- ২-০ নাকি ১-১?
- বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিয়ে নাটক
- টস
- ফিরলেন মুশফিকরা, অভিষেক জাকিরের
- নিউজিল্যান্ড একাদশ
- সমতা ফেরাতে পারবে বাংলাদেশ?
- এবং বৃষ্টি
- ক্যাপ্টেন নাজমুল, যাঁর প্রেরণা সাকিব-ধোনি
- বোল্ড হয়ে গেলেন জাকির
- ফিরে গেলেন তানজিদ হাসানও
- ভালো শুরুর পর ফিরলেন হৃদয়
- পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা নাজমুলের
- অধিনায়ক বনাম অধিনায়ক
- রিভিউ হারাল নিউজিল্যান্ড
- মুশফিকের রঙবদল
- ঘটনাবহুল ওভারে মুশফিকের দ্বিতীয় ছক্কা
- ফিফটি জুটি
- ফার্গুসনের বলে বোল্ড মুশফিক
- মাহমুদউল্লাহর মাইলফলক
- নাজমুলের ফিফটি
- নাজমুল যেখানে চতুর্থ
- মাহমুদউল্লাহ কট বিহাইন্ড
- নাজমুলকে রেখে ফিরলেন মেহেদীও
- আমিনুলকে ছাড়িয়ে নাজমুল
- ‘নো’ ফার্গুসন
- ম্যাকনকি এনে দিলেন নাজমুলের বড় উইকেট
- হাসান এলবিডব্লিউ
- নাসুমও গেলেন
- ১৭১ রানেই থামল বাংলাদেশ
- ১৭১ রানেই থামল বাংলাদেশ
- বলছেন বোল্ট
- প্রথম ওভারে ৩ চার, ৪ ওভারে ১৮
- সপ্তম ওভারে নাসুম
- ছুটছে নিউজিল্যান্ড
- প্রথম ব্রেকথ্রু শরীফুলের
- হ্যাটট্রিকের সামনে শরীফুল
- হ্যাটট্রিক হয়নি, কিন্তু বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরালেন শরীফুল
- দলের সঙ্গে নেই ম্যানেজার নাফিস ইকবাল
- ১৩ বছর আগে…
- ফক্সক্রফটের হতাশা
- দুবার বাঁচলেন নিকোলস
- বাউন্ডারি-খরা
- ৫০ রানের জুটি
- ইয়াংয়ের ফিফটি
- হাসানের ওভারে ১১, মেহেদীর ওভারে ১০
- নাসুমের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে থামলেন ইয়াং
- ব্লান্ডেলের ৫
- ৭ উইকেটে ম্যাচ, ২-০-তে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড
- বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
- জানা কথাটিই বললেন নাজমুল
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইয়াং, সিরিজ নিকোলস
- সেবার ভেট্টরি, এবার ফার্গুসন
২-০ নাকি ১-১?
প্রথম ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে, দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নামছে স্বাগতিকেরা। বাংলাদেশ আজ নামবে নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের অধীনে। আগের দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা লিটন দাস বিশ্রামে আছেন।
কিছুক্ষণের মাঝেই মিরপুরে হবে টস। প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিয়ে নাটক
আজ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে বাংলাদেশ, জানা গিয়েছিল এমন। ভারতের উদ্দেশ্যে দলের রওনা হওয়ার কথা আগামীকালই। তবে এর আগে চলছে নাটক। সেটি মূলত তামিম ইকবাল দলে থাকবেন কি না, সেটি ঘিরেই।
টস
টেলস ডেকেছিলেন লকি ফার্গুসন। পড়েছে হেডস। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন নাজমুল। এর পেছনের কারণ হিসেবে বলেছেন, উইকেট শুষ্ক বলে আগে স্কোরে রান জমা করতে চান তাঁরা।
ফিরলেন মুশফিকরা, অভিষেক জাকিরের
প্রথম দুই ম্যাচে বিশ্রামে থাকা মুশফিকুর রহিম ও শরীফুল ইসলাম দলে ফিরেছেন। নাজমুল তো অধিনায়কত্বই করছেন। অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকির হাসানের। লিটন দাস, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান নেই আজকের দলে।
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, জাকির হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
সফরকারীদের দলে দুটি পরিবর্তন। চ্যাড বস ও কাইল জেমিসনের জায়গায় খেলছেন ডিন ফক্সক্রফট ও অ্যাডাম মিলনে।
ফিন অ্যালেন, উইল ইয়াং, ডিন ফক্সক্রফট, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল, রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাকনকি, ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনে, লকি ফার্গুসন (অধিনায়ক) ও ট্রেন্ট বোল্ট।
সমতা ফেরাতে পারবে বাংলাদেশ?
