মোস্তাফিজদের দলে পন্টিং-সৌরভদের ভূমিকা নিয়ে শেবাগের প্রশ্ন
এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের অবস্থা যাচ্ছেতাই। ৫ ম্যাচ খেলে সব কটিতে হেরেছে মোস্তাফিজুর রহমানদের দল। এখন পর্যন্ত সব ম্যাচ হারা একমাত্র দলও তারা।
এর চেয়েও দৃষ্টিকটু ব্যাপার, ৫ ম্যাচের চারটিতে ন্যূনতম লড়াইও করতে না পারা। কাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও একরকম অসহায় আত্মসমপর্ণ করেছে দিল্লি।
অথচ দিল্লির কোচিং প্যানেল তারকায় ঠাসা। প্রধান কোচ রিকি পন্টিং, ক্রিকেট পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলী, সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন ও অজিত আগারকারদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই।
দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে শিরোপা এনে দেওয়া ডেভিড ওয়ার্নার। এ ছাড়া মোস্তাফিজের সঙ্গে মিচেল মার্শ, আনরিখ নর্কিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রোভম্যান পাওয়েলদের মতো পরীক্ষিত খেলোয়াড়েরা তো আছেনই। তবু কোনো কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে না ভারতের রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির।
সেরা একাদশ বাছাইয়ে ব্যর্থ হওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্টের সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট চোখে পড়ছে। দিল্লির এমন পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বীরেন্দর শেবাগ। ক্রিকেটের খবরবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলোচনায় দলটির সাবেক অধিনায়ক পন্টিং-গাঙ্গুলীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, কোচিং স্টাফে যাঁরা আছেন, তাঁরা কোনো অবদান রাখতে পারছেন না। খেলোয়াড়েরা খারাপ খেললে দল কতটা শক্তিশালী, তাতে কিছু যায়-আসে না। আপনার ড্রেসিংরুমে বড় মানের অনেকে থাকতে পারে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা রান না পেলে, বোলাররা উইকেট না পেলে তাঁদের থেকে কী লাভ?’
দিল্লির হয়ে আট মৌসুম খেলা শেবাগ আরও বলেছেন, ‘আমি বুঝি না, খেলোয়াড়দের সারাক্ষণ নির্দেশনা কেন দেওয়া হয়। এটার দরকার নেই। যাদের ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য আছে, তাদের দলে রাখতে হবে। তাহলেই আপনি চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন। দিল্লিতে ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু তারা রান ও উইকেট পাচ্ছে না। মাঠের বাইরে আপনি অনেক কৌশল সাজাতে পারেন। কিন্তু মাঠে গিয়ে পারফর্ম করতেই হবে।’