আকরাম–আফ্রিদিরা বাক্হীন, আমিরের তোপ রমিজকে
শেষে কি না এই লেখা ছিল পাকিস্তানের ভাগ্যে! ভারতের পর তারা হেরে গেল জিম্বাবুয়ের কাছেও। টানা দুটি হারের পর কেউ কেউ পাকিস্তানের সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কা দেখছেন। আর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা তো এই হার মেনেই নিতে পারছেন না।
কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ও সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি তো হতাশা প্রকাশের ভাষাই হারিয়ে ফেলেছেন। আর ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির তো ধুয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান রমিজ রাজাকে।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ ওভারে মাত্র ১৩০ রানই তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু পার্থে কাল এই রান টপকে যেতে পারেনি পাকিস্তান। ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান। শেষ বলে গড়ানো ম্যাচে ১ রানের এই হারে হৃদয় ভেঙে গেছে আকরাম–আফ্রিদিদের।
ওই হারের পর আকরাম টুইট করেছেন, ‘কী হতাশা!’ আফ্রিদির টুইটটা ছিল এ রকম, ‘এটাকে অঘটন বলতে পারছি না। ম্যাচটি দেখে থাকলে আপনি দেখবেন, জিম্বাবুয়ে প্রথম বল থেকেই শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেছে। এরপর তারা দেখিয়েছে ব্যাটিং পিচেও কীভাবে কম রানের সংগ্রহ ডিফেন্ড করতে হয়।’
মোহাম্মদ হাফিজ তাঁর হতাশা প্রকাশ করেছেন এক শব্দে, ‘বাক্হীন’। ওয়াহাব রিয়াজ লিখেছেন দুটি শব্দ, ‘হৃদয় ভাঙল’।
হতাশ আমিরও। সেই হতাশা রূপ নিয়েছে ক্ষোভে। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলারের সব ক্ষোভ পিসিবির প্রধান রমিজ রাজার ওপর। রীতিমতো তিনি ধুয়ে দিয়েছেন রমিজকে, ‘আমি তো প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি, বাজে দল নির্বাচন। এর দায় কে নেবে? আমার তো মনে হয় তথাকথিত পিসিবি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় এসে গেছে। যিনি কি না নিজেকে ঈশ্বর ভাবেন।’
আমির চটেছেন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমের ওপরও, ‘তথাকথিত প্রধান নির্বাচকের হাত থেকেও উদ্ধার পাওয়ার সময় এসে গেছে আমাদের।’ এই হারে অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি পাকিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার আশা। তবে শঙ্কা তো থাকছেই।
পাকিস্তানের সেমিফাইনালে খেলা এখন অনেকটাই সমীকরণের মারপ্যাঁচে বন্দী। সুপার টুয়েলভের গ্রুপ দুইয়ে এখন পর্যন্ত সব দল দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। দুই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্টও পায়নি বাবর আজমের দল। সেমিফাইনাল খেলতে হলে পাকিস্তানের বাকি তিন ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, চেয়ে থাকতে হবে ভারত ও জিম্বাবুয়ের দিকে।
পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে খেলতে হলে ভারতের জিততে হবে বাকি তিন ম্যাচেই, তা–ও বড় ব্যবধানে। জিম্বাবুয়ের বাকি থাকা তিন ম্যাচে হারতে হবে অন্তত দুটিতে।