স্টোকস–রুটদের সমান ম্যাচ ফি পাবেন ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটাররাও
আগামীকাল শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মেয়েদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ দিয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে ছেলে ও মেয়েদের সমান ম্যাচ ফির ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আজ ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেটে সমান ম্যাচ ফি চালু করা চতুর্থ দেশ ইংল্যান্ড। এর আগে নিউজিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড সমান ফি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড ও ভারত গত বছরই এটি চালু করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় চালু হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে।
ম্যাচ ফি শুধু অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এ বছরের মার্চে ডেইলি মেইল জানিয়েছিল, ইসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা ক্রিকেটাররা প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচের জন্য পাঁচ হাজার পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাত লাখ টাকা এবং প্রতিটি টি-টোয়েন্টির জন্য তিন হাজার পাউন্ড বা চার লাখ টাকার বেশি পেয়ে থাকেন। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি আলাদা হয়ে থাকে।
ইসিবি মেয়েদের ম্যাচ ফি ছেলেদের সমান করেছে দুটি কারণে। গত জুনে ইনডিপেনডেন্ট কমিশন ফর ইকুইটি ইন ক্রিকেট (আইসিইসি) একটি প্রতিবেদনে জানায়, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে মেয়েদের গড় বেতন ছেলেদের বেতনের মাত্র ২০.৬ শতাংশ। আইসিইসি পরামর্শ দেয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০২৯ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে যেন ছেলে ও মেয়েদের বেতনে সমতা নিয়ে আসা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইংল্যান্ডের মেয়েদের ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দর্শকও বেড়েছে। জুন-জুলাইয়ে সাতটি অ্যাশেজ ম্যাচে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি দর্শক মাঠে গিয়েছিলেন।
ইসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ড বলেন, ‘গ্রীষ্মে মেয়েদের অ্যাশেজে রেকর্ড উপস্থিতি ও টিভি দর্শকের মাধ্যমে বোঝা গেছে, এ দেশে মেয়েদের ক্রিকেট প্রতিনিয়ত সামনে এগোচ্ছে। আমরা আইসিইসির সব পরামর্শই বিবেচনায় নিচ্ছি। ম্যাচ ফি তারই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ। আমরা চাই, নারী ক্রীড়াবিদেরা দলগত খেলা হিসেবে ক্রিকেটকেই বেছে নিক।’
এ বিষয়ে ইংল্যান্ড মেয়েদের দলের অধিনায়ক হেদার নাইট ইসিবি ও খেলোয়াড়দের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এই ব্যবস্থা (ম্যাচ ফিতে সমতা) মেয়েদের কাছে ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং খেলাটা সামনে এগিয়ে যাবে।’