২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন
২০ দল, ৫৫ ম্যাচ—এত বড় পরিসরে ক্রিকেটের কোনো আসর আগে কখনো হয়নি। ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা তাই আইসিসির জন্য আক্ষরিক অর্থেই ক্রিকেটকে বৈশ্বিক করে তোলার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
আগামী জুন–জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার কোনো আইসিসির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে চলায় নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেটের বাজার আরও ছড়িয়ে পড়বে। হয়তো এসব ভেবেই ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাণবন্ত এক লোগো উন্মোচন করল আইসিসি।
আজ দুপুরে নিজেদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজগুলোতে একযোগে লোগো প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর মধ্য দিয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাবে বলে বিশ্বাস করেন সংস্থাটির বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং।
ফারলং বলেছেন, ‘আইসিসি ছেলে ও মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুরাগীদের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। আমরা আশা করছি নতুন লোগো সেই দৃষ্টি ও শক্তিকে প্রতিফলিত করবে।’
প্রত্যেক বিশ্বকাপের লোগোতেই আয়োজক দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। লোগোর নকশায় দুই আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজের তালগাছ ও যুক্তরাষ্ট্রের ডোরা কাটা রঙিন ফিতা রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি স্বতন্ত্র কারুকার্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
লোগো উন্মোচন উপলক্ষে আইসিসি ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটকে সংজ্ঞায়িত করে এমন তিনটি জিনিস থেকে লোগোটি বানানো হয়েছে—ব্যাট, বল ও শক্তি! এই তিনের সৃজনশীল সংমিশ্রণ টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের মূল উপদানগুলোর প্রতীক।
ইংরেজিতে T20 লেখাটি একটি দোদুল্যমান ব্যাটে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যা একটি গতিশীল বলের মধ্যে আবদ্ধ। বলের মধ্যকার গ্রাফিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচের পরিবেশ ও বৈদ্যুতিক শক্তিকে প্রতিফলিত করেছে। আর আঁকাবাঁকা নকশা খেলা ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও হৃৎস্পন্দনকারী মুহূর্তগুলোকে ইঙ্গিত করেছে।