চমকের নাম রয়ের রিভার্স সুইপ
চ্যালেঞ্জটা জেসন রয়ের নিশ্চয়ই জানার কথা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নামলেই তাঁকে খেলতে হবে বাঁহাতি স্পিন। পেস বোলিংয়ের গতি কাজে লাগিয়ে বিস্ফোরক ইনিংস খেলা হবে না। প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানের বলে প্রথম ওভারে আউটও হন রয়। সাকিবের ফ্লাইট দেওয়া বলটি ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে মিড অফে ক্যাচ তুলেছিলেন এই ইংলিশ ওপেনার।
প্রত্যাশিতভাবেই আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে রয়ের সামনে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। তামিম ইকবাল উইকেটের আশায় আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকেও নতুন বলে বোলিং করিয়েছেন। কিন্তু আজ বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণের শক্তির জায়গাকে পাত্তা দিলেন না। অস্ত্র হিসেবে ‘রিভার্স সুইপ’ শটকে ব্যবহার করে এলোমেলো করে দেন বাংলাদেশের দুই বাঁহাতি স্পিনারের সব পরিকল্পনা।
রয়ের রিভার্স সুইপের শিকার তাইজুলকেই সবচেয়ে বেশি হতে হয়েছে। স্পিনের বিপক্ষে আজ তিনি রিভার্স সুইপ খেলেছেন ৬টি, যার মধ্যে ৪টিই হয়েছে বাউন্ডারি। যখনই চাপে ছিলেন, রিভার্স সুইপ খেলে চাপ সরিয়েছেন। তাতে মুহূর্তেই বদলেছে বাংলাদেশ দলের আক্রমণের পরিকল্পনা। অধিনায়ক তামিমকে সাজাতে হয়েছে বিকল্প ফিল্ড, বোলারকে বিকল্প লাইন-লেংথ, যা আক্রমণাত্মক ছিল না।
আর সে সুযোগ রয় কাজে লাগিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি করে। ১২৪ বল খেলে তিনি করেছেন ১৩২ রান। ১৮টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল রয়ের ১০৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, রয় আউট হয়েছেন সেই বাঁহাতি স্পিনেই। সাকিবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। রয়ের ইনিংসে পেয়ে যাওয়া ভিত্তি কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ড দল ৭ উইকেটে তুলেছে ৩২৬ রান।
প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক ছিলেন আরেক সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ম্যালান। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা ম্যালানকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে সাহায্য করেছে। রয়েরও এর আগে বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বিপিএলে খেলেছেন চিটাগং কিংস ও সিলেট সিক্সার্সের হয়ে। ম্যালানের মতো রয়ও নিশ্চয়ই আজ অতীত অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগিয়েছেন।