আফ্রিদির ডিনারে রিজওয়ান-শাদাবরা, কেন গেলেন না বাবর আজম
১২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। বাবর আজমের দলের এ সাফল্যে খুশি হয়ে তাদের জন্য খানাদানার আয়োজন করেছিলেন শহিদ আফ্রিদি। সাবেক অধিনায়কের ডিনার পার্টিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান, ফখর জামানদের পাশাপাশি পাকিস্তান দলের কোচিং স্টাফের সদস্যরাও হাজির হয়েছিলেন। তবে অনুপস্থিত ছিলেন অধিনায়ক বাবর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
পাকিস্তানের জিও সুপারের খবরে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এ সাফল্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দলকে ডিনারে আমন্ত্রণ জানান সাবেক অধিনায়ক আফ্রিদি।
পরে আফ্রিদির টুইটার অ্যাকাউন্টে ডিনার পার্টির একটি গ্রুপ ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিতে আফ্রিদির সঙ্গে রিজওয়ান, শাদাব, ফখর, নাসিম শাহ, ইফতিখার আহমেদ, শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রদের দেখা যায়। ছিলেন কোচিং স্টাফের সদস্য আবদুর রেহমান, উমর গুলসহ দলের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজন।
ছবির ক্যাপশনে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের নায়কদের জন্য ডিনারের আয়োজন করেছি। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য অনেক গর্বিত।’ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড চতুর্থ ওয়ানডের জন্য শুভকামনাও জানান আফ্রিদি।
আফ্রিদির টুইটটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই আফ্রিদির উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তবে বাবরের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। ‘কিং বাবর আজম আর্মি’ নামের একটি ভেরিফায়েড পেজ থেকে রিটুইট করা হয়, ‘বাবর আজম কোথায়?’ একই ধরনের মন্তব্য করেছেন আরও অনেকেই—‘অধিনায়ক নেই কেন?, ‘আমাদের কিং কোথায়’, ‘বাবর মিসিং’।
যেখানে দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই আছেন, সেখানে অধিনায়কের না থাকাটা চোখে লাগাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে পার্টিটাই যখন পাকিস্তান দলের উদ্দেশে দেওয়া। কেউ কেউ এতে ভিন্ন কিছুও মেলানোর চেষ্টা করেছেন। গত মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি টুইট করে জানান, শহিদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন নির্বাচক দল দায়িত্ব নেওয়ার পর বাবরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। এ নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গনে আলোচনা উঠলে কথা পাল্টে ফেলেন শেঠি।
আরেক টুইটে বলেন, তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচকদের কাছে অধিনায়কের বিষয়ে মতামত চেয়েছিলেন। আফ্রিদি পরে টুইট করে লেখেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান বিষয়টি খোলাসা করেছেন। এই আলোচনা শেষ হয়ে গেছে।’
এ যাত্রায় আফ্রিদির ডিনার পার্টিতে বাবরের না যাওয়ার পেছনে ওই ঘটনার কোনো সূত্র আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণেও তিনি অনুপস্থিত থাকতে পারেন। আফ্রিদির টুইটের নিচে একজনের মন্তব্যও আছে এ নিয়ে, ‘যাঁরা বাবর কোথায় জিজ্ঞেস করছেন, তাঁদের জন্য বলছি। বাবরসহ আরও কয়েকজন ওই পার্টিতে যাননি। তাঁরা হয়তো অন্য কোথাও কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ডিনারে না থাকা বড় কোনো বিষয় নয়। সুতরাং শান্ত হোন। হুট করে একটা বিষয়কে ইস্যু বানাবেন না।’