ভারতের বোলারদের প্রতি জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন সুরেশ রায়না। আর জাগিয়ে তুলতে ‘বিপদের ঘণ্টা’ বাজিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
আরেকটু বুঝিয়ে বলা যায়। অ্যাডিলেড ওভালে কাল ভারত বাংলাদেশকে হারিয়েছে ঠিকই, তবে বৃষ্টি নামার আগে বেধড়ক মার খেয়েছেন অর্শদীপ সিং, মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বাকি পথটুকুর জন্য এটাকে ‘ওয়ার্নিং বেল’ হিসেবেই মনে করছেন রায়না।
ভারতের ৬ উইকেটে ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস একাই ২৬ বলে ৫৯ রান তুলে ফেলেন। বাংলাদেশের এই ওপেনারের সামনে অসহায় লেগেছে ভারতের পেসারদের। স্ট্রোক খেলেছেন উইকেটের চারপাশে।
পুল, ড্রাইভ ও কাটে শামি-ভুবিদের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছিলেন লিটন। কিন্তু বৃষ্টি নামায় ৭ ওভার পরই খেলা বন্ধ হয়। এরপর বৃষ্টি থামলে ডি/এল নিয়মে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হয়, ১৬ ওভারে ১৫১ রান করতে হবে। অষ্টম ওভারে লিটন আউট হওয়ার পর দ্রুত আরও কিছু উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ডি/এল নিয়মে হারতে হয় ৫ রানের ব্যবধানে।
ভারতের হয়ে ২২৬ ওয়ানডে, ৭৮ টি-টোয়েন্টি ও ১৭ টেস্ট খেলা রায়না সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত সেপ্টেম্বরে। খেলা ছাড়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিশেষজ্ঞ মতামত দেন বাঁহাতি এই সাবেক ব্যাটসম্যান।
কাল ম্যাচের পর ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘আজতক’-এ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করেছেন রায়না, ‘বাংলাদেশ যেভাবে লড়াই করেছে, বৃষ্টি হানা না দিলে ম্যাচটা তাদের নাগালেই ছিল। প্রথম ৭ ওভারে ভারতের বোলিং (উইকেটের) চারপাশেই মার খেয়েছে, যেটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা বলেই মনে করি। আমরা হয়তো জিতেছি, তবে রোহিত শর্মাও কিন্তু ম্যাচ শেষে স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। ভারত আরও ভালো খেলতে চাইলে এটা কিন্তু আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে পারফর্ম করতে হবে, যেখানে প্রতিপক্ষ দলগুলো আরও নিখুঁত হবে।’
বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে প্রথম (ইনিংসের অষ্টম ওভার) ওভারেই রানআউটের শিকার হন লিটন। ২ রান নিতে গিয়ে লোকেশ রাহুলের সরাসরি থ্রোয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় তাঁকে। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ২৭ বলে ৬০ রান করেন লিটন। ওপেনিং জুটিতে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ৪৪ বলে ৬৮ রানের জুটিতে লিটনের একার অবদানই ৬০।
কিন্তু লিটন আউট হওয়ার পর মাঝে বাংলাদেশ আর জুটি গড়েত পারেনি। সপ্তম উইকেটে তাসকিন ও নুরুল ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়ে ওঠেনি।