বাবরকে ‘আক্রমণাত্মক’ থাকার পরামর্শ শহীদ আফ্রিদির
ব্যাটসম্যান শহীদ আফ্রিদির মূল মন্ত্রই ছিল আক্রমণ। তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান নাগালের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ যেমন মুঠোয় এনেছে, আবার দলকে অনেকবার বিপদেও ফেলেছে। এক যুগ আগে অনুষ্ঠিত ২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন আফ্রিদি। সে বারই সর্বশেষ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলে পাকিস্তান।
এক যুগ পর বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলকে ঘিরে আবারও বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। সাবেক অধিনায়ক হিসেবে বাবরের জন্য আফ্রিদির পরামর্শ, ‘আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলো।’
আফ্রিদি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট বলতে ব্যাটিংয়ে মেরে খেলার কথা বোঝাননি। বুঝিয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে বাবরকে আক্রমণাত্মক থাকার কথা। বিশেষ করে মাঠের ভেতরে শরীরী ভাষায়। গতকাল সামা টিভির এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘বাবরকে মাঠের ভেতরে ইতিবাচক থাকতে হবে, শারীরিক ভাষায় আক্রমণাত্মক থাকতে হবে। বিশ্বকাপ অনেক বড় টুর্নামেন্ট। প্রায় পুরো দলই ভারতে এই প্রথম খেলতে গেছে। প্রস্তুতি ম্যাচে চাপ থাকে না, কারণ দর্শক নেই। কিন্তু মূল ম্যাচে দর্শক থাকবে। চাপও থাকবে। আমরা সাবেক ক্রিকেটাররা, পাকিস্তানের মানুষের দলের সঙ্গে আছি। সবার এত এত সমর্থন থাকলে অধিনায়কের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাঁকে সাহসী হতে হয়।’
বাবরকে অবশ্যই সিনিয়রদের আমলে নিতে হবে। টুর্নামেন্টজুড়ে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসে ডিনার করা, একসঙ্গে সিনেমা দেখা, একসঙ্গে নামাজ পড়া—এসবে সময় দিতে হবে। মাঠে ও মাঠের বাইরে একতার ছাপ থাকতে হবে।
অধিনায়ক বাবরের চাপ কমাতে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন আফ্রিদি, ‘বাবরকে ম্যাচের চাপ সামলাতে হবে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে পিসিবির সিনিয়র কর্মকর্তাদের অধিনায়কের সঙ্গে বসে তাকে আত্মবিশ্বাস জোগাতে হবে। যাতে তার শারীরিক ভাষায় সাহসের ছাপ থাকে।’
দলের সিনিয়র ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার যাঁরা, তাঁদের সঙ্গেও বাবরকে মাঠ ও মাঠের বাইরে যথেষ্ট সময় ব্যয় করে তাঁদের উজ্জীবিত রাখারও পরামর্শ আফ্রিদির, ‘বাবরকে অবশ্যই সিনিয়রদের আমলে নিতে হবে। টুর্নামেন্টজুড়ে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসে ডিনার করা, একসঙ্গে সিনেমা দেখা, একসঙ্গে নামাজ পড়া—এসবে সময় দিতে হবে। মাঠে ও মাঠের বাইরে একতার ছাপ থাকতে হবে।’