ডিম খেয়ে গতির ঝড় তোলেন হারিস রউফ
‘এমন গতিতে বোলিং করলে স্লোয়ার করার দরকার কী!’
হারিস রউফের একটি বলে মুনিম শাহরিয়ার পরাস্ত হওয়ার পর ধারাভাষ্যে শোনা গেল এমন। বিপিএলে এবারই প্রথম খেলতে এলেন হারিস রউফ। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে হেরেছেন, তবে গতির ঝড় ঠিকই তুলেছিলেন পাকিস্তান ফাস্ট বোলার।
গতির জন্য পরিচিত হলেও হারিস বলছেন, কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়েই বোলিং করেন তিনি। ফাস্ট বোলারদের জন্য ডায়েটের গুরুত্ব অনেক, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন এ ফাস্ট বোলার। তাঁর সে ডায়েটের অনেকটা জুড়েই আছে ডিম খাওয়া।
তরুণ ফাস্ট বোলারদের জন্য কোনো পরামর্শ আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে হারিস বলেন, ‘গতি তো আসলে সহজাত একটা ব্যাপার। তবে অনুশীলন আর ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ শেষে রিকভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হোটেলে ফিরে কী খাচ্ছেন। কখন ঘুমাচ্ছেন।’
কদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে হারিস বলেছিলেন, তিনি নাকি দিনে ২৪টি ডিম খান। আদতে কী তাঁর খাদ্যতালিকা কেমন, এমন প্রশ্ন করা হলে হারিস একটু হেসে জবাব দিলেন, ‘আমার সাক্ষাৎকার দেখলে পাবেন (হাসি)...ডিম খাই। ডিম থেকে মূলত প্রোটিনটা নিই। ফাস্ট বোলারের জন্য প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীরে পরিমিত প্রোটিন থাকলে আপনি মাঠে ভালো পারফর্ম করবেন।’
তবে যতই খাটুন না কেন, গতিতে যে নাটকীয় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, হারিস মনে করেন এমন, ‘(এটি তো) সহজাত। আপনি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন, তাহলে ৫ কিলোমিটার হয়তো বাড়াতে পারবেন। এমন না যে ছয় মাস বা এক বছর কঠোর পরিশ্রম করে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারবেন। ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটারের বেশি বাড়বে না। তবে ডায়েট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতিও।’
তাঁর গতিটা সহজাত, হারিস মনে করিয়েছেন সেটিই। তবে গতিই তাঁর একমাত্র অস্ত্র নয়, ‘জোরে বল করার কথা আমার মাথায় থাকে না। আমি ভালো লাইন-লেংথে বোলিংয়ের চিন্তা করি। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট ও কন্ডিশনের চাহিদা কী, তা–ও দেখতে হবে। উইকেট যদি স্লোয়ার ডেলিভারির জন্য ভালো হয়, তাহলে সেটা করা খারাপ কী! উইকেট যদি এমন হয় যে গুড লেংথে করতে হবে, তাহলে গুড হার্ড লেংথে নয় কেন!’
বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন হারিস। তাঁর দল রংপুর রাইডার্স অবশ্য খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানেই। মৌসুমে প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল, দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগ করেছেন ৮৭ রান।
ম্যাচ শেষে তামিমকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি হারিস, ‘আপনারা দেখেছেন উইকেট ধীরগতির ছিল। লো স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে। এক জুটিতে ম্যাচ বের করে নিয়েছে। তামিমকে কৃতিত্ব দিতে হয়।’