সড়ক দুর্ঘটনায় আম্পায়ার রুডি কোয়ের্তজেনের মৃত্যু

রুডি কোয়ের্তজেন (১৯৪৯–২০২২)ছবি: আইসিসি

সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন রুডি কোয়ের্তজেন। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা আম্পায়ার আজ সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার রিভারডেলে এক মারাত্মক দুর্ঘটনায় তিন সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার আম্পায়ারিং করা কোয়ের্তজেনের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে কেপটাউন থেকে গলফ খেলে নেলসন ম্যান্ডেলা বেতে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে উল্টো পাশ থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় কোয়ের্টজেনদের গাড়ির। দেশটির আলগোয়া এফএম নিউজকে কোয়ের্তজেনের ছেলে রুডি কোয়ের্তজেন জুনিয়র জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন কোয়ের্তজেন সিনিয়র।

কোয়ের্তজেনের ছেলে আরও জানান তাঁর বাবার একদিন আগেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল, ‘কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে তিনি একটি গলফ প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলেন। সোমবারই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আরেক রাউন্ড গলফ খেলতেই থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা।’

২০০৭ সালে রুডি কোয়ের্তজেন
ফাইল ছবি

১৯৪৯ সালে ২৬ মার্চ কেপ প্রভিন্সের কেনিসনায় জন্মগ্রহণ করা কোয়ের্তজেন রেলওয়েতে কেরাণির চাকরির পাশাপাশি স্থানীয় লিগ ক্রিকেটে খেলতেন। খেলা ছেড়ে ১৯৮১ সালে আম্পায়ারিংয়ে আসা কোয়ের্তজেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করেন ১৯৯২ সালে ৯ ডিসেম্বর। পোর্ট এলিজাবেথে সেই ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ওই সিরিজেই টেস্ট ক্রিকেটেও আম্পায়ার অভিষেক। সেটিও পোর্ট এলিজাবেথেই। ওই সিরিজেই প্রথম রানআউটের সিদ্ধান্ত নিতে টিভি আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়া হয়।

সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা রেকর্ড নিয়েই অবসরে গিয়েছিলেন কোয়ের্তজেন। পরে তাঁর ৩৩১ ম্যাচের রেকর্ড ভাঙেন পাকিস্তানের আলিম দার।

১৯৯৭ সালে আইসিসির পূর্ণকালীন আম্পায়ার হওয়া কোয়ের্তজেন ১০৮টি টেস্ট, ২০৯টি ওয়ানডে, ১৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও ১টি মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন। এ ছাড়া টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছেন আরও ৬৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে।

সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা রেকর্ড নিয়েই অবসরে গিয়েছিলেন কোয়ের্তজেন। পরে তাঁর ৩৩১ ম্যাচের রেকর্ড ভেঙে দেন পাকিস্তানের আলিম দার।

আরও পড়ুন