‘আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ হলে শেষ হয়ে যেতেন খেলোয়াড়েরা’
এশিয়া কাপে অংশ নিয়েছে ৬ দল। তবে সব দলের জন্য একটি ‘অদৃশ্য’ প্রতিপক্ষও আছে—বৃষ্টি! ভারত–পাকিস্তানের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এরই মধ্যে ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সুপার ফোরে গতকাল ভারত–পাকিস্তান ম্যাচও বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
আজ রিজার্ভ ডেতেও ম্যাচ শুরু হতে নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরি হয়েছে। অনেকে তাই এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, এশিয়া কাপের সহ–আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কার বদলে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বেছে নিলেই কি বেশি ভালো হতো না? অন্তত বৃষ্টির ঝামেলাটা এড়ানো যেত।
দুবাই ও আবুধাবির স্টেডিয়ামে এর আগেই আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছে। ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও গত বছর এশিয়া কাপও এখানকার মাঠেই হয়েছে। তাহলে এবারের এশিয়া কাপ সেখানে নিতে সমস্যা কী ছিল? ভারতের সাবেক কোচ ও অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রী এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সম্প্রচারক চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের ‘ক্রিকেট লাইভ শো’তে।
দুবাইয়ের গরমের কথা উল্লেখ করে শাস্ত্রীর যুক্তি, ‘বছরের এ সময়ে প্রায় সব জায়গাতেই বৃষ্টি হচ্ছে। এ কথা বলাবলি হচ্ছে যে টুর্নামেন্টটা দুবাইয়েও আয়োজন করা যেত। দুবাইয়ের এখন প্রচণ্ড গরম... (সেখানে) ৫০ ওভারের ম্যাচ খেললে খেলোয়াড়েরা শেষ হয়ে যেত। এখন এটার (বৃষ্টির) ওপর তো কারও হাত নেই। প্রাকৃতিক কারণেই এটা (বৃষ্টি) হয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তরাঞ্চল, মুম্বাই কিংবা ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে তাকান, দেখবেন প্রায় সব জায়গাতেই এ সময় বৃষ্টি হচ্ছে।’
শাস্ত্রী জানিয়েছেন, বছরের এ সময়ে দুবাইয়ের তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। এমন তাপমাত্রার মধ্যে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলানো ঠিক মনে করা হয়নি বলেই দুবাইকে সহ–আয়োজক হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম শাস্ত্রীর যুক্তিতে সায় দিয়ে বলেন, ‘ভারত–পাকিস্তানসহ বিশ্বজুড়ে (বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ) এটা হতাশা তৈরি করেছে, তা আমি জানি। কিন্তু প্রকৃতির ওপর তো কারও হাত নেই। এশিয়া কাপ নিয়ে অনেক সমালোচনাই করা হচ্ছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত তো হয়ে গেছে। এখন আর কিছুই করার নেই। অনেকেই বলেছেন, পাকিস্তানেই হওয়া উচিত ছিল। আমরা এ নিয়ে শুধু আলোচনাই করতে পারি, দায়িত্বটা তো আমাদের কাঁধে নয়।’