পাকিস্তানের উৎসবের দিনে নিউজিল্যান্ডের দুই সেঞ্চুরি
আবরার আহমেদকে সুইপ করে এক রান নিতেই পূর্ণ হলো সেঞ্চুরি। অপর প্রান্তে ব্যাট করা টম ল্যাথাম এসে জড়িয়ে ধরলেন উইল ইয়াংকে। সেঞ্চুরিটা তিনি করেছেন দলকে শুরু থেকে টেনে এনেই, তবে ৯৯ রানে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে চার বল। এরপর যখন তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে ইয়াংয়ের মুখে ছিল হাসি।
পরে অবশ্য সেঞ্চুরির আনন্দে মেতেছেন ল্যাথামও। দুজনের সেঞ্চুরিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩২০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট শুরুর ম্যাচেই পাকিস্তানকে জয়ের জন্য ওভারপ্রতি ৬-এর বেশি হারে রান তুলতে হবে।
করাচিতে দিনের শুরুটা অবশ্য পাকিস্তানের জন্য আনন্দেরই বেশি ছিল। খেলার কারণে যে নয়, তা বোঝা বোধ করি খুব একটা মুশকিল হওয়ার কথা নয়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়েই ২৯ বছর পর পাকিস্তানে আইসিসির টুর্নামেন্ট ফিরেছে। এই আয়োজন ঘিরে ক’দিন ধরেই পাকিস্তানে উৎসবের আবহ। তার ছাপ থাকল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুর দিনেও—পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এলেন, বিমানবাহিনীর সৌজন্যে আকাশেও হলো রঙের খেলা।
এরপর খেলার মাঠেও টসও জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিউইরা ব্যাটিংয়ে নামার পর ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ডেভন কনওয়ে ফেরার চার বল পরই আউট হন কেইন উইলিয়ামসন। এর আগেই অবশ্য একটা দুঃসংবাদ যোগ হয় পাকিস্তানের—ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোটে পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান ফখর জামান। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য মাঠে ফিরেছেন তিনি।
পাকিস্তানকে এরপর ভুগিয়েছে ইয়াং-কনওয়ে জুটি। ১২৬ বলে ১১৮ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়ার ভিত গড়ে দেয়। ইয়াং অবশ্য বিদেশের মাটিতে নিজের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর ১১৩ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১০৭ রান করে আউট হয়ে যান।
পরের পথটুকুতে কিউইদের এগিয়ে নেন ল্যাথাম। ইয়াংয়ের পর সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি, নিউজিল্যান্ডের রান নিয়ে যান তিন শ ছাড়িয়ে। ১০৪ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ল্যাথাম। ৭৪ বলে তার সঙ্গে গ্লেন ফিলিপসের ১২৫ রানের জুটি ভাঙে ইনিংস শেষের দুই বল আগে।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। নাসিমের খরচ ৬৩ রান হলেও হারিসের ১০ ওভারে খরচ ৮৩ রান।