কোচকে পাশে পেলেন ‘ওপেনার’ স্মিথ
১২, ১১*, ৬, ৯১*, ৩১, ০, ১১, ৯—টেস্ট ওপেনার স্টিভ স্মিথের রান। ৮ ইনিংসে ১৭১ রান, ব্যাটিং গড় ২৮.৫০; যা তাঁর ক্যারিয়ার গড়ের (৫৬.৯৭) প্রায় অর্ধেক।
স্বাভাবিকভাবেই ওপেনার স্মিথের তাই সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে চার নম্বরে ফিরে যেতে বলছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এমন সমালোচনাকে অন্যায্য বলছেন। এমন সমালোচনা স্মিথের প্রাপ্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।
১০৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে স্মিথ ওপেন করেছেন মাত্র ৪ ম্যাচে। ৮ ইনিংসের একটিতে স্মিথ ৯১* রানের ইনিংস খেলেছেন। সেটাও ব্রিসবেনে শামার জোসেফ বীরত্বের টেস্টে। এ ছাড়া আরও একটি ইনিংসে ১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাকি ৬ ইনিংসে স্মিথের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে ৩১।
অর্থাৎ নিজের মান অনুযায়ী স্মিথ ব্যর্থ হয়েছেন ৬ ইনিংসে। নতুন চ্যালেঞ্জে সফল হওয়ার জন্য বোধ হয় পরিমাণটা খুব বেশি নয়। সে কারণেই ম্যাকডোনাল্ড এমন সমালোচনাকে প্রাপ্য মনে করছেন না, ‘আমার মনে হয় এটা অন্যায্য। এটার মানে সম্ভবত এই যে আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে রক্ষণাত্মক কৌশলে যাচ্ছি। আমার মনে হয় (স্মিথের) এমনটা প্রাপ্য নয়। ও এটা নিয়ে কাজ করতে পারবে। এটা নতুন একটা চ্যালেঞ্জ, নতুন পজিশন। আপনি যদি কোনো নতুন ওপেনার নিয়ে আসেন, চার ম্যাচ সুযোগ দিয়ে বলেন, আমরা ওপেনিং পজিশন পরিবর্তন করব, এটা ন্যায্য নাকি অন্যায্য হবে? এটা যৌক্তিকভাবেই অন্যায্য।’
স্মিথের জন্য অবশ্য পরীক্ষাটাও কঠিন ছিল। নিউজিল্যান্ডের কঠিন উইকেটে নতুন বলে রান করা এমনিতেও কঠিন। সেখানে খেলা দুই টেস্টে বড় রান করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার আরেক ওপেনার উসমান খাজাও। ম্যাকডোনাল্ডও বলছেন, উইকেট ছিল নতুন বলের উইকেট, ‘কোনো সন্দেহ নেই, সবাই স্মিথকে নিয়ে প্রশ্ন করছে। ও গ্রেট ক্রিকেটার, সমস্যা সমাধান করতে পারা ওর শক্তি। এই কন্ডিশনে ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। উইকেট ছিল নতুন বলের জন্য, নিঃসন্দেহে বিতর্ক হবে কোনটি স্মিথের জন্য সেরা পজিশন।’
তিনি যোগ করেন, ‘স্মিথও চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। যখনই স্মিথ ব্যর্থ হয়, ও এটাকে আরও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে। কঠিন কন্ডিশনের এই সিরিজে ৫১ রান করা, নিঃসন্দেহে তাকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আরও তাড়িত করবে, আর নতুন চ্যালেঞ্জ ভারত। আমার মনে হয় এটা স্মিথের জন্য অভ্যন্তরীণ অনুপ্রেরণা হবে। ও ওপেন করতে চায়, এই পজিশন পেতে ও আমাদের কাছে এসেছিল এবং আমরা বিশ্বাস করি ও সফল হতে পারবে।’