মিরপুরের উইকেট দেখে অবাক রাবাদা

উইকেট নেওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে রাবাদার উদ্‌যাপনশামসুল হক

তিন স্পিনারের সঙ্গে এক পেসার—দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের জন্য বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণ ছিল এমন। একাদশ দেখেই বোঝা যায়, মিরপুর টেস্টের উইকেটকে স্পিন স্বর্গই মনে করছিল বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু প্রথম দিনের খেলা শেষে মিরপুরের উইকেটকে শুধু স্পিন স্বর্গ বলা ঠিক হবে না।

কাগিসো রাবাদা, উইয়ান মুল্ডারের পর হাসান মাহমুদের সিম মুভমেন্ট প্রমাণ করে, মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের পাশাপাশি সাহায্য ছিল পেসারদেরও।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদাকে যা অবাকই করেছে। বাংলাদেশে এসে উইকেট থেকে ধারাবাহিকভাবে সিম মুভমেন্ট পাবেন, এটা চিন্তাও করেননি ১১ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার।

টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার আজ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘উইকেটের আচরণ দেখে আমরা খুবই অবাক হয়েছি। আমরা ভেবেছি বল টার্ন করবে, সিম মুভমেন্ট থাকবে না। কিন্তু নতুন বলে যথেষ্ট মুভমেন্ট ছিল। খুব বেশি সুইং নয়, তবে সিম মুভমেন্ট।’

এই উইকেটে স্পিনাররা যেমন টার্ন পাচ্ছে, তেমনি সিমাররাও মুভমেন্ট পাচ্ছে। আমরা যা দেখে বেশ অবাকই হয়েছি।
কাগিসো রাবাদা, পেসার, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল

গত কয়েক দিন মিরপুর স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠের নেটেও নাকি এমন উইকেটে অনুশীলন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কাজটা কিছুটা সহজ হয়ে গেছে, এমনটাই মনে হবে রাবাদার কথা শুনে, ‘নেটেও আমরা একই ধরনের উইকেট পেয়েছি। এই উইকেটে স্পিনাররা যেমন টার্ন পাচ্ছে, তেমনি সিমাররাও মুভমেন্ট পাচ্ছে। আমরা যা দেখে বেশ অবাকই হয়েছি।’

মিরপুরে দিনের শুরুতে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন রাবাদা
শামসুল হক

রাবাদা কথা বলেছেন তাঁর ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা নিয়েও, ‘আমি আজ সকালে যখন মাঠে আসি, তখন ওই একটা উইকেটের জন্য চিন্তা করছিলাম না। কীভাবে আমি টেস্টটা জেতাতে পারি, সেদিকে আমার সব মনোযোগ ছিল, বিশেষ করে টসে হেরে প্রথম বোলিং করতে নামার পর। এরপর যা হলো তা স্বস্তির বলতেই হয়। এ রকম মাইলফলকের জন্যই খেলে সবাই। এই অর্জনটা আমার জন্য স্বস্তির।’

নিজের সতীর্থদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন রাবাদা, ‘আমাদের সতীর্থরা আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, আমরা সবাই সবাইকে সমর্থন করে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ একটা মুহূর্ত ছিল এটি।’

আরও পড়ুন

৩০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার কীর্তির পাশাপাশি একটা বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন রাবাদা। পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসকে ছাড়িয়ে তিনিই এখন টেস্টে বলের হিসাবে দ্রুততম ৩০০ উইকেটশিকারি বোলার। রাবাদার অবশ্য এই রেকর্ডটা জানা ছিল না, ‘আমি এই রেকর্ডের ব্যাপারে জানতাম না। তবে হ্যাঁ, এখন মনে হচ্ছে এই রেকর্ডটা আমাকে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে।’