মূল বিশ্বকাপে ‘স্পেশাল’ কিছুর আশায় নাজমুল

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনপ্রথম আলো

যুক্তরাষ্ট্রে এখনো আনন্দের কোনো স্মৃতি তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রস্তুতি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হার। এরপর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া, যেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরই বিপক্ষে। গতকাল শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে উড়ে যাওয়া—মার্কিন মুলুকে এখন পর্যন্ত নাজমুল হোসেনদের ঠিকুজি সারসংক্ষেপ এ রকমই।

ভারতের কাছে কাল প্রস্তুতি ম্যাচে ৬০ রানে হারার পর অবশ্য বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল আশার কথাই শোনালেন। মূল বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচে কাল টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান তুলেছে। জবাবে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা হয়েছে গড়পড়তারও নিচের মানের। ২০ ওভার টিকে থাকলেও ৯ উইকেটে মাত্র ১২২ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন
নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ার্মআপ ম্যাচের টসে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা
বিসিসিআই

ম্যাচ শেষে নাজমুল বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না (পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু হয়েছে)। কিন্তু বোলাররা দারুণ করেছে। শরীফুল ও রিশাদ যেভাবে ওই দুই ওভার বোলিং করেছে, সেটা নিয়ে সত্যিই খুশি। কিন্তু আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। আশা করি, বিশ্বকাপের মূল খেলায় স্পেশাল কিছু করব।’

প্রস্তুতি ভালো না হলেও মূল বিশ্বকাপে কীভাবে ভালো করবে বাংলাদেশ। নাজমুল এটারও একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘আগে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা সবাই জানি আমাদের সামর্থ্য কতটা। আমাদের সাহসী হতে হবে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও চোটের কারণে প্রস্তুতি সিরিজে খেলেননি তাসকিন, কালও ছিলেন না এই পেসার। ভারতের বিপক্ষে কাল আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকেও বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ দল। এ দুজন একাদশে ফিরলে বিষয়টি অন্য রকম হবে বলেও মনে করেন নাজমুল, ‘তাসকিন ও মোস্তাফিজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা দুজন যখন ফিরবে, তখন ভিন্ন কিছু হবে।’

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ, ‘আমার মনে হয়, সবাই প্রথম ম্যাচটা খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য মাঝে আমাদের হাতে সাত দিন সময় আছে।’