যৌন হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করলেন আলভেজ
আইনি প্রক্রিয়াটা ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে দানি আলভেজের জন্য। বার্সেলোনা শহরের সাটন ক্লাবে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেল খাটতে হচ্ছে দানি আলভেজকে। আদালতে মামলার শুনানি চলছে। জামিনও পাননি ব্রাজিলীয় তারকা। গত ২৩ জানুয়ারি ব্রায়ানস টু জেলহাজত থেকে তাঁকে ব্রায়ানস ওয়ানে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জেরায় একেক সময় একেক রকম কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান তারকার বিরুদ্ধে। এবার স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল আনতেনা-৩’র সাংবাদিক সংশ্লিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে জেনেছেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা ২৩ বছর বয়সী সেই নারীর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা বলছে, কার্লোস কুইলেজের দেওয়া এই তথ্য সঠিক হলে আলভেজ চতুর্থবারের মতো নিজের জবানবন্দী পাল্টালেন। এতে এই মামলা তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাওয়ার শঙ্কা আরও বাড়ল।
কার্লোস বলেন, ‘আলভেজ সেই নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
এর আগে আলভেজ যতবার নিজের জবানবন্দী দিয়েছেন, ততবারই বার্সেলোনার সেই অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে যেকোনো ধরনের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী ক্রিস্তোবাল মরতেল স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল আনতেনা-৩ কে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলেন। আলভেজ কেন একেক সময় একেক রকম বক্তব্য রাখছেন, সে ব্যাখ্যায় মরতেল বলেছিলেন, ‘যা ঘটেছে, সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছে। কিন্তু আলভেজ এটা জনসমক্ষে বলতে চাননি। কারণ, তিনি ভয় পাচ্ছিলেন, সবাই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার বিষয়টি জেনে যাবে।’
সম্প্রতি আলভেজের স্ত্রী মডেল তারকা জোয়ানা সানজ কারাগারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তাঁর স্বামীর জীবনের এই কঠিনতম সময়ে তাঁকে ছেড়ে যাবেন না তিনি। আলভেজের নতুন স্বীকারোক্তি সানজ এখন কীভাবে নেবেন, সেটিই দেখার বিষয়। এমনিতে আলভেজ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সানজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে।
প্রথম জবানবন্দীতে আলভেজ বলেছিলেন, তিনি সেই নারীকে চেনেন না। পরে তিনি স্বীকার করেন তাঁকে তিনি একবার রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়েছিলেন। তৃতীয়বার তিনি ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা বলেছিলেন। স্প্যানিশ সাংবাদিকের তথ্যানুযায়ী, এবার তিনি যৌন সম্পর্ক স্থানের কথাই স্বীকার করেছেন। পুরো বিষয়টিই আলভেজের আইনি প্রক্রিয়াকে জটিল করে ফেলেছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর ১২ বছরের কারাবাস হতে পারে।
ঘটনাটি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের। আলভেজ ওই সময় মেক্সিকান ক্লাব পুমাসের খেলোয়াড় ছিলেন। বর্ষবরণের রাতে কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বার্সেলোনায় একটি নৈশ ক্লাবে যান তিনি। সেখানে সেই নারীও ছিলেন। পরদিনই সেই নারী অভিযোগ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা তাঁর শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা করেছেন। আলভেজ ততক্ষণে মেক্সিকোয় ফিরে গেছেন। অভিযোগ ওঠার পর পুমাসের হয়ে একটি ম্যাচও খেলেন। স্পেনে ফেরার পর ২০ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।