‘ঘরের মাঠে’ ম্যাচের আগে ফিট স্টয়নিস
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের আগে ফিট হয়ে উঠেছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার লক্ষ্ণৌয়ের এ ম্যাচ স্টয়নিসের জন্য বিশেষই। আইপিএলের দল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের ঘরের মাঠ এটি। স্টয়নিস এ দলে আইপিএলে গত দুই মৌসুম খেলেছেন। এ মাঠ সম্বন্ধে স্টয়নিসের ধারণা তাঁদের কাজে লাগবে মনে করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে গত মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর থেকে মাঠের বাইরে স্টয়নিস। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পর ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও খেলেননি তিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে দেখা গেছে তাঁকে। সংবাদ সম্মেলনে স্টয়নিসের ফিটনেস নিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘হ্যাঁ, সে ফিট। তবে আমরা আগামীকালই দল ঘোষণা করব।’
অবশ্য এ মাঠ নিয়ে স্টয়নিসের জ্ঞান কাজে লাগবে বলে আশা করেন কামিন্স, ‘এ মাঠ সে ভালোভাবেই জানে। তার এবং অন্য কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে, হয়তো আইপিএলের চেয়ে এখন এটি একটু ভিন্ন কন্ডিশনে আছে। উইকেট বেশ ভালো মনে হচ্ছে। তবে হ্যাঁ, এ জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকব আমরা ভালোভাবেই।’
স্টয়নিস একাদশে ফিরলে তিনি খেলবেন আরেক অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের জায়গায়। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারা ম্যাচে ৮ রান করার পাশাপাশি ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন গ্রিন। অন্যদিকে চোটে পড়ার আগে নতুন বলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে স্টয়নিসকে।
স্টয়নিসের ফেরা অস্ট্রেলিয়াকে উজ্জীবিতই করার কথা। তবে ভারতের বিপক্ষে অমন হার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জও অপেক্ষা করছে তাদের সামনে। চেন্নাইয়ে ‘ট্রায়াল বাই স্পিন’-এর সামনে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে অবশ্য লক্ষ্ণৌয়ের উইকেট বেশ আশাই জোগাচ্ছে।
কামিন্স বলেছেন, বড় স্কোরের ম্যাচ হবে বলেই আশা তাঁদের, ‘অমনই মনে হচ্ছে। এ উইকেট দেখে ভালো মনে হচ্ছে। আর তেমন কিছু হলে বেশির ভাগ ম্যাচই ৩০০ পেরোনো স্কোরের হয়েছে। উইকেট বেশ ভালো। আজ দেখিনি, তবে গত রাতে ভালোই মনে হয়েছে। হয়তো একটু পেস ও বাউন্সও থাকবে।’
ভারতের বিপক্ষে হার সবাইকে তাতিয়ে দিয়েছে বলেও মনে করেন কামিন্স, ‘প্রথম ম্যাচের পর হতাশ। হ্যাঁ, আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। ফলে গত কয়েক দিনে সবাই বেশ উদ্বুদ্ধ (ভালো করতে)। সবাই প্রস্তুতি নিয়েছে ভালোভাবে। এ ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।’
এদিকে ট্রাভিস হেডের ফেরার ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি কামিন্স। এর আগে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি বলেছিলেন, ১১ বা ১২ অক্টোবরের দিকে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অবস্থা জানা যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে পাওয়া চোটে বাঁ হাতের হাড়ে চিড় ধরা পড়ে হেডের। বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধে তাঁকে পাওয়া যাবে না জেনেও দলে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স বলেছেন, আগামীকাল আবার স্ক্যান করানো হবে হেডের। শল্যবিদের সঙ্গে কথা বলার পরই কবে ফিরবেন, সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।