৫১৬ রানের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে যে শ্রীলঙ্কা বিশ্ব রেকর্ড করতে পারছে না, সেটি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল গতকালই। ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে লঙ্কানদের রান ছিল ৫ উইকেটে ১০৩। হাতে থাকা ৫ উইকেট নিয়ে সফরকারীরা আজ চতুর্থ দিনে কত সময় টিকে থাকতে পারে, দেখার বিষয় ছিল সেটিই। শ্রীলঙ্কা টিকেছে দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টা পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কাকে ২৮২ রানের অলআউট করে সিরিজের প্রথম টেস্টটি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে নিয়েছে ২৩৩ রানে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা তৃতীয় টেস্ট জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা মাঠ ছাড়ে মার্কো ইয়ানসেনকে সামনে রেখে। দলকে জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তো এই দীর্ঘদেহী বাঁহাতি পেসারই রেখেছেন। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে রেকর্ড ৪২ রানে অলআউট করা ইয়ানসেন দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ১৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন ২৪ বছর বয়সী ইয়ানসেন।
পরপর দুই ওভারে কুশল মেন্ডিস ও আসিতা ফার্নান্ডোকে ফিরিয়ে লঙ্কান ইনিংসের যতি টানা ইয়ানসেন গতকাল ফিরিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও কামিন্ডু মেন্ডিসকে। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানে ৭ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রানে ৪ উইকেট, ম্যান অব দ্য ম্যাচ বেছে নিতে নির্বাচকদের ভাবার কোনো সুযোগই রাখেননি ইয়ানসেন। ইয়ানসেনের ১১/৮৬, ৮৮ বছরের মধ্যে ডারবানের কিংসমিডে কোনো বোলারের সেরা বোলিং।
চতুর্থ দিনের খেলা দ্বিতীয় সেশনে গড়ানোয় বড় ভূমিকা শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটসম্যান দিনেশ চান্ডিমাল, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিসের। প্রথম সেশনে প্রোটিয়ারা নিতে পারে মাত্র ১ উইকেট। চান্ডিমালের সঙ্গে ৯৫ রানের জুটি গড়ে কেশব মহারাজের প্রথম শিকার লঙ্কান অধিনায়ক ডি সিলভা (৫৯ রান)। চান্ডিমাল এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৭৫ রান যোগ করেন। ৮৩ রান করে চান্ডিমাল জেরাল্ড কোয়েটজিকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার পর আর মাত্র ১১ রানই যোগ করতে পারে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ম্যাচে ইয়ানসেনের দশম শিকার হওয়ার আগে করেন ৪৮ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৫ ডিসেম্বর, ভেন্যু গেবেখা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯১ ও ৩৬৬/৫ ডি.।
শ্রীলঙ্কা: ৪২ ও ৭৯.৪ ওভারে ২৮২ (চান্ডিমাল ৮৩, ডি সিলভা ৫৯, কুশল মেন্ডিস ৪৮, ম্যাথুস ২৫, নিশাঙ্কা ২৩; ইয়ানসেন ৪/৭৩, রাবাদা ২/৬৫, কোয়েটজি ২/৬৭, মহারাজ ২/৬৭)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মার্কো ইয়ানসেন।