অর্জুনের অভিষেকের দিন কেঁদেছিলেন শচীন
ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারের আইপিএল অভিষেকটা যে শচীন টেন্ডুলকারকে আবেগাপ্লুত করেছে, সেটি বোঝাই গেছে। ১৬ এপ্রিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে ছেলের অভিষেকের দিন টুইট করেছেন, বাবা হিসেবে দারুণ কিছু কথা লিখেছিলেন। সেই লেখায় ছিল আবেগের ছোঁয়া।
টেন্ডুলকার সেদিন কতটা আবেগপ্রবণ হয়েছিলেন, সেটি জানিয়েছেন আইপিএলের ধারাভাষ্যকার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার ইয়ান বিশপও। সাবেক ক্যারিবীয় তারকা পুরো ঘটনা জেনেছেন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ফ্লোর ম্যানেজারের কাছ থেকে। ফ্লোর ম্যানেজারকে শচীন টেন্ডুলকার বলেছেন, ২০০৮ সালে তাঁর নিজের যখন আইপিএল অভিষেক হয়, সেদিনের সঙ্গে তাঁর ছেলের অভিষেকের বেশ মিলও আছে।
১৮ এপ্রিল মুম্বাই-হায়দরাবাদ ম্যাচের দিন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বিপশ বলছিলেন, ‘ফ্লোর ম্যানেজার শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সেদিন (১৬ এপ্রিল)। আমি তাঁর নাম বলছি না। তিনি বলেছেন, ছেলে অর্জুনের অভিষেকের মুহূর্তে শচীন টেন্ডুলকারের চোখ ভিজে যাচ্ছিল। ২০০৮ সালে তাঁর নিজের অভিষেকের সময় বল হাতে প্রথম ওভারে ৫ রান দিয়েছিলেন শচীন। তাঁর ছেলেও নিজের অভিষেক ওভারে ৫ রান দিয়েছে।’
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সেদিন অভিষেক ম্যাচে অবশ্য অর্জুন উইকেট পাননি। পরের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ভুবনেশ্বর কুমারকে আউট করে পান আইপিএলে নিজের প্রথম উইকেট। সেদিন জয়ের জন্য শেষ ওভারে হায়দরাবাদের দরকার ছিল ২০ রান। এ সময় মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা আস্থা রেখেছিলেন অর্জুনের ওপরই। অর্জুন ৫ বলে দেন ৪ রান, ১ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ।
ম্যাচ শেষ অর্জুনের উইকেটপ্রাপ্তি নিয়ে দারুণ একটি মন্তব্য করেন ধারাভাষ্যকক্ষে বিশপের সতীর্থ, ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি অর্জুনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বলেন, ‘এই জায়গায় তুমি (অর্জুন) তোমার বাবাকে ছাড়িয়ে গেছ। আইপিএলে উইকেট শিকারে তোমার অভিষেক হলো। কিন্তু তোমার বাবা কখনোই আইপিএলে উইকেট পাননি।’
অর্জুন অবশ্য দারুণ কূটনৈতিক ছিলেন তাঁর উত্তরে, ‘অবশ্যই আইপিএলে উইকেট পাওয়াটা বড় ব্যাপার। তবে আমি আমার নিজের কাজে পুরো মনোযোগটা ধরে রাখতে চাই।’