এবং বৃষ্টি
এ সময়ে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা খেলা। তবে মিরপুরে নেমেছে বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়িই। আপাতত পিচ ঢাকা কভারে।
ক্যাপ্টেন নাজমুল, যাঁর প্রেরণা সাকিব-ধোনি
লিটন দাস না থাকায় শেষ ম্যাচের জন্য নতুন একজন অধিনায়কও নির্বাচন করতে হতো বিসিবিকে। এ আলোচনায় ছিল দুটি নাম—মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল। দুজনের মধ্যে মিরাজই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু পায়ে হালকা চোট থাকায় কাল মিরাজের খেলা নিয়েই সংশয় আছে। মিরাজকে নিয়ে তাই ঝুঁকি নিতে চায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা তাই তুলে দেওয়া হয় নাজমুলের হাতে।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল তাঁর অধিনায়কত্বের প্রেরণা হিসেবে বলেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম।
বোল্ড হয়ে গেলেন জাকির
ওয়ানডে অভিষেকটা সুখকর হলো না জাকির হাসানের। পেসার অ্যাডাম মিলনের বলে ৫ বলে ১ রান করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। অধিনায়ক নাজমুল এসেছেন ব্যাটিংয়ে। অন্যপ্রান্তে তানজিদ হাসান ৪ বলে ৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। ২ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ৮।
ফিরে গেলেন তানজিদ হাসানও
জাকির হাসানের পর ফিরে গেলেন তানজিদ হাসানও। ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৮। বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডেতে বোল্টের এটাই প্রথম উইকেট।
ভালো শুরুর পর ফিরলেন হৃদয়
উইকেটে এসে প্রথম বলেই বোল্টকে ৪ মেরেছেন। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা তাওহিদ হৃদয় এরপর আরও দুটি চার মেরেছেন। সব মিলিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত। কিন্তু ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। অ্যাডাম মিল্নেকে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইয়াংকে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফিরেছেন ১৭ বলে ১৮ রান করে।
পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা নাজমুলের
প্রথম চারটি পুল করে। তবে পরেরটি এসেছে ভাগ্যের সহায়তায়। লেংথ বলে আগেভাগেই ব্যাট চালিয়ে ফেলেছিলেন নাজমুল। এজড হলেও তাতে পেয়েছেন বাউন্ডারি। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ অধিনায়কের সামনে কঠিন কাজ, সঙ্গে আছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ৫ বলে রান করতে পারেননি তিনি।
৮ ওভারে ৪৮/৩।
অধিনায়ক বনাম অধিনায়ক
প্রথম ৩ বলে ডট। এরপর শর্ট বলে পুল। পরের বলে বাড়তি গতিতে পরাস্ত। এরপর লো ফুলটসে বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে মিড অফের বাঁ দিক দিয়ে চার। অধিনায়ক ফার্গুসনের সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুলের দ্বৈরথে দেখা গেল এমন। দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও নাজমুল দারুণ ইতিবাচক। ২৬ বলে করেছেন ৩১ রান।
৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিককে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করছেন নাজমুল। ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৬২ রান।
রিভিউ হারাল নিউজিল্যান্ড
