৭ ওভারেই প্রায় অলআউট পাকিস্তান
৪২ বলে ৯৪ রান, বৃষ্টির কারণে ৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লক্ষ্যটা বেশ বড়ই হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান দলের জন্য। তার ওপর পাকিস্তানের এই টি-টোয়েন্টি দলে ওই অর্থে হার্ড হিটার বলতে কেউ নেই। বাবর আজমরাও চরিত্রের বাইরে গিয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি।
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ পাকিস্তান হেরে গেছে ২৯ রানে। ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৯ উইকেটে ৬৪ রানে। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
৭ ওভারে ৯৪ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য আশা জাগানিয়াই ছিল। প্রথম দুই বলে শাহিবজাদা ফারহান মারেন দুই চার। তবে ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন এই ওপেনার। এরপর থেকে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানেরা আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। প্রথম ৩ ওভারেই ৫ উইকেট নেই, রান উঠে মাত্র ২০।
এরপর আসলে শুধু ম্যাচ শেষের আনুষ্ঠানিকতাই বাকি ছিল। পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। অধিনায়ক রিজওয়ান আউট হয়েছেন শূন্য করে। বাবর করেছেন ৩। দলের সর্বোচ্চ রান এসেছে পেসার আব্বাস আফ্রিদির ব্যাটে, ১০ বলে করেছেন ২০। ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাথান এলিস।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারে তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। নাসিমের ওভারের প্রথম বলে জ্যাক ফ্রেসার ম্যাগার্কের আউটের পরও অস্ট্রেলিয়া এই ওভারে ১৭ রান তোলে। কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ইনিংসের প্রথম বলে রিভার্স সুইপে চার মারা ম্যাক্সওয়েল সেই ওভারেই ৪ মারেন ৪টি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটি মূলত টেনেছেন তিনিই।
ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থ হওয়া ব্যাটসম্যান করেছেন ১৯ বলে ৪৩। ম্যাক্সওয়েল ছাড়া মার্কাস স্টায়নিসের ইনিংসও অস্ট্রেলিয়াকে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে সাহায্য করেছে। নাসিমের শেষ ওভারে ২০ রানসহ তিনি করেছেন ৭ বলে ২১। ২ ওভারে ৩৭ রান দিয়েছেন নাসিম। হারিস দিয়েছেন ২ ওভারে ২১ রান। আফ্রিদি ২ ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৭ ওভারে ৯৪ (ম্যাক্সওয়েল ৪৩, স্টয়নিস ২১; আফ্রিদি ১/৯, রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৭ ওভারে ৬৪/৯( আফ্রিদি ২০*, হাসিবউল্লাহ ১২; অ্যালিস ৩/৯, বার্টলেট ৩/১৩)