আগে জানলে আয়ারল্যান্ড সিরিজ খেলতেন না হাথুরুসিংহে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা, কিন্তু সেটি হচ্ছে ইংল্যান্ডে। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এমন দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের নেই বললেই চলে। তার ওপর যে সময়ে খেলা হচ্ছে, সেটিও আদর্শ নয়। ইংল্যান্ডে এখন গ্রীষ্মের শুরু। এ সময়ে বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়ারই আধিপত্য থাকে। বৃষ্টির কারণেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতিটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের যত হতাশা এ নিয়েই। সোমবার চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শেষে সিরিজ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সেই হতাশার কথাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের হেড কোচ, ‘খুবই বিরল ঘটনা এটি। আমরা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছি ইংল্যান্ডের মাটিতে। সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে না। আমরা কাউকে দোষারোপ করছি না। আগে জানলে এমন সূচিতে খেলতেই রাজি হতাম না। কারণ, এই অবস্থায় আদর্শ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
বাংলাদেশ দল আজই সিরিজের ভেন্যু চেমসফোর্ডে প্রথম অনুশীলন করেছে। এর আগে স্থানীয় এক স্কুলের মাঠে দুই দিন অনুশীলন করেছেন তামিম-মুশফিকরা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠ ফেনার্সে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে একটি প্রস্ততি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে সেটি ভেস্তে যায়। এক দিন বিশ্রামের পর সে মাঠেই আরও একটি অনুশীলন সেশন করার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিভেজা মাঠের কারণে সেদিন ইনডোরেই অনুশীলন করতে বাধ্য হয়েছেন ক্রিকেটাররা।
আগামীকাল আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এর আগে এক দিনই ম্যাচের ভেন্যুতে অনুশীলন করতে পেরেছেন হাথুরুসিংহের ছাত্ররা। উইকেটের চরিত্র কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কেও একটা ধারণাও পেয়েছে বাংলাদেশ দল, ‘উইকেট দেখে তো ভালোই মনে হয়েছে। মাটি অনেক শক্ত। সবুজও। হয়তো বৃষ্টির কারণে গত কয়েক দিন কাভারে ঢাকা থাকার কারণেই উইকেট এখনো সবুজ। এখন পর্যন্ত উইকেট ভালোই মনে হচ্ছে।’
চেমসফোর্ডের মাঠের আকৃতিও চোখে পড়ার মতো। এক পাশ ছোট, আরেক পাশ বড়। এমন মাঠে ক্রিকেটারদের কৌশলী হতে হবে, সেটিও বলেছেন কোচ।
এই কন্ডিশনে দলের সমন্বয় কেমন হবে, সেটা নিয়েও আছে কৌতূহল। তবে দলে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ থাকায় হাথুরুসিংহেকে সমন্বয় নিয়ে খুব একটা ভাবতে হচ্ছে না। এর ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন তিনি, ‘মিরাজ এখন নিখাদ ব্যাটসম্যান। তার টেস্ট ও ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে। আমরা তাকে অলরাউন্ডার বলতে পারি। সাকিবও তাই। আমরা খুবই ভাগ্যবান, ওরা থাকায় আমরা চাইলে একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান বা বোলার খেলাতে পারি। যেকোনো কোচের জন্য এটা বিলাসিতা। এই ম্যাচে কী করব, সেটা আগামীকাল সকালে সিদ্ধান্ত নেব।’
দলের কাছে নিজের প্রত্যাশার বিষয়টি পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কান কোচ, ‘সেরা পারফরম্যান্স, মানসিকতা ও প্রস্তুতি, যা নিয়ে আমি যথেষ্ট খুশি। ওরা এখন মানসিকভাবে ভালো জায়গায় আছে।’
ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়েও ভাবছেন হাথুরুসিংহে। চোটের কারণে আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে না থাকা তাসকিন আহমেদের উদাহরণ টেনে প্রধান কোচ বলেছেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ওদের সুস্থ রাখা, খেলার মধ্যে রাখা। তাসকিনের ব্যাপারটি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। ওরা অনেক ক্রিকেট খেলছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের জন্য ওদের চাঙা রাখতে হবে।’