটে লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন অভিষিক্ত রিশাদ। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে থেমেছেন রবীন্দ্র, ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে তাতে। বাংলাদেশ পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু।
ইয়াংয়ের ৫০, নিউজিল্যান্ডের ১০০
বাংলাদেশ ১০০ ছুঁয়েছিল ২৩তম ওভারে। নিউজিল্যান্ড সেটি ছুঁয়ে ফেলল ১৭তম ওভারেই। ১০০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। রবীন্দ্রর উইকেট পড়লেও ইয়াং আছেন এখনো, ফিফটিও করে ফেলেছেন তিনি। মাইলফলকে গেছেন ৫১ বলেই। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন হেনরি নিকোলস। নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে নিশ্চিতভাবেই দ্রুত আরও উইকেট দরকার বাংলাদেশের।
স্যাক্সটন ওভাল, নেলসন
‘দ্বিতীয়’ হয়েও যেখানে এগিয়ে সৌম্য
আজ স্যাক্সটন ওভালে সৌম্যর ১৬৯ অবশ্য তামিমকে দুই থেকে তিনে নামিয়ে দিয়েছে। শীর্ষে লিটন রয়ে গেছেন এখনো। তবে তাঁর সেই ইনিংস ছিল ঘরের মাঠে, প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং এমন সমালোচনার মধ্যে থাকা অবস্থায় এ রকম একটা ইনিংস, যেটি আবার এশিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ, সৌম্যকে এই জায়গাতে বোধ হয় একটু এগিয়ে রাখাই যায়।
তবে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৫টি ইনিংসই এসেছিল জেতা ম্যাচে। আপাতত সৌম্যকে সে তালিকায় রাখার আশা পাওয়া যাচ্ছে না খুব একটা।
২০ ওভার শেষে
অভিষিক্ত লেগ স্পিনার রিশাদকে এনেছেন নাজমুল। পিচ থেকে সহায়তাও পাচ্ছেন তিনি, তবে প্রথম ২ ওভারে উইকেটের দেখা পাননি। যে উইকেট লড়াইয়ে থাকতে গেলে খুব করেই দরকার বাংলাদেশের। ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১ উইকেটে তুলে ফেলেছে ১২০ রান, মানে ওভারপ্রতি এসেছে ৬ রান। এ সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৮৯। অবশ্যই সৌম্য এরপর বাংলাদেশকে টেনেছেন। তবে উইকেট হাতে বলে নিউজিল্যান্ডের অমন বড় ইনিংস দরকার পড়বে না। উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো এখনো।
১৫০ পেরিয়ে নিউজিল্যান্ড
২৫ ওভার শেষে ১৫৫/১। ইয়াং অপরাজিত ৭৩ রানে, নিকোলস ৩৪ রানে। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৭৯ রানে। এ মুহূর্তে সহজ জয়ের পথে নিউজিল্যান্ড।
বেঁচে গেলেন ইয়াং, ১০০ রানের জুটি
আগের বলটিও ছিল লেগ সাইডে, তবে সেটি ছেড়ে দিলেও এবার খেলতে গিয়েছিলেন ইয়াং। মুশফিকদের কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়াও দেন অ্যালেক্স ওয়ার্ফ। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন ইয়াং। আম্পায়ার এরপর দিয়েছেন ওয়াইড।
ব্রেকথ্রুটি খুব করেই দরকার ছিল বাংলাদেশের। তবে সেটি পেয়েও পাওয়া হলো না তাদের। এর আগে ইয়াংয়েরই কঠিন একটি সুযোগ ছাড়েন তাওহিদ হৃদয়, এক্সট্রা কাভারে বাঁদিকে লাফিয়ে নাগাল পেলেও শেষ পর্যন্ত হাতে রাখতে পারেননি।
ইয়াং এগোচ্ছেন টানা দ্বিতীয় শতকের পথে। নিকোলসের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি হয়ে গেছে তাঁর।
এবার নিকোলসের ফিফটি
প্রথম ম্যাচে আউট হয়ে গিয়েছিলেন প্রথম বলেই। বেশ ভালো উইকেটে আজ আর সুযোগ হাতছাড়া করলেন না নিকোলস। ক্যারিয়ারের ১৫ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ ফিফটি পেয়ে গেলেন তিনি। ৬৪ বলেই ৫০ হয়ে গেছে তাঁর। ৩১ ওভারে ১৮৭/১
ঘটনাবহুল ওভারে নেই ইয়াং
ওভার শুরু হয়েছিল টানা তিন চারে। হেনরি নিকোলস চড়াও হয়েছিলেন হাসান মাহমুদের ওপর। সিঙ্গেল নিয়ে তিনি গেলেন আরেক প্রান্তে। চতুর্থ বলে লিডিং-এজে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে থামলেন উইল ইয়াং। টানা দ্বিতীয় শতক থেকে ১১ রান দূরেই থামলেন তিনি। অবশেষ নিকোলসের সঙ্গে তাঁর জুটি ভাঙতে পারল বাংলাদেশ, যে জুটিতে উঠেছে ১২৮ রান। নিউজিল্যান্ড অবশ্য ২০০ পেরিয়েছে, ৩২.৫ ওভারে তাদের স্কোর ২ উইকেটে ২০৪ রান।
বোলিংয়ে নাজমুল
প্রথম ম্যাচে স্বীকৃত পঞ্চম বোলার ছাড়াই নেমেছিল বাংলাদেশ, সে দিন পঞ্চম বোলারের কাজটি করেছিলেন সৌম্য। আজ অবশ্য তাঁকে দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। তবে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল নিজে। প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৫ রান, ৭২ বলে এখন নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৫৫ রান। বাকি ৮ উইকেট।
আরেকটি ৫০ রানের জুটি
ল্যাথামের সঙ্গে নিকোলসের জুটিতে উঠে গেছে ৫০ রান, জয়ের জন্য ৬০ বলে স্বাগতিকদের দরকার আর ৩৮ রান।
শতক পেলেন না নিকোলসও
ইয়াং থেমেছিলেন ৮৯ রানে। নিকোলস থামলেন ৯৫ রানে। শরীফুলের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে রিশাদের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ৪০.৪ ওভারে নিউজিল্যান্ড ২৬০/৩।
৩০ বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ৮ রান
আপাতত নেলসনে এর বেশি কিছু হচ্ছেও না।
৭ উইকেটে জয় নিউজিল্যান্ডের
রিশাদকে স্লগ সুইপে ছক্কা টম ব্লান্ডেলের। ৭ উইকেট ও ২২ বল বাকি রেখে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতল নিউজিল্যান্ড। ১ ম্যাচ বাকি রেখে জিতল সিরিজও।
গত ম্যাচে ০ রানেই আউট হওয়া সৌম্য খেলেছেন স্মরণীয় ইনিংস, যেটি বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ান কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। এমন পারফরম্যান্সে সৌম্য হয়েছেন ম্যাচসেরাও। কিন্তু উইল ইয়াংয়ের ৮৯, হেনরি নিকোলসের ৯৫ রানে সেটি হয়ে থেকেছে সান্ত্বনা পুরস্কার হয়েই। স্যাক্সটন ওভালের দারুণ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট ও ২২ বল বাকি রেখেই পেরিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। ১ ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পথে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে রেকর্ডটি ১৯-০-ও করেছে তারা।