মানকাডিংয়ের শিকার, এরপর আবার প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক আবেদন তুলে নেওয়াতে জীবন পাওয়া। বোলিংয়ে ৬ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ইশ সোধির জন্য ছিল স্মরণীয়। এ লেগ স্পিনার আজ প্রথমবারের মতো আসেন ইনিংসের নবম ওভারে। সে ওভারে নাজমুল একটি চার মেরেছিলেন। যদিও পরের ওভারে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সোধি, দিয়েছেন মাত্র ২ রান। মুশফিক এখনো খোলসের মধ্যে।
সেই মুশফিকের বিপক্ষেই নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে প্রথম রিভিউ। গুগলিতে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলার চেষ্টা সফল হয়নি মুশফিকের। তবে ইমপ্যাক্ট ছিল বাইরে। আম্পায়ার গাজী সোহেলের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থেকেছে তাই।
১১ ওভারে ৬৪/২।
মুশফিকের রঙবদল
প্রথম ১৫ বলে মুশফিক করেছিলেন ৪ রান। ফার্গুসনের কাছ থেকে একটা ফ্রি হিট পেয়েও তাতে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি আগের ওভারে। এবার সোধির বল স্লটে পেয়ে যেন মুশফিক বলে উঠলেন, অনেক হয়েছে, আর না! টেনে লং অনের ওপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন মুশফিক। ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।
১৩ ওভারে ৭৬/৩।
ঘটনাবহুল ওভারে মুশফিকের দ্বিতীয় ছক্কা
ফার্গুসনের এ ওভারে মুশফিক সৌভাগ্যবান ছিলেন, বলতেই হবে। শর্ট বলে আপার কাট করেছিলেন বল গেছে ডিপ থার্ডে। সেখানে লাফিয়ে উঠে হাত লাগাতে পারলেও ক্যাচটি নিতে পারেননি রাচিন রবীন্দ্র। মুশফিক পেয়েছেন দ্বিতীয় ছক্কা। এরপর ভেতরের দিকে ঢোকা বলে হয়েছিল এলবিডব্লিউর আবেদন। আম্পায়ার আউট দেননি। নিউজিল্যান্ডও রিভিউ নেয়নি। বল ট্র্যাকিং-ও দেখিয়েছে, বল মিস করে যেত লেগ স্টাম্প।
ফিফটি জুটি
এ জুটিতে প্রথম ৩২ রানের মধ্যে মুশফিকের অবদান ছিল মাত্র ৩। এরপর গতি বাড়িয়েছেন তিনি। নাজমুল ও মুশফিকের চতুর্থ উইকেট জুটি পেরিয়ে গেছে ফিফটি। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এমন জুটিতে বাংলাদেশ ভালো একটা অবস্থানে এখন। উল্টো চাপে নিউজিল্যান্ডই।
১৫ ওভারে ৮৮/৩।
ফার্গুসনের বলে বোল্ড মুশফিক
ওহ মুশফিক! ফুটবলের স্কিলটা ঠিক কাজে লাগল না!
ফার্গুসনের বাড়তি বাউন্সের বল ইনসাইড-এজের পর যাচ্ছিল স্টাম্প বরাবর। ঘুরে পা চালিয়েছিলেন মুশফিক, কিন্তু বলটিকে সরাতে পারেননি। সেটি ভেঙেছে স্টাম্পের চূড়া। অসহায় মুশফিক দেখেছেন তাঁর বোল্ড হওয়া।
ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন বলে মনে হচ্ছিল, কিন্তু ড্রিংকসে ছন্দপতন হয়ে গেল। বিরতির ঠিক পরের বলেই বোল্ড তিনি। ২৫ বলে ১৮ রান করে ফিরেছেন, নাজমুলের সঙ্গে মুশফিকের জুটি থেমেছে ৫৩ রানে।
নিচে ছবিতে দেখুন মুশফিকের বোল্ডের গল্প (ছবি: শামসুল হক)
মাহমুদউল্লাহর মাইলফলক
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের পর চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫ হাজার রান পূর্ণ করলেন মাহমুদউল্লাহ। ফার্গুসনের বলে ডাবলস নিয়ে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
আগের ম্যাচে ৪৯ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন, দলকে পার করাতে পারেননি। আজও বড় দায়িত্ব তাঁর সামনে। নাজমুল ও মুশফিকের জুটিতে বাংলাদেশ এগোচ্ছিল ভালোভাবেই, সে জুটি ভেঙে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে নিউজিল্যান্ড।
মাহমুদউল্লাহর সামনে আবারও আনা হয়েছে পার্ট-টাইমার কোল ম্যাকনকিকে। তাঁর লেগ সাইডের বলে আগের ম্যাচে আউট হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
এ ওভারেই ১০০ উঠেছে। ১৮ ওভারশেষে স্কোর ৪ উইকেটে ১০০ রান।
নাজমুলের ফিফটি
৫৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করলেন নাজমুল। ক্যারিয়ারে পঞ্চম।
এশিয়া কাপে শুরুটা দারুণ করেছিলেন নাজমুল। এরপরই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে যান। তাঁর অভাব বাংলাদেশ টের পেয়েছিল ভালোভাবেই।
কিন্তু চোটেও ছন্দপতন হয়নি এ বাঁহাতির। আজ অধিনায়কত্বের চাপও আছে। নাজমুল অবশ্য শুরু করেছেন যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই। দ্বিতীয় ওভারেই নামতে হয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ককে। এরপর দলের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৩৫ রান।
শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিলেন, পাল্টা আক্রমণ করে গেছেন। মুশফিকের সঙ্গে জুটিতে এগিয়ে নিয়েছিলেন অনেকটাই। সে জুটি ভেঙেছে। এবার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ার পালা। নাজমুল জানেন, কাজটি শেষ হয়নি তাঁর।
নাজমুল যেখানে চতুর্থ
আমিনুল ইসলাম, হাবিবুল বাশার, সাকিব আল হাসানের পর চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে অধিনায়কত্বের অভিষেকেই ওয়ানডেতে ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন।
মাহমুদউল্লাহ কট বিহাইন্ড
শুরুটা ভালো করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না। মিলনের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ডিফেন্ড করতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়েছেন ২৭ বলে ২১ রান করে। নাজমুলের সঙ্গে তাঁর জুটি থেমেছে ৪৯ রানেই।
২৫ ওভার শেষ না হতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে পঞ্চম উইকেট।
নাজমুলকে রেখে ফিরলেন মেহেদীও
তিনে নেমেছিলেন নাজমুল। এখনো ইতিবাচক তিনি। কিন্তু তাঁকে রেখে একে একে ফিরছেন সবাই। সর্বশেষ ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হলেন মেহেদী হাসান। ঠিক আগের বলেই কাট করে চার মেরেছিলেন, এবার একই লাইন ও লেংথের বলে আবার কাট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হয়েছেন ইনসাইড-এজ। বাকি কাজটি উইকেটের পেছনে সেরেছেন টম ব্লান্ডেল।
এখনো ২২ ওভারের বেশি বাকি, বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। মেহেদী থেমেছেন ১৪ বলে ১৩ রান করে।
আমিনুলকে ছাড়িয়ে নাজমুল
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে ফিফটি পাওয়া চতুর্থ ক্রিকেটার নাজমুল। ১৯৯৮ সালে ভারতের বিপক্ষে মোহালিতে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে ফিফটি পেয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম (৭০)। আমিনুলের স্কোরই এতদিন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ ছিল। নাজমুল আজ ছাড়িয়ে গেলেন তাঁকে।
‘নো’ ফার্গুসন
নিজের ষষ্ঠ ওভারে তৃতীয় নো বলটি করলেন ফার্গুসন। তবে তাঁর তিনটি ফ্রি হিটে এসেছে মাত্র ৩ রান। সর্বশেষ ফ্রি হিটে রানই নিতে পারেননি নাসুম।
নাজমুলকে আপাতত সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করছেন মেহেদী। মুশফিক শুরুতে নাজমুলকে শুধু সঙ্গই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, এরপর খোলস ছেড়ে বেড়োনোর আভাস দেওয়ার পরই হয়ে যান আউট। মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী অবশ্য শুরু থেকে নিজেরাই আক্রমণের চেষ্টা করে গেছেন। টেকেননিও বেশিক্ষণ।
এবার নাসুমের পালা। আপাতত বল পার করার দিকেই নজর তাঁর। সর্বশেষ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ৪০-পেরোনো ইনিংস খেলা নাসুমের ব্যাটিংয়ে উন্নতি স্পষ্টই। আজ তাঁর দায়িত্বটা বেশি।
৩১ ওভারে ১৬৮/৬।
ম্যাকনকি এনে দিলেন নাজমুলের বড় উইকেট
নাজমুল থামলেন। সেটিও পার্টটাইমার কোল ম্যাকনকির বলে।
প্রথম ৩ ওভারে ১৫ রান দেওয়া ম্যাকনকিকে ৩২তম ওভারে ফেরান ফার্গুসন। দ্বিতীয় বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন নাজমুল। মিস করে গেছেন। নিতিন মেননের আউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন। কিন্তু ইমপ্যাক্ট ও উইকেট—দুটিই বিপক্ষে গেছে তাঁর।
নাজমুলের দারুণ ইনিংস শেষ ৭৬ রানে। ৮৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১০টি চার। বাংলাদেশ হারিয়েছে সপ্তম উইকেট। আরেকবার আগেভাগেই অলআউটের শঙ্কায় স্বাগতিকেরা।
হাসান এলবিডব্লিউ
এ ডেলিভারির গায়েই যেন লেখা ছিল আউট। রাচিন রবীন্দ্রর মিডলে পড়া বল, হাসানের ব্যাট নাগাল পায়নি সেটির। গাজী সোহেলের সিদ্ধান্ত রিভিউ করারও প্রয়োজন বোধ করেননি হাসান। করলে লাভ হতোও না। বল ট্র্যাকিং-ও দেখিয়েছে সেটি। বাংলাদেশ হারাল অষ্টম উইকেট। ১৬৯ রানেই।
নাসুমও গেলেন
নাসুম বোল্ড হননি অল্পের জন্য। সে পর্যন্ত ভাগ্য পাশেই ছিল। এরপর আর থাকল না। সে বলেই হয়েছেন স্টাম্পিং।
ম্যাকনকিকে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন নাসুম। উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেল যতক্ষণে বেলস ফেলেন, নাসুমের পা ছিল দাগের ওপরই। টেলিভিশন আম্পায়ার মারাই এরাসমাস আউটই দিয়েছেন।
৩৩.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭১ রান, বাকি শেষ উইকেট।
১৭১ রানেই থামল বাংলাদেশ
১৩৭ রানে ৪ উইকেট থেকে ১৭১ রানে অলআউট। মানে ৩৪ রানেই বাংলাদেশ হারাল শেষ ৬ উইকেট।
সর্বশেষ শরীফুল ইসলাম ক্যাচ তুলেছেন অ্যাডাম মিলনের বলে। দলে ফিরে নিউজিলিয়ান্ড পেসার নিলেন ৪ উইকেট।
১৭১ রানেই থামল বাংলাদেশ
১৩৭ রানে ৪ উইকেট থেকে ১৭১ রানে অলআউট। মানে ৩৪ রানেই বাংলাদেশ হারাল শেষ ৬ উইকেট। ৩৪.৩ ওভারেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা।
সর্বশেষ শরীফুল ইসলাম ক্যাচ তুলেছেন অ্যাডাম মিলনের বলে। দলে ফিরে নিউজিলিয়ান্ড পেসার নিলেন ৪ উইকেট।
টসে জিতে নাজমুল ব্যাটিং নেওয়ার সময় বলেছিলেন, উইকেট শুষ্ক বলে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা। আগের দুই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করেছিল নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি মোটেও। টপ অর্ডার ধসে গেছে দ্রুতই, ৩৫ রানেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে শুরুর চাপ থেকে বের করে এনেছিলেন নাজমুল। কিন্তু মুশফিক ও পরে মাহমুদউল্লাহ—দুজন ফেরেন আগেভাগেই।
নাজমুলের ওপর চাপ বাড়ে তাতে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অধিনায়ক থামেন ৭৬ রানে। ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান মাহমুদউল্লাহর।
১-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের সমতায় ফেরার কাজটি এখন বেশ কঠিন।
বিশ্বকাপের দল, নজর সেখানেই?
বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিয়ে নাটক শুরু হয়েছে আগে থেকেই। এ ম্যাচের চেয়েও নজর যেন বেশি সেখানেই।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ঘিরে কী হচ্ছে, সেটি জানতে চোখ রাখুন নিচের লিঙ্কে।
বলছেন বোল্ট
যেভাবে ছেলেরা ফিরে এসেছে, কৃতিত্ব দিতেই হবে। বাংলাদেশ ব্যাটাররা আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে, তবে আমরা ইতিবাচক ছিলাম। আমাদের ভালোভাবে ব্যাট করতে হবে, হালকাভাবে নিলে হবে না।
প্রথম ওভারে ৩ চার, ৪ ওভারে ১৮
শরীফুলের প্রথম ওভারেই চড়াও হয়েছেন ফিন অ্যালেন। মেরেছেন টানা তিনটি চার।
পরের ৩ ওভারে এসেছে আরেকটি বাউন্ডারি। ইতিবাচক শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। এ ম্যাচে লড়াইয়ে থাকতে গেলে বাংলাদেশের প্রয়োজন দ্রুত উইকেট।
সপ্তম ওভারে নাসুম
প্রথমবারের মতো এলেন স্পিনার। তবে প্রথম ওভারে সফল হননি নাসুমও। চতুর্থ বলে সুইপ করে চার মেরেছেন উইল ইয়াং। নিউজিল্যান্ড ছুটছে, ৭ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৩৩ রান। বিনা উইকেটেই।
ছুটছে নিউজিল্যান্ড
নাসুম আহমেদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন উইল ইয়াং। শেষে গিয়ে আরেকটি চার মারেছেন অ্যালেন। নিউজিল্যান্ড পেয়েছে দারুণ শুরু। উইকেটের খোঁজে হয়রান বাংলাদেশ।
প্রথম ব্রেকথ্রু শরীফুলের
এ শটের জন্যই ফিল্ডার রাখা হয়েছিল সেখানে। শরীফুলের শর্ট বলে পুল করেছিলেন ফিন অ্যালেন, তবে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে থেকে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। ডিপ মিডউইকেটে নাসুম আহমেদের হাতে গেছে ক্যাচ। বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম ব্রেকথ্রু। নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি থেমেছে ৪৯ রানে।
হ্যাটট্রিকের সামনে শরীফুল
একটি এলে আরেকটি আসে! শরীফুল ইসলামের দুর্দান্ত ডেলিভারি। ফুললেংথ। স্ট্রেইট। পড়ার পর হালকা মুভমেন্ট। অভিষিক্ত ডিন ফক্সক্রফট বোল্ড মুখোমুখি প্রথম বলেই। টানা ২ উইকেট নিয়ে উজ্জীবিত শরীফুল, উজ্জীবিত বাংলাদেশ!
হ্যাটট্রিক হয়নি, কিন্তু বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরালেন শরীফুল
হ্যাটট্রিক বলে হয়েছিল জোরাল আবেদন। নিকোলসের আউটসাইড-এজের বাইরে দিয়েই গেছে শরীফুলের বল। বাংলাদেশ অবশ্য রিভিউ করেনি, নিলেও লাভ হতো না। তবে আগুন ঝড়িয়েছেন শরীফুল। প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে ফিরিয়েছেন লড়াইয়ে।
১০ ওভারশেষে নিউজিল্যান্ড ৪৯/২।
১০ ওভারশেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬২/৩।
দলের সঙ্গে নেই ম্যানেজার নাফিস ইকবাল
এ ম্যাচে বিশ্রামে আছেন তামিম ইকবাল। তবে গতকাল থেকেই বিশ্বকাপের দলে তাঁর থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে নাটক। এদিকে আজ দলের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে নেই তাঁর ভাই ও দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। জানা গেছে, শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় খেলা শুরুর আগেই ড্রেসিংরুম ছেড়ে চলে গেছেন তিনি।
১৩ বছর আগে…
বাংলাদেশ সমর্থকেরা, এখনই আশা এত উঁচুতে ওঠাবেন না। এটা স্রেফ একটা রেকর্ডই। এখন পর্যন্ত আগে ব্যাটিং করে সবচেয়ে কম রান করে জেতার রেকর্ডটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। ২০১০ সালে মিরপুরেই পঞ্চম ম্যাচটি বাংলাদেশ ৩ রানে জিতেছিল ১৭৪ রান ডিফেন্ড করে। আর তাতেই নিশ্চিত হয়েছিল ‘বাংলাওয়াশ’।
এবার অবশ্য বাংলাদেশ ‘রিসিভিং এন্ডে’। ১-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের লড়াই সমতা ফেরানোর।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬২/২।
ফক্সক্রফটের হতাশা
অভিষেক ইনিংস। প্রথম বলেই আউট। ডিন ফক্সক্রফট আজ পুড়েছেন এমন হতাশায়। শরীফুলের বলে বোল্ড হয়েছেন ওটাগোর ২৫ বছর বয়সী তরুণ।
তবে সেটি ১০ম ওভারের ঘটনা। হেনরি নিকোলস ও উইল ইয়াংয়ের জুটি এরপর নিরাপদেই পার করেছে আরও ৭ ওভারের বেশি। দুজনের জুটিতে শরীফুলের জোড়া আঘাতের চাপ কাটিয়ে উঠেছে অনেকটাই সফরকারীরা।
১৭ ওভারে ৮৪/২।
দুবার বাঁচলেন নিকোলস
খালেদ উদ্যাপনই করছিলেন। আম্পায়ারও একটু পর দেন আউট। কিন্তু নিকোলস রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই। শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন নিকোলস। ব্যাট চালিয়েছিলেন আগেভাগেই। আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে, বল ব্যাটের ধারাকাছেও ছিল না। হাতে লাগার পর গিয়ে আঘাত করে হেলমেটের গ্রিলে। এরপর কনকাশন প্রটোকলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।
পরের বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আর সাড়া দেননি সোহেল। এবার বাংলাদেশ নেয় রিভিউ। কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। নিকোলসের যেন কই মাছের প্রাণ!
২০ ওভারশেষে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ২ উইকেটে ৯৩ রান। এ সময়ে বাংলাদেশ ১০৯ রান তুললেও হারিয়েছিল ৪ উইকেট।
বাউন্ডারি-খরা
৪০ বল আগে এসেছে শেষ বাউন্ডারি। অবশ্য বাউন্ডারির যে নিউজিল্যান্ডের খুব একটা দরকার আছে এখন, তাও না। শেষ ৪ ওভারে উঠেছে ৭ রান। এ চাপে উইকেট আসবে কি না, সেটিই প্রশ্ন। না এলে আসলে এমন চাপ তৈরি বৃথাই।
৫০ রানের জুটি
নিকোলস ও ইয়াং যোগ করলেন ৫০ রান। নিউজিল্যান্ড ২৪তম ওভারে তুলেছে ১০০ রান। প্রথম ৫০ রান করতে ৬১ বল লাগলেও পরের ৫০-এ লেগেছে ৮২ বল। কিন্তু ঘুরেফিরে আগের কথাটিই—তাতে কিছু যায় আসে না এখন নিউজিল্যান্ডের। ২৬ ওভারে তাদের প্রয়োজন মাত্র ৭১ রান।
ইয়াংয়ের ফিফটি
ইয়াং ফিফটি পূর্ণ করলেন নাসুম আহমেদকে ছক্কা মেরে। সামনে পা সরিয়ে নিয়ে লং অনের ওপর দিয়ে টেনে মেরেছেন সেটি। ক্যারিয়ারে ইয়াংয়ের এটি দ্বিতীয় ফিফটি, এবার লেগেছে ৬৪ বল।
হাসানের ওভারে ১১, মেহেদীর ওভারে ১০
৮ ওভারের মধ্যে প্রথম বাউন্ডারিটি এসেছে নাসুমের বলে, মেরেছেন নিকোলস। পরের ওভারে হাসানকে পরপর ২ বলে চার মেরেছেন ইয়াং। ১ ওভার পর মেহেদীর ওপর চড়াও হন ইয়াং, প্রথম ২ বলে চারের পর মারেন ছক্কা। জয়ের পথে নিউজিল্যান্ড এগোচ্ছে দ্রুতগতিতেই, ২৯ ওভারে উঠেছে ১৩০ রান। ১২৬ বলে প্রয়োজন ৪২ রান।
নাসুমের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে থামলেন ইয়াং
এর আগেও এমন বল করেছেন, তবে উইকেট পাননি। এবার নাসুম পেলেন।
রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ড্রিফট করে ঢোকা বলটি পড়েছে মিডলে। এরপর টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার পথে ভেঙেছে অফ স্টাম্প। ইয়াং থেমেছেন ৮০ বলে ৭০ রানের দারুণ ইনিংসে। নাসুমের এ উইকেট পাওয়া সান্ত্বনা হিসেবেই থাকে কি না, প্রশ্ন সেটিই। সম্ভাবনাও বেশি সেটিরই।
ব্লান্ডেলের ৫
বাজে ফিল্ডিংয়ের প্রদর্শনী বলা যায় এটিকে। সিঙ্গেল হওয়ার কথা ছিল শুধু। মিড অফে থাকা তাওহিদ হৃদয়ের থ্রো সরাসরি ভাঙে নন স্ট্রাইক প্রান্তে। এরপর দিক পরিবর্তন করে সেটি। কিন্তু শর্ট থার্ডম্যান সেটি নিতে পারেননি। এরপর বলের পেছনে ছোটা শরীফুল ইসলামও ব্যর্থ হয়েছেন বল আটকাতে। যদিও নাগালেই ছিল বলটি তাঁর।
পরের ওভারে মাহমুদউল্লাহর প্রথম ২ বলে ছক্কা ও চার মেরেছেন নিকোলস। নিউজিল্যান্ডের দরকার এখন মাত্র ১৭ রান।
৭ উইকেটে ম্যাচ, ২-০-তে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড
বাই থেকে এল নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করা রান। ১৫.১ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জিতল নিউজিল্যান্ড। সিরিজ জিতল ২-০ ব্যবধানে। ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়।
১৭২ রানের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন ফিন অ্যালেন ও উইল ইয়াং। দশম ওভারে পরপর ২ বলে তাদের ফিরিয়ে একটু আশা দিয়েছিলেন শরীফুল। কিন্তু সে পর্যন্তই। নাসুম যখন ইয়াংকে ফিরিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের জয় তখন ছিল সময়ের অপেক্ষা।
ইয়াং ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন নিকোলস। ফিফটি করতে তাঁর লাগে ৮৬ বল, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ধীরগতির ফিফটি এটি তাঁর। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় এটিকেই বলতে হবে দারুণ ইনিংস। তিনি নেমেছিলেন শরীফুলের জোড়া আঘাতের ওই ওভারে। সময় নিয়েছেন, সতর্ক থেকেছেন। মাঠ ছেড়েছেন জয় নিশ্চিত করেই।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর এবারও বাংলাদেশের হারের মূল কারণ হিসেবে সামনে আসবে ব্যাটিং ব্যর্থতা। নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে এক নাজমুল ছাড়া সে অর্থে দাঁড়াতেই পারেননি কেউ।
এ নিয়ে ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের তিনটিতেই হারল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে যে ফল মোটেও চায়নি তারা।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
অবশেষে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেখানে নেই তামিম ইকবাল। জায়গা হয়েছে মাহমুদউল্লাহর।
জানা কথাটিই বললেন নাজমুল
আমরা ইনিংস বড় করতে পারিনি, শুরু করতে পারলেও বড় স্কোর পায়নি কেউ।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইয়াং, সিরিজ নিকোলস
৭০ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইয়াং।
সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন হেনরি নিকোলস। ৪৪, ৪৯ রানের পর আজ ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। তিন ম্যাচেই চাপের মুহুর্তে ইনিংস ধরে রেখেছিলেন এ বাঁহাতি।
সেবার ভেট্টরি, এবার ফার্গুসন
২০০৮ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক ছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি। এবার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পেয়ে সিরিজ জেতালেন লকি ফার্গুসন।