বাংলাদেশই এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল, দাবি সাকিবের
বাংলাদেশের দুই ওপেনারকেই ‘জীবন’ দিয়েছেন ইংলিশ ফিল্ডাররা, গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ছিল বেশ পিচ্ছিল। কমবেশি সেটির মাশুলও দিতে হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে ছিল দুর্দান্ত, জস বাটলারকে সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট করে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচ ঘুরে গেছে সেখানেই। বেশ কিছুদিন ধরেই ফিল্ডিং বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার নাম, তবে এই সিরিজ দেখাল ভিন্ন কিছুই। এমনই যে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মনে হচ্ছে—বাংলাদেশের এ দলটিই এখন ফিল্ডিংয়ে এশিয়ার সেরা!
এর আগে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল হতে চান তাঁরা। ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ফিল্ডিংয়ে পিছিয়ে ফেলেছেন বলেও দাবি ছিল তাঁর। ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করার পর আজ কোচের কথার সঙ্গেই সুর মেলালেন সাকিব।
সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘সাধারণ যেকোনো মানুষেরই চোখে পড়েছে, তিন ম্যাচে যেমন ফিল্ডিং করেছি। ইংল্যান্ড এত ভালো ফিল্ডিং দল, আমরা তাদের থেকে ভালো ফিল্ডিং করেছি। সে জায়গা থেকে অনেক বড় টিক মার্ক। সবচেয়ে বড় উন্নতি ফিল্ডিংয়ে। যেটা সব সময়ই করা উচিত।’ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের দাবিটাও এল এরপরই, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল হওয়ার। মনে হয় না আমরা খুব বেশি পিছিয়ে আছি। আমি বলব, এ দলটা হয়তো এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল।’
ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ম্যাথু মট এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বলে গেছেন, পয়েন্ট থেকে মিরাজের সরাসরি থ্রোয়ে বাটলারের রানআউটই ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। সাকিব অবশ্য বললেন মোস্তাফিজুর রহমানের করা ওই ওভারটির কথাই, যাতে পরপর দুই বলে ফেরেন দুই থিতু ব্যাটসম্যান ডেভিড ম্যালান ও বাটলার।
এমনিতে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই কেন, সিরিজ শুরুর আগে কোনো ম্যাচ জেতার ব্যাপারেই আলাদা করে ভাবেননি বলেও জানালেন সাকিব, ‘নাহ, ওইভাবে ছিল না। সিরিজ শুরুর আগে কেউ চিন্তাও করিনি, ম্যাচ জিততে হবে বা কিছু। ভালো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি আসলে। তিন ম্যাচই চেষ্টা করেছি, ব্যাটিংয়ে বোলিংয়ে যার যার জায়গা থেকে যতটা সম্ভাব অবদান রাখার।’
এখানেও এল ফিল্ডিংয়ের কথাই, ‘তিনটা ম্যাচেই অসাধারণ ফিল্ডিং করেছি। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে ২ রান, ৪ রান বা ১০-১৫ রান অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়, সেখানে অনেক বড় একটা টিক মার্ক দিয়েছি এবার।’
এ সিরিজ বাংলাদেশ খেলেছে অপেক্ষাকৃত নতুন দল নিয়ে, অভিষেকই হয়েছে দুজনের। স্বাভাবিকভাবেই তরুণ মানে ফিল্ডিংয়ে বাড়তি উজ্জীবিত হওয়া। তবে সাকিব বলছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের ওপর দলের আস্থা অনেক, ‘টি-টোয়েন্টিতে এ দলটা নতুন মনে হলেও ঘরোয়াতে বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক ভালো খেলছে। তাদের ওপর আমাদের আস্থা আছে। যেভাবে শুরু করল, দেখে মনে হয়, হুট করে এমন একটা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে যে যেখানে ওরা জানে না কী করতে হবে। ওরা আসলে জানে, কী করতে হবে। এটা একটা প্লাস পয়েন্ট।’
দল বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো খেলছে, তবে এখন এসে ফল পাওয়া শুরু করেছে বলেও মনে করেন সাকিব, ‘যে অ্যাপ্রোচ নিয়ে খেলেছি, সেটা তৃপ্তির জায়গা ছিল। এশিয়া কাপ থেকেই ভালো খেলেছি। ফল যেটা, আশা করি, এটা শুরু হলো। আশা করি, ধরে রাখতে পারব।’