সাকিব কেন এসেও খেললেন না
বাংলাদেশ কেন ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটা পাকিস্তানের সঙ্গে ভালো খেলল না, তা তো এখন সবারই জানা। কারণটা হলো, দলের কেউ ম্যাচে ‘ইমপ্যাক্ট’ ফেলার মতো ক্রিকেট খেলতে পারেননি।
সে যা–ই হোক, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ছাপিয়ে বাংলাদেশ দলের দৃষ্টি আসলে পরবর্তী বিশ্বকাপে। দলের মূল লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণের চ্যালেঞ্জ দুটোই এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। ‘ইমপ্যাক্ট’ ফেলার মতো অবস্থায় আসতে হাতে যথেষ্ট সময় আছে।
ক্রাইস্টচার্চে আজকের ম্যাচে মূল প্রশ্নটা আসলে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। মূল প্রশ্ন হলো, আগের দিন এই শহরে পৌঁছে গিয়েও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কেন আজ সিরিজের প্রথম ম্যাচটা খেললেন না?
দল সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দীর্ঘ ভ্রমণ করে আসা সাকিবকে এ ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তার ওপর তাঁর আসাটা স্বাভাবিকও ছিল না। দীর্ঘ ভ্রমণ তো বটেই, ট্রানজিট ভিসার জটিলতায় ঝক্কিও কম পোহাতে হয়নি। সব মিলিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের নাকি মনে হয়েছে, সাকিব খেললেও ক্লান্তির কারণে কোনো ‘ইমপ্যাক্ট’ হয়তো খেলায় ফেলতে পারবেন না। কাজেই বিশ্রামই ভালো।
তবে সাকিব আজ মাঠে ছিলেন। একা একা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন হ্যাগলি ওভালের নেটে। এরপর সন্ধ্যায় রানিং করেছেন। কাল দলের সবাই যদিও বিশ্রাম নেবেন, দলীয় অনুশীলন হবে না, তবু সাকিব মাঠে আসবেন। অনুশীলন করবেন। নিজেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরশুর পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করবেন। সাকিব পরের ম্যাচে খেলবেনও।
গতকাল অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজের কথা শুনে মনে হয়েছিল সাকিব আজই মাঠে নেমে পড়তে যাচ্ছেন। বুকভরা সাহস নিয়ে তাঁর বলা কথা ছিল অনেকটা এ রকম, ‘সাকিব ভাই এসে গেছেন। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এতে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে।’
তবে জানা গেছে মিরাজের কথায় কিঞ্চিৎ ফাঁক ছিল। মিরাজ যখন বিসিবির ভিডিও বার্তায় কথা বলছিলেন, তখনো সাকিবের চেহারা দেখেনি দল। সাকিব তখনো দলের সঙ্গে যোগও দেননি। তিনি টিম হোটেলে পৌঁছেছেন তার ঘণ্টা তিন-চারেক পরে।
অবশ্য মিরাজের একটু ঝুঁকি নিয়ে ওটুকু বলায় দোষ দেওয়ার কিছু নেই। সাকিব নিউজিল্যান্ডে চলে আসা মানেই তো সঙ্গে তাঁর ‘ইমপ্যাক্ট’টাও চলে আসা! এখন পরের ম্যাচে সবাই সেই ‘ইমপ্যাক্ট’ দেখার আশায়।
বাংলাদেশ দলের টিম কনসালটেন্ট এবং কারও কারও মনোজগতে ‘জাদুকরে’র ছায়ামূর্তি হয়ে ভেসে বেড়ানো শ্রীধরন শ্রীরামের ‘ইমপ্যাক্ট ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের তিনিই তো সবচেয়ে শক্তিশালী জাদুর দন্ড!