মাহমুদউল্লাহ ১০, নাজমুল ২

শুরুতে দুই উইকেট ফেলে প্রোটিয়াদের কিছুটা চেপে ধরতে পারলেও মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট না নিতে পারায় শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ ১০ ওভারের বোলিং, বিশেষ করে পেস বোলিংয়ে আমাদের দুর্বলতা আবারও স্পষ্ট হলো। অভ্যস্ত না হলে এই ধরনের উইকেটে এমন মারকুটে ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করা সত্যি কঠিন। আর ধারাবাহিকভাবে এতটা বাজে ব্যাটিং শেষ কবে দেখেছি, সেটাও মনে করতে পারছি না। মাহমুদউল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ অতুলনীয় পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে দলকে একটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।

তানজিদ হাসান: ৩/১০

শুরু থেকেই লেগের দিকে রান করার মতো বল পেয়েও ব্যাটে লাগাতে পারছে না, এটি দেখার কি কেউ নেই? শেষ পর্যন্ত একটা সফট ডিসমিসাল। ওকে আরও দ্রুত শিখতে হবে।

লিটন দাস: ৪/১০

শুধু টিকে থাকতে চেয়েও পারল না। বেশ কিছু সোজা বল ওর প্যাডে আঘাত করেছে এবং তেমনই একটা বলে আউট হলো। মাহমুদউল্লাহর লেগের দিকের খেলা দেখলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। কোচের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নাজমুল হোসেন: ২/১০

আমাদের যেসব বলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা ছয় বা চার মারে, তেমনই দুটি বলে তামিম ও নাজমুল আউট হলো। দুর্ভাগ্যজনকই বলতে হবে। তবে এখনো বিশ্বাস করি, নাজমুল পরবর্তী ম্যাচগুলোতে অবদান রাখবে।

সাকিব আল হাসান: ৩/১০

প্রায় পুরো স্পেলে মোটামুটি ভালো করলেও শেষ ওভারে ২২ রান এবং ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ। খুব একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করেছে বলে মনে হলো না।

আউট হয়ে ফিরছেন সাকিব আল হাসান
এএফপি

মুশফিকুর রহিম: ৩/১০

প্রয়োজন ছিল লিটনের সঙ্গে একটা বড় জুটিতে ভীত তৈরি করা। ম্যাচের এমন একটা অবস্থায় আরও সুশৃঙ্খল ব্যাটিং আশা করেছিলাম। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে লম্বা ইনিংস খেলতে চাইলে সুশৃঙ্খল থাকার বিকল্প নেই।

মাহমুদউল্লাহ: ১০/১০

নির্দ্বিধায় বলা যায় এই দলের সেরা ব্যাটসম্যান সেই। গত ছয় মাস সবাই যখন বিভিন্নভাবে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছিল এবং স্বপ্ন দেখছিল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার, মাহমুদউল্লাহ তখন নিজেকে প্রস্তুত করছিল সবার অলক্ষ্যে। ‘সাইলেন্ট কিলার’ই বটে! ওর কারও সঙ্গে কোনো যুদ্ধ নেই, যুদ্ধ শুধু নিজের সঙ্গেই। ‘হ্যাটস অফ টু ইউ’, মাহমুদউল্লাহ।

শতকের পর মাহমুদউল্লাহ
এএফপি

মেহেদী হাসান মিরাজ: ৬/১০

পুরো ইনিংসেই দারুণ বল করেছে। ডানহাতি–বাঁহাতি দুই ধরনের ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধেই সমান কার্যকর ছিল। ব্যাটিংয়ে ওর কাছ থেকে আরও বড় ইনিংস আশা করেছিলাম।

আরও পড়ুন

হাসান মাহমুদ: ৪/১০

বিশ্বকাপের আগে ওর মধ্যে যে চমক দেখেছিলাম, তা তেমন চোখে পড়ছে না। মেধা আছে সন্দেহ নেই। আশা করি, বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ওকে আরও পরিণত করবে। ব্যাটিংয়ের জন্য ১ বোনাস।

মোস্তাফিজুর রহমান: ৫/১০

বিক্ষিপ্তভাবে মাঝেমধ্যে ভালো বল করলেও দলের মূল বোলার হিসেবে নতুন বলে আরও কার্যকর হবে আশা করেছিলাম। নতুন বল সুইং করাতে না পারলে ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাটিং সহজ হয়ে যায়। ব্যাটিংয়ের জন্য ১ বোনাস।

শরীফুল ইসলাম: ৫/১০

অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থাতেও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বল করেছে। চেষ্টা করেছে নিয়মিত লাইন–লেন্থে পরিবর্তন এনে ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে এবং তাতে কিছুটা সফলও হয়েছে। উইকেট একটি না হয়ে একাধিকও হতে পারত।

নাসুম আহমেদ:  ৫/১০

ব্যাট বল দুটো মিলিয়ে সন্তোষজনক। তবে ওর কাছ থেকে ব্রেক থ্রু আশা করেছিলাম।