শ্রীলঙ্কার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল আইসিসি

কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কার্যালয়, আজ আইসিসি তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেএএফপি

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে আইসিসি। এখন থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

গত নভেম্বরে বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে এসএলসিকে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। সদস্য হিসেবে নিয়ম ভাঙা, বিশেষ করে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রভাবমুক্ত হয়ে কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

আইসিসি জানিয়েছে, এর পর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে আইসিসির বোর্ড। এখন আর সদস্যপদের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করছে না তারা, সে ব্যাপারে আইসিসির বোর্ড সন্তুষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন

প্রাথমিকভাবে যখন শ্রীলঙ্কার সদস্যপদ স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়, সেটিকে ভাবা হচ্ছিল বোর্ডটির প্রতি আইসিসির এক রকম সতর্কতা হিসেবেই। তবে পরে ইএসপিএনক্রিকইনফো জানায়, মূলত এসএলসিই আইসিসিকে এমন নিষেধাজ্ঞা দিতে বলেছে, যাতে শ্রীলঙ্কা সরকারের হস্তক্ষেপ তারা সহ্য করবে না, সে বার্তা যায়।

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি
এএফপি

মূলত গত নভেম্বরে স্থূল দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে তখনকার ক্রীড়ামন্ত্রী রানাসিংহে বরখাস্ত করার পরই ঘটনার শুরু। আগের বোর্ডকে বরখাস্ত করে সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে চেয়ারম্যান করে বোর্ডে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু শ্রীলঙ্কার আপিল আদালত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কার্যক্রম দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। তবে যখন আইসিসির নিষেধাজ্ঞা আসে, তখন এসএলসির মূল বোর্ডই কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।

আরও পড়ুন

নিষেধাজ্ঞার সময় শ্রীলঙ্কাকে সব পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সীমিত ওভারের সিরিজও খেলেছে তারা। তবে নিষেধাজ্ঞার পর আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এ সময়ে শর্ত সাপেক্ষে আইসিসির ফান্ডিং দেওয়ার কথাও বলা হয় বোর্ডটিকে।

এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে ঘিরে দেশটিতে বেশ একটা পালাবদল ঘটে গেছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বরখাস্ত হয়েছেন রানাসিংহে। এরপর গত মাসে এসএলসিকে বরখাস্ত করার সরকারি সিদ্ধান্ত তুলে নেন দেশটির নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্ডো। তখন বলা হয়েছিল, আইসিসি যাতে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাঁর সিদ্ধান্ত সেটিরই একটি প্রচেষ্টা।

সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয় পূর্ণ সদস্য হিসেবে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১৯ সালে একই কারণে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি।

আরও পড়ুন