অলরাউন্ডার অ্যাবটে সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার

শন অ্যাবটের উইকেট উদ্‌যাপন। আজ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেসিএ

ব্যাটিংটা ভালোই জানেন। গত বছর ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে রেকর্ড ৩৪ বলে শতকও পেয়েছিলেন। সিডনিতে আজ অস্ট্রেলিয়ার হয়েও নিজের ব্যাটিং প্রতিভার জানান দিলেন শন অ্যাবট। ক্যারিয়ারসেরা ৬৯ রানের ইনিংস খেলে স্টিভ স্মিথ-মারনাস লাবুশেনদের ব্যর্থতার দিনে অস্ট্রেলিয়াকে টেনে তুলেছেন। এনে দিয়েছেন ২৫৮ রানের সংগ্রহ।

এরপর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৫ অলআউট করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮৩ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।

২৫৯ রানের লক্ষ্যে প্রথম ৯ ওভারে ৩৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর অধিনায়ক শাই হোপ ও কিসি কার্টি ৫৩ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচ ফেরায়।

ক্যারিয়ারসেরা ৬৯ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন শন অ্যাবট
এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ এই জুটি ভাঙতে ইনিংসের ২৩তম ওভারে আক্রমণে ফেরান দলের প্রধান বোলার জশ হ্যাজলউডকে। তিনি হতাশ করেননি। বোল্ড করেন হোপকে। অধিনায়কের বিদায়েই যেন শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের আশা।এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়রা ৪৩.৩ ওভারে অলআউট ১৭৫ রানে।

আরও পড়ুন

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের দাপট দিয়ে। গত বছর অ্যাডিলেডে মার্শ কাপের ম্যাচে তাসমানিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২৯ বলে শতক হাকিয়ে নজর কারা জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক অভিষেক ম্যাচে করেছেন ১০ রান।

প্রথম ওয়ানডেতে  ৬৫ রান করা ইংলিস এদিন ফিরেছেন ৯ রানে। তিন নম্বরে নেমে গ্রিন বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে তিনি ওশানে টমাসের বলে আউট হন ৩৩ রানে। স্মিথ করেছেন ৫ রান।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে শন অ্যাবট
সিএ

মারনাস লাবুশেন ও অ্যারন হার্ডিরাও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৬ রানে হার্ডি যখন আউট হন তখন অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৬৭। তবে এরপর অষ্টম উইকেটে সাদারল্যান্ডের সঙ্গে ৫৭ ও জাম্পার সঙ্গে ২৭ রানের জুটিতে অ্যাবট অস্ট্রেলিয়াকে ২৫৮ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। গুড়াকেশ মোতি ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৫৮/৯ (ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ১০, ইংলিশ ৯, গ্রিন ৩৩, স্মিথ ২৬, লাবুশেন ২৬, শর্ট ৪১, হার্ডি ২৬, অ্যাবট ৬৯, সাদারল্যান্ড ১৮, জাম্পা ৮, হ্যাজলউড ৪; জোসেফ ৯-০-৭৪-২, ফোর্ড ৯-১-৩২-১, শেফার্ড ৮-০-৫০-২, টমাস ৪-০-৩৩-১, মোতি ১০-০-২৮-৩, রোস্টন ১০-০-৪০-০)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৩.৩ ওভারে ১৭৫ (অ্যাথানেজ ১১, গ্রিভস ৮, ওটলি ৮, হোপ ২৯, কার্টি ৪০, চেজ ২৫, শেফার্ড ৬, ফোর্ড ৭, জোসেফ ১৯,  মোতি ৭*, টমাস ৭;  হ্যাজলউড ৮–০–৪৩–৩, হার্ডি ৮–২–২৭–১, অ্যাবট ১০–০–৪০–৩, সাদারল্যান্ড ৮–০–২৮–২, জাম্পা ৯.৩–০–৩১–১)।

ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব ম্যাচ: শন অ্যাবট।