একাদশে না থেকেও নেতৃত্ব দিয়ে বিতর্কে রিজওয়ান
প্রায় চার বছর পাকিস্তানের টেস্ট একাদশের বাইরে ছিলেন সরফরাজ আহমেদ। পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড ও নির্বাচক প্যানেলে বড় রদবদলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়ে কপাল খুলেছে এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানের।
সরফরাজ ফেরায় জায়গা হারাতে হয় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। তবে একাদশে জায়গা না পেলেও করাচি টেস্টের তৃতীয় দিনে বিতর্কে জড়িয়েছেন রিজওয়ান। একাদশে না থেকেও অধিনায়কত্ব করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন রিজওয়ান।
ভাইরাল সংক্রমণের কারণে এদিন লাঞ্চের আগ পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক বাবর। তাঁর পরিবর্তে ফিল্ডিং করতে মাঠে নামেন রিজওয়ান। বদলি হিসেবে নেমে বল করার সুযোগ না পেলেও ঠিকই নেতৃত্বে দেখা যায় এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানকে।
মাঠে তখন রিজওয়ানকে ফিল্ডারদের জায়গা পরিবর্তনের নির্দেশ দিতেও দেখা যায়। দলের সহ–অধিনায়ক হওয়ার কারণে মূলত তাঁর ওপর নেতৃত্বের ভার দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরফরাজ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানানো হয়েছিল।
তবে নিয়ম বলছে, একজন বদলি খেলোয়াড় কখনো নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। এমনকি উইকেট কিপিং করতে হলেও আম্পায়ারের অনুমতি নিতে হবে তাঁকে। যে কারণে রিজওয়ানের নেতৃত্বে বাগড়া দিতে দেরি করেনি ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ার।
পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টকে জানানো হয়, বদলি খেলোয়াড় নেতৃত্ব দিতে পারবেন না এবং নেতৃত্ব কার কাঁধে, তা–ও স্পষ্ট করতে হবে। তখন পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বলা হয়, রিজওয়ান নয়, দলের অধিনায়ক সরফরাজ।
সব মিলিয়ে পিসিবিতে বড় পরিবর্তন এখন রিজওয়ান ও সরফরাজকে মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ দেখাচ্ছে। যে সরফরাজ কদিন আগেও সেভাবে আলোচনায় ছিলেন না, তিনিই এখন উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে নেতৃত্বও দিচ্ছেন।
অন্যদিকে পাকিস্তান দলে কদিন আগেও আস্থার প্রতীক হয়ে থাকা রিজওয়ান একাদশে জায়গা হারানোর সঙ্গে নেতৃত্ব নিয়েও পড়েছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। অন্যদিকে জানা গেছে, শুধু বাবরই নন, শান মাসুদ ও আগা সালমানও ভাইরাল ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন।