ভারত ‘জাহান্নামে যাক’ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মিয়াঁদাদ
হঠাৎ করেই বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ। বিতর্কিত হয়েছেন ভারতকে নিয়ে এক মন্তব্য করে। পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আয়োজিত হলে তাতে ভারত দল পাঠাতে আপত্তি জানিয়েছে। মিয়াঁদাদ এ নিয়েই বলেছিলেন, ভারত যদি পাকিস্তানে দল পাঠাতে না চায়, তাহলে তারা জাহান্নামে যাক। আইসিসির উচিত, এ জন্য ভারতকে নিষিদ্ধ করা।
শুধু তা–ই নয়, পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ ক্রিকেটার ভারতীয় ক্রিকেট–দর্শকদের নিয়েও কটু মন্তব্য করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ভারত পাকিস্তানে আসতে চায় না তাদের দর্শকের রোষানলে পড়ার ভয়ে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানে একটি ক্রিকেট ম্যাচে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন মিয়াঁদাদ। তাঁর সেই আলাপচারিতার কিছু অংশ ইউটিউবে প্রকাশিতও হয়।
ইউটিউবেই পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। ‘জাহান্নামে যাক’ মন্তব্যের ব্যাখ্যায় জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘আপনারা কি জানেন, এই জাহান্নামে যাওয়া বলতে আমি কী বুঝিয়েছি। কেউ যদি খেলতে না চায়, তাহলে তার না খেলাই ভালো। আমাদের সেটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আপনি যদি ভারতীয় ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরাও বলবেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট খেলাটা হওয়া উচিত। সেটি হওয়া উচিত দুই দেশের মাটিতেই। এতে উপকৃত হবে দুই দেশই।’
ভারত না এলে পাকিস্তানের কেন যায়–আসে না, এই কথারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিয়াাঁদাদ, ‘ভারত না এলে পাকিস্তানের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে, এটা ভাবা ঠিক নয়। আমি বলতে চেয়েছি যে পাকিস্তান একটা সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা নিজেরাই বছরের পর বছর ধরে বিশ্বমানের ক্রিকেটার ও হকি খেলোয়াড় তৈরি করছি। সারা দুনিয়াতে প্রতিবেশী দেশগুলো সব সময়ই একে অন্যের সঙ্গে বেশি খেলে।’
ক্রিকেট দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেও সহায়ক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মিয়াঁদাদ, ‘অতীতে আমরা ভারত সফরে গিয়েছি, ভারত পাকিস্তানে এসেছে। ভারত পাকিস্তানে খেলতে এলে অনেক ভারতীয় পাকিস্তানে বেড়াতে এসেছেন। অনেক সময় দেখা গেছে, পাকিস্তানে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের সময় হোটেল পাওয়া যায়নি। লাহোরের বাসিন্দারা ভারতীয় অতিথিদের নিজেদের বাড়িতে থাকার নিমন্ত্রণ করেছেন। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে ক্রিকেট দারুণ একটা ব্যাপার।’
২০১২ সালের পর থেকে রাজনৈতিকভাবে দুই চিরবৈরী দেশের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ। দুই দেশ ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে শুধু আইসিসির বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় কিংবা এসিসি আয়োজিত এশিয়া কাপে। গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দুই দেশ সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৯ সালের জুন মাসে এই দুই দেশ সর্বশেষ খেলেছে ৫০ ওভারের ক্রিকেট।