যে কারণে বোলিং করেননি সাকিব
চট্টগ্রাম টেস্টে ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিং দুর্দশা তো আছেই, বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে চোটও। কাঁধের ব্যথার কারণেই দ্বিতীয় দিন বোলিংয়ে আসেননি সাকিব আল হাসান। অন্যদিকে, পিঠের ব্যথায় ৪ ওভারের বেশি বোলিং করেননি পেসার ইবাদত হোসেনও। সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করবেন—এমন আশা করেছেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। ইবাদতের ব্যথা কতটা তীব্র, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটিংয়ে পাওয়া চোটের কারণে এ টেস্টে সাকিবের খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টস করতে নেমেছেন তিনিই। গতকাল প্রথম দিন ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন সাকিব, যদিও ১ ওভার পরই নিজেকে সরিয়ে নেন। তবে কাল আবার এসে শেষ পর্যন্ত ১২ ওভার করেন।
আজ অবশ্য বোলিংয়ে দেখা যায়নি বাংলাদেশ অধিনায়ককে, যদিও ফিল্ডিং করেছেন। গতকাল ইয়াসির আলীকে দিয়ে ১ ওভারের পর আজ নাজমুল হোসেনকে দিয়েও ২ ওভার বোলিং করিয়েছেন সাকিব।
সাকিবের বোলিং না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হেরাথ দিনের খেলা শেষের সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘তার কাঁধে একটু ব্যথা আছে। আশা করি, সে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করবে। সে ১০-১২ ওভার বোলিং করেছে। আমি নিশ্চিত সে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করবে।’
আজ দিনের অষ্টম ওভারে শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট নেওয়া ইবাদতকে ওই ওভার শেষেই উঠে যেতে দেখা যায়। জানা গেছে, তাঁর পিঠে ব্যথা আছে। এ কারণেই ইনিংসের বাকিটা সময় আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি ইবাদতকে।
অবশ্য সাকিব ও ইবাদত—দুজনই ব্যাটিং করেছেন। ২৫ বলে ৩ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাকিব। দিন শেষে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে অপরাজিত আছেন ইবাদত, ২৭ বলে ১৩ রান করে। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭১ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ, বাকি ২ উইকেট।