ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি: ওরা ১৮ জনের মধ্যে যেখানে এগিয়ে জাঙ্গু
ওয়ার্নার পার্কে গতকাল রাত। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়া করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েই দারুণ এক তালিকায় নাম লেখান আমির জাঙ্গু। ওয়ানডে অভিষেকে ১৮তম খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ক্যারিবিয়ান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ওয়ানডে সংস্করণের ম্যাচ খেলা হয় ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি। তারপর এই ৫৩ বছরে ৪৮১৫টি ওয়ানডে খেলা হয়েছে, যেখানে এই সংস্করণে অভিষেকে সেঞ্চুরির নজির মাত্র ১৮ বার। অর্জনটি কতটা ‘স্পেশাল’ এতেই বোঝা যায়। ওয়ানডে খেলা এ পর্যন্ত ৩১০৪ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত এই ১৮ খেলোয়াড় তাই বিশেষ।
ওয়ানডে ক্রিকেট যাত্রা শুরুর পরের বছরই এই সংস্করণে (দ্বিতীয় ওয়ানডে) অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিস। ছয় বছর পর ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ডেসমন্ড হেইন্সের কাছ থেকে দেখা গেল দ্বিতীয়টি। ১৯৭৮ সালে হেইন্সের সেঞ্চুরির পর ২০০০ সাল আসার আগে একই নজির দেখা গেছে আরও দুটি। ১৯৯২ সালে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও ১৯৯৫ সালে সেলিম এলাহী অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন। অর্থাৎ ২০০০ সালের আগে ওয়ানডে সংস্করণ শুরুর ২৯ বছরে অভিষেকে সেঞ্চুরি ছিল চারটি। কিন্তু ২০০০ থেকে এই ২৪ বছরে ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি দেখা গেছে ১৪টি।
হেইন্সের সেঞ্চুরির ৪৬ বছর পর দ্বিতীয় ক্যারিবিয়ান হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি করলেন জাঙ্গু। ১৮ জনের তালিকায় তিনি সর্বশেষ। আর সে তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের সর্বোচ্চ তিন খেলোয়াড় অভিষেকে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের দুজন করে খেলোয়াড় আছেন এই তালিকায়। বাকি ছয়জন ছয়টি দেশের—অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, হংকং, স্কটল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। তবে এই ১৮ জনের মধ্যে একজন ব্যতিক্রম এবং এগিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজ। ২০১৪ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে হিউজ সবার আগে পাড়ি জমিয়েছেন না–ফেরার দেশে।
জাঙ্গুও একটি জায়গায় এগিয়ে। ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরিয়ানদের মধ্যে তাঁর স্ট্রাইক রেটই (১২৫.৩০) সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তি ফ্লাওয়ারের (৭৫.৬৫)। সবচেয়ে বেশি ছক্কা আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজের (৯)।