জাকিরকে ছাপিয়ে নায়ক শাহাদাত-নজিবুল্লাহ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও দুর্দান্ত ঢাকার ম্যাচের শেষের দিকেই আজ শিশিরে ভিজে যায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রাতের ম্যাচেও ভাগ্য গড়ে দিয়েছে সেই ভেজা আউটফিল্ড। ভেজা বলের সুবিধা নিয়ে আগে ব্যাটিং করা সিলেটকে ২ উইকেটে ১৭৭ রানে নিয়ে যান জাকির হাসান।
তিনে নেমে ৪৩ বলে অপরাজিত ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রায় ১৬৩ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন জাকির।
শিশিরভেজা বলের সুবিধা পেয়েছেন রান তাড়া করা চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরাও। শুরুতে মঞ্চটা গড়ে দিয়েছেন আভিস্কা ফার্নান্ডো। ওপেনিংয়ে নামা এই শ্রীলঙ্কান ৩৯ রান করেছেন ২৩ বল খেলে, ৭টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৬৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। বাকি কাজটা করেছেন শাহাদাত হোসেন ও নজিবুল্লাহ জাদরান। দুজন মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৮ বলে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ১৮.৩ ওভারেই চট্টগ্রামের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন।
শাহাদাতের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস, ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন এই তরুণ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর প্রথম অর্ধশতক। আফগান ব্যাটসম্যান নজিবুল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬১ রান করে। সিলেটের হয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রিচার্ড এনগারাভা, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নাজমুল ইসলাম।
এর আগে রান করেছেন সিলেটের ব্যাটসম্যানরাও। দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হাসান উদ্বোধনে নেমে ৬৭ রানের জুটি গড়েছেন। নাজমুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ৭টি চারে ৩৬ রান। সেই তুলনায় দ্রুত রান তুলেছেন মিঠুন। পাওয়ারপ্লেতে ব্যাটিং করার সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে ২৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ১৪২। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার নিয়ন্ত্রণ করেছেন এই দুজনই। পরের ১০ ওভারটা একেবারেই জাকিরের। চারে নামা আইরিশ ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে ৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জাকির। ২০ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন টেক্টর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ১৭৭/২ (মিথুন ৪০, নাজমুল হোসেন ৩৬, জাকির হাসান ৭০, টেক্টর ২৬ ; নিহাদুজ্জামান ১/৩১, ক্যাম্ফার ১/৩৫)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৮.৩ ওভার ১৮০/৩ (শাহাদাত ৫৭, নজিবুল্লাহ ৬১; এনগারাভা ১/১৭, নাজমুল ১/৩০, মাশরাফি ১/২৫)
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: নজিবুল্লাহ জাদরান