জাতীয় ক্রিকেট লিগ
১৮১ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে রাজশাহীকে হারাল ঢাকা বিভাগ
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে রাজশাহী বিভাগকে দুই দিনের মধ্যেই ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। দলটির হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার এনামুল হক। ৫ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের পেসার রেজাউর রহমানও। সেঞ্চুরি করেছেন চট্টগ্রামের পারভেজ হোসেন। একই ম্যাচে খুলনার হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা।
রাজশাহীর লজ্জার হার
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহীর হার নিশ্চয়ই হয়ে গিয়েছিল গতকালই। প্রথম দিনের খেলায় আগে ব্যাট করতে নেমে জাতীয় লিগে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ৪২ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। ঢাকার সুমন খান হ্যাটট্রিকসহ নিয়েছেন ৭ উইকেট। জবাবে ঢাকার ব্যাটিংও খুব একটা ভালো হয়নি। তবে যা করেছে, তা ইনিংস জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল।
জিশান আলমের ৪৪ ও রনি তালুকদারের ৪০ রানের সৌজন্যে ঢাকা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৮১ রান করে। ১৩৯ রানের পিছিয়ে থাকা রাজশাহী তাদের দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঢাকার আরেক পেসার এনামুল হক ৫ উইকেট নিলে রাজশাহী অলআউট হয় ১২৮ রানে। ঢাকা শেষ পর্যন্ত ইনিংস ও ১১ রানের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে। ম্যাচসেরা হয়েছেন সুমন।
অবশেষে রেজাউরের ৫ উইকেট
ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে ফেরার পর থেকেই জাতীয় লিগে দারুণ ফর্মে আছেন সিলেট বিভাগের পেসার রেজাউর রহমান। এখন পর্যন্ত ৩টি ম্যাচের ৬ ইনিংসের মধ্যে ৫ ইনিংসেই ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ষষ্ঠ রাউন্ডে এসে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর তৃতীয় ৫ উইকেট। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে বরিশালের ইনিংস থেমেছে ৩০৪ রানে। জবাবে তিন ফিফটিতে দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেট করেছে ৬ উইকেটে ২১৭ রান। তিনে নামা মুবিন আহমেদ ৫৩ রান করে আউট হয়েছেন। ফর্মে থাকা সিলেটের অধিনায়ক অমিত হাসান ৫৬ রানে থেমেছেন। ৫৩ রান করে আউট হয়েছেন নাসুম আহমেদ।
পারভেজের সেঞ্চুরি, মেহেদীর ৫ উইকেট
সিলেট স্টেডিয়ামের পাশের মাঠে খুলনা ও চট্টগ্রামের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ৪০ রানে এগিয়ে আছে খুলনা। গতকাল নাঈম হাসান ৫ উইকেট নিলে খুলনা অলআউট হয় ২০৪ রানে। জবাবে আজ চট্টগ্রামকে ১৬ রানের লিড এনে দেন পারভেজ হোসেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৫তম ম্যাচে এসে তিনি প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। সেঞ্চুরিটি এসেছেও সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। ১৩৯ বল খেলে ১০৭ রানে থামেন এই বাঁহাতি ওপেনার। খুলনার হয়ে লড়াই করেছেন বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা, নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৪ উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার মাসুম খান। খুলনা দিন শেষে ১ উইকেটে করেছে ৫৬ রান। এনামুল ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন।
নাঈম থামলেন ১৮০ রানে
কক্সবাজার মানেই বড় রান। জাতীয় লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে ঢাকা মহানগর ও রংপুর বিভাগের ম্যাচে তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। আগের দিন ঢাকা মহানগরের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ১৫৩ রানে দিন শেষ করেন। আজ তাঁর ইনিংস থেমেছে ক্যারিয়ারসেরা ১৮০ রানে। এরপর লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সৌজন্যে ৪৭৫ রানে থামে দলটি। জবাবে রংপুরের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ২ রানে দুই ওপেনার খালিদ হাসান ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। অধিনায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও নাঈম ইসলাম জুটি গড়ে দলীয় ৩২ রানে দিনের খেলা শেষ করেন। মহানগর এগিয়ে আছে ৪৪৩ রানে।