বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী আসর শুরু হওয়ার কথা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। বিপিএলের একাদশ আসরকে সামনে রেখে এর মধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বিসিবি। ঠিক হয়ে গেছে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের সময়ও।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে বিপিএলের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিপিএলের গত আসরে যারা খেলেছে, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। বেশির ভাগ দল (আগামী আসরে) অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। দু-একটা দল এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা জানালে পরের পদক্ষেপ ঠিক করব। আমরা এরই মধ্যে একটা সময় নির্ধারণ করেছি প্লেয়ার্স ড্রাফটের। এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে যাব। প্লেয়ার্স ড্রাফট সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে।’
বিপিএলের সময়সূচি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘এফটিপিতে (ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা) আমাদের যে কমিটমেন্ট থাকে বা আইসিসির মেজর ইভেন্টে আমাদের যে কমিটমেন্ট থাকে, তার সঙ্গেই আমরা এডজাস্ট করে নিই। যদি কোনো ক্ষেত্রে ফাইন টিউনিং প্রয়োজন হয়, সেটা আমরা করে নেব।’
বাংলাদেশ দল ডিসেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে। সফরটা হবে প্রায় এক মাসের দীর্ঘ। বিপিএল শুরুর সম্ভাব্য সময় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। দেড় মাস দীর্ঘ টুর্নামেন্টের পরপরই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল যাবে পাকিস্তানে।
এদিকে আগামীকাল দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা। আলোচ্য সূচির মধ্যে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের আলোচনাই গুরুত্ব পাবে। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘সভায় রুটিন বিষয়গুলোর বাইরে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে বোর্ডে আলোচনা হবে।’
এবারের বোর্ড সভায় অবধারিতভাবেই থাকবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গও। ‘বাংলাদেশ দল আইসিসি বা এসিসির কোনো টুর্নামেন্ট খেলে আসার পর পারফরম্যান্স নিয়ে যে আলোচনা হয়, এটাও আলোচনায় থাকবে। গেম ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।’