টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেশে অনুষ্ঠিত না হওয়ায় হতাশ নিগাররা, জানালেন হাবিবুল
ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে না পারায় হতাশ বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটাররা। আজ বিসিবির নারী বিভাগের হেড অব অপারেশনস হাবিবুল বাশার সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানান। তবে আইসিসি বিশ্বকাপের ভেন্যু বদলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে গেলেও নিগারদের প্রস্তুতিতে খুব একটা ক্ষতি হচ্ছে না বলে মনে করেন হাবিবুল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুল বলেছেন, ‘প্রস্তুতির ক্ষতি খুব একটা হচ্ছে না। আমরা বিশ্বকাপকে ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মেয়েদের ওয়ান টু ওয়ান অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।
আমাদের স্থানীয় কোচরা ছিলেন। কোচিং স্টাফ চলে এসেছে। এনসিএলটা আমাদের প্রস্তুতির অংশ। তারপর আমরা শ্রীলঙ্কাতে “এ” দল পাঠাব। সেটাও আমাদের প্রস্তুতির অংশ। বিশ্বকাপ না হওয়ায় যেটা হলো, সবারই ইচ্ছা থাকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা। মেয়েদের অনেকেরই সে স্বপ্ন ছিল। এ জন্য ওরা একটু হতাশ। আমরা অবশ্যই ঘরের মাঠের কন্ডিশন মিস করব।’
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট লিগ। ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ৮ দলের এই টুর্নামেন্ট। এরপর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ‘এ’ দলের মোড়কে জাতীয় দল শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে। সেখানে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি ওয়ানডে খেলবেন নিগাররা।
রাজশাহীতে জাতীয় লিগ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির ব্যাপারে হাবিবুল বলেছেন, ‘রাজশাহীতে উইকেট ভালো। মেয়েরা যেন ভালো উইকেটে খেলতে পারে, স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে পারে, আমরা এটাই চাই। আর এ সময় যেহেতু বৃষ্টির সময়, রাজশাহীর দিকে বৃষ্টিটা একটু কম হয়। দুটি মাঠ পাওয়া যায়। টুর্নামেন্টটা শেষ করতে হবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এটা যেহেতু আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্ততির অংশ। এ জন্যই রাজশাহীতে খেলা দেওয়া।’ পরে যোগ করেন, ‘যাদের নিয়ে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করব, তাদের নিয়েই “এ” দলটা সাজাব।’
নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের প্রসঙ্গও এসেছে সংবাদ সম্মেলনে। এর আগে ফারুক আহমেদের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে হাবিবুলের। নতুন বোর্ড সভাপতি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিবুল বলেন, ‘ফারুক ভাইয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, তিনি ভেতর-বাহির দুটিই জানেন। ক্রিকেটটা খেলেছেন