নিজেকে ‘ফিটনেস-ফ্রিক’ বললেন জাহানারা
সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন গত বছরের মে মাসে, বাংলাদেশ নারী দলের শ্রীলঙ্কা সফরে। এরপর ফিটনেস ও ফিল্ডিং–সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয় জাহানারা আলমকে। কিন্তু আবাহনীর হয়ে সর্বশেষ মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়ে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন জাহানারা। ১৯ জুলাই শ্রীলঙ্কায় শুরু হতে যাওয়া মেয়েদের এশিয়া কাপের বাংলাদেশ নারী দলে সুযোগ পেয়েছেন এই অভিজ্ঞ পেসার। ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে জাহানারার ব্যাট থেকে এসেছিল বাংলাদেশের জয়সূচক রান। এবারও তিনি চান সেই সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে।
নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় আজ জাহানারা বলেছেন, ‘গত এক বছরের মধ্যে ৯ মাস আমি মাসকো ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন করেছি। সালাউদ্দিন স্যারসহ ওখানে যাঁরা কোচিং স্টাফ ছিলেন, উনারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার সঙ্গে এবং চেষ্টা করেছেন আমি যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি।’
জাতীয় দলের প্রয়োজনে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চেষ্টা করেছেন বলেও জানিয়েছেন জাহানারা। ‘সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফরম্যান্সও হয়েছে, দীর্ঘ ৯ মাসের পরিশ্রম বলতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে এটা অনেক ভালো অনুভূতি যে আবারও বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি’—বলেছেন এই পেসার।
৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিজেকে ‘ফিটনেস-ফ্রিক’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই ফিটনেস-ফ্রিক। ৯ বছর বয়স থেকেই খেলাধুলা করি, সেটা হ্যান্ডবল, ভলিবল—সবাই জানেন এসব। আন্তস্কুল, আন্তজেলা, আন্তবিভাগ থেকেই শুরু। ২০০৭ সালে যখন ক্রিকেট শুরু করি, তখন থেকে চেষ্টা করেছি যেন ফিটনেস ভালো থাকে।’ ফিটনেসের উন্নতি জাহানারার বোলিংয়ের গতি বাড়াতেও সাহায্য করেছে, ‘আমি একজন পেস বোলার। ২০০৭ সাল থেকে চেষ্টা করেছি একই গতি ধরে রাখতে। গতি বেড়েছে আমার, কমেনি। ফিটেনস ও শক্তি আমাকে সাহায্য করেছে।’
ছন্দে থাকা এই পেসার এখন জাতীয় দলের হয়ে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে আছেন। এশিয়া কাপ দিয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে চান ২০১৮ সালের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে এনে, ‘প্রথম ম্যাচটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা যদি বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক ফল আনতে পারি, তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু হবে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য, যেটা আমরা ২০১৮ সালে করেছিলাম।’