জানেন দৌড়াতে পারবেন না, রানার নেওয়ার সুযোগও নেই। তবু যদি একটা-দুটা শট খেলা যায়, যদি ৪০ বছর বয়সী অমিত মিশ্রকে সঙ্গ দিয়ে সম্ভাবনা জাগানো যায়!
স্রেফ মনের জোরকে সঙ্গী করে এগার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামলেন লোকেশ রাহুল। তবে পারলেন না বাকিটা। শট তো পারলেনই না, এমনকি হেঁটে হেঁটে রানও নিতে পারলেন না। বোলার হিসেবে খেলা মিশ্রও পারেননি বিশেষ কিছু করে দেখাতে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১২৬ রান তাড়া করতে নেমে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস থেমে যায় ১০৮ রানে। ১৮ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফ সম্ভাবনা ভালোমতোই বাঁচিয়ে রেখেছে বেঙ্গালুরু। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচে ফ্যাফ ডু প্লেসির দল। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে লক্ষ্ণৌ তিনে।
ম্যাচের শুরুতেই ফিল্ডিং করতে গিয়ে পায়ে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন রাহুল। বেঙ্গালুরুকে স্বল্প রানে আটকে দেওয়ার পর হয়তো ব্যাট করতে হবে না ধরে নিয়েছিলেন। তবে রান তাড়ায় ৭ ওভারে ৩৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ।
চোট গুরুতর হয়ে ওঠার ভয়ে প্যাড পরে থাকার পরও নামা এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন রাহুল। তবে দল নবম উইকেট হারানোর পর আর বসে থাকেননি। নেমে পড়েন মাঠে। তখন জয়ের জন্য দরকার ১০ বলে ২৬ রান।
৩ বল স্ট্রাইকে থাকলেও বাউন্ডারি নিতে পারেননি রাহুল। হাঁটতে পারছিলেন না নিতে পারেননি সিঙ্গেল রানও। মিশ্র একাই যেটুকু চেষ্টা করে গেলেন। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে তুলে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন ৩০ বলে ১৯ রান করা মিশ্র।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বেঙ্গালুরুর শুরুটা মন্দ ছিল না। কোহলি–ডু প্লেসিরা উদ্বোধনী জুটিতে ৭ ওভারে তুলে নেন ৫০ রান। এবারের আইপিএলে বেঙ্গালুরুর প্রথম উইকেটে অষ্টম ফিফটি জুটি এটি। জমে ওঠা জুটিটি ভাঙে কোহলির উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলার চেষ্টায়। ৩০ বলে ৩১ রান করে কোহলি যখন রবি বিষ্ণয়ের স্পিনে স্টাম্পড হন, দলের রান তখন ৬২।
নবম ওভারে কোহলি আউট হলেও ডু প্লেসি টিকেছিলেন ১৭ ওভার পর্যন্ত। তার আগেই একে একে ফিরে যান অনুজ রাওয়াত, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর সুয়াশ প্রভুদেশাইরা। বেঙ্গালুরুর ইনিংসের ষোলোতম ওভারে বৃষ্টি আগমনেরও প্রভাব পড়ে ব্যাটিংয়ে।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাটিং করলেও ৯ উইকেটে ১২৬ রানে আটকে থাকে বেঙ্গালুরুর ইনিংস। কোহলির ৩১, ডু প্লেসির ৪০ বলে ৪৪ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে রান তুলতে পেরেছেন শুধু দিনেশ কার্তিক (১৬)।
এই রানই অবশ্য শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ঠ হয়ে গেছে।