রিজওয়ান–শাহিন নন, পাকিস্তানের অধিনায়ক হতে পারেন অন্য কেউ
বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে যখন সমালোচনা চলছিল, তখনই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দায়িত্ব দিতে বলেছিলেন কেউ কেউ। রিজওয়ানের পাশাপাশি পাকিস্তানের সাদা বল ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসেবে আলোচিত হয়েছে শাহিন আফ্রিদির নামও। মার্চে বাবরকে দ্বিতীয় দফা নেতৃত্ব দেওয়ার আগে পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন আফ্রিদিই।
এবার বাবর আজম অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই রিজওয়ান, শাহিনই নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকার কথা। তবে পাকিস্তানের গণমাধ্যম বলছে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটারের নেতৃত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে অন্য তিনজন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের পরবর্তী অধিনায়কত্ব পাওয়ার বিবেচনায় আছেন সৌদ শাকিল, ফখর জামান ও সালমান আলী আগা।
আগস্ট–সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে সহ–অধিনায়ক ছিলেন শাকিল। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান টেস্টে পাকিস্তানের নিয়মিত মুখ। তবে ১৫টি ওয়ানডে খেললেও পাকিস্তানের হয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো টি–টোয়েন্টি খেলেননি। পিএসএলে খেলেছেন মাত্র এক মৌসুম, সেখানে অবশ্য ১৪১.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৩২৩ রান করেছেন তিনি।
সীমিত ওভারের ক্রিকেট বিবেচনায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকেন অবশ্য ফখর। আট বছর ধরে পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৮২ ওয়ানডে ও ৯২ টি–টোয়েন্টি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যায় সাদা বলের ক্রিকেটই। পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে ফখরের। তবে সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা তাঁর বয়স। গত এপ্রিলেই ৩৪ বছর পার করে ফেলেছেন ফখর।
অধিনায়কত্বের দৌড়ে থাকা আরেকজন ৩০ বছর বয়সী আগা সালমান। এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি খেলেননি। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতাও নেই তাঁর। তবে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপে সালমান স্থিতিশীলতা দিতে পারেন বলে তাঁকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।