বাংলাদেশে কী অপেক্ষা করছে, রোহিত ঠিকই জানেন
লিটন দাস ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে গেলেন সংবাদ সম্মেলন শেষে। রোহিত শর্মা সেটি শেষ করে এলেন সংবাদ সম্মেলনে। ভারত অধিনায়ক হিসেবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন তাঁর জন্য মোটেও নতুন কিছু হওয়ার কথা নয়, তা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালেনও না। আগামীকাল শুরু ওয়ানডে সিরিজে ভারত দলের জন্য কী অপেক্ষা করছে, রোহিত জানেন সেটিও। এ দেশের দর্শকদের যে ভালো করেই জানা তাঁর!
২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে এলেন রোহিত। অবশ্য অধিনায়ক হওয়ার পর এ প্রথমবার এখানে আসা তাঁর। এমনিতে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ বেশ কয়েক বছর ধরেই। এশিয়া কাপ বা আইসিসি টুর্নামেন্টেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দেখা হয় এখন। প্রতিবেশী হিসেবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের লড়াইয়ে একটা বাড়তি ঝাঁজও থাকে প্রায় সব সময়ই।
পরিসংখ্যান হিসাবে মুখোমুখি লড়াইয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ এগিয়ে ভারত, তাদের বিপক্ষে যেকোনো সংস্করণে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়টিও তিন বছর আগে। তবে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ জানাবে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই রোহিতের। গত সাত-আট বছরের বাংলাদেশ দলকে আলাদাও মনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রসঙ্গে এলে রোহিত বললেন, ‘কয়েক বছর ধরেই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোমাঞ্চকর। গত সাত-আট বছরের বাংলাদেশ দল আলাদা। তারা খুবই চ্যালেঞ্জিং, আমরা সহজে জিতিনি। তাদের বিপক্ষে জিততে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সুযোগ পেয়েও সেখানে ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। রোহিত মনে করিয়ে দিয়েছেন সে লড়াইয়ের কথাও, ‘তাদের সঙ্গে প্রতিবারই আমাদের ম্যাচ খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটিও তা–ই ছিল। ২০১৫ সালে তো সিরিজ হেরেছিলাম মনে হয়। আমরা জানি, গত কয়েক বছরে তারা অনেক উন্নতি করেছে। ফলে জিততে গেলে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমাদের জন্য সহজ হবে না।’
ভারত অনেক দেশেই দর্শক সমর্থনের বড় একটা অংশ নিজেদের পক্ষে পায়। তবে বাংলাদেশে সেটি পাবেন না, রোহিত ঠিকই জানেন তা। দর্শকের কথা উঠতেই হাসতে হাসতে বললেন, ‘এখানে তো পাব না। হ্যাঁ, ভারত দর্শকদের দিক থেকে চাপে থাকবে। এখানকার দর্শকেরা ভীতিজাগানিয়া হতে পারে, এ নিয়ে সংশয় নেই। তারা ক্রিকেটের ব্যাপারে খুবই আবেগপ্রবণ, দলকে সব সময়ই সমর্থন দিয়ে যায়। দলের জন্যও এটা খুবই রোমাঞ্চকর।’
রোহিত বাংলাদেশের দর্শকদের সঙ্গে অভ্যস্ত হলেও ভারতের এই দলের কয়েকজনের জন্য এ অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম হতে যাচ্ছে। তবে আইপিএল বা অন্যান্য জায়গায় খেলে অভ্যস্ত ভারতীয়দের জন্য সেটি তেমন একটা পার্থক্য হয়ে দাঁড়াবে না বলেই আত্মবিশ্বাস রোহিতের, ‘আমাদের অনেকেই এই প্রথমবার বাংলাদেশে আসছে। তবে তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা এমন অনেক দর্শকের সামনে খেলে অভ্যস্ত, বিশেষ করে যখন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে যাই। এখানকার দর্শকেরাও ভীতিজাগানিয়া হতে পারে, দল যাতে জেতে, সেটি নিশ্চিত করবে। তারা দলকে সমর্থন দিয়ে যাবে। এখানেও তা–ই। তবে আমাদের ছেলেদের ওপর এটি খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। আমার ধারণা তারা চাপে অভ্যস্ত, অনেক মানুষের সামনে খেলে অভ্যস্ত, চ্যালেঞ্জ নিতেও অভ্যস্ত। ফলে খুব একটা পার্থক্য হবে না।’