বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ থেকে আইপিএল যেসব কারণে আলাদা, তার অন্যতম ভারতীয়দের অংশগ্রহণ। ভারত বাদে সব দেশের খেলোয়াড়েরাই নিজের দেশের বাইরের লিগে খেলেন। কিন্তু ভারতীয়দের আইপিএল ছাড়া অন্য কোনো লিগে খেলতে পারেন না।
ভারতীয়দের দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে না খেলা প্রসঙ্গে বীরেন্দর শেবাগ বলেছেন, ভারতের ক্রিকেটাররা ধনী। তারা গরিব দেশের লিগে খেলতে যায় না।
ভারতের সাবেক ওপেনার কথাটা বলেছেন মজা করতে গিয়ে। মূলত ভারত ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই তাদের খেলোয়াড়দের দেশের বাইরের লিগে খেলার অনুমতি দেয় না। যে কারণে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের আইপিএলের বাইরে অন্য কোনো লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও নেই। একান্তই কেউ খেলতে চাইলে অবসর নেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক উন্মুক্ত চাঁদ যেমন যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হয়েছেন, অন্য লিগে খেলার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ক্রিকেট থেকে অবসরে গেছেন।
সম্প্রতি সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন ও সাবেক অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ক্লাব প্রেইরি ফায়ার পডকাস্টে ভারতীয়দের বাইরে খেলা না-খেলার প্রসঙ্গটি তোলেন শেবাগের দীর্ঘদিনের বন্ধু গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার শেবাগকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ভবিষ্যতে ভারতীয়দের অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগে দেখা যাবে বলে তিনি আশাবাদী কি না? ভারতের হয়ে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতা এই ওপেনার তখন হাসতে হাসতে বলেন, ‘না, সেটার দরকারও নাই। আমরা ধনী মানুষ। গরিব দেশে খেলতে যাওয়ার দরকার নেই।’
নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ঘটনারও উল্লেখ করেন শেবাগ। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের ডাক টাকার কারণে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ভারত দল থেকে বাদ পড়ি, ওই সময়ের একটা ঘটনা এখনো আমার মনে পড়ে। আমি তখন আইপিএল খেলছিলাম। বিগ ব্যাশের প্রস্তাব আসল, আমি খেলব কি না। আমি বললাম, খেলব। কত টাকা দেবে। ওরা বলল, ১ লাখ ডলার। আমি তখন বললাম, এই টাকা তো আমি ঘুরতে গিয়েই খরচ করি। এমনকি গতকাল রাতেও এক লাখ ডলারের বেশি বিল দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে শেবাগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার আরেকটি ঘটনাও উঠে আসে। স্কাই স্পোর্টসের সেই প্রস্তাবের কথা তুলে ধরতে গিয়ে শেবাগ বলেন, ‘একবার স্কাই স্পোর্টস থেকে বলল, আমাকে তাদের প্যানেলে নিতে চায়। আমি বললাম, তোমরা খরচ কুলিয়ে উঠতে পারবে না। ওরা বলল, তুমি কত চাও? আমি জানালাম, প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার পাউন্ড করে দিতে হবে। ওরা তখন বলল, “হ্যাঁ, তুমিই ঠিক। আমরা এত টাকা দিতে পারব না।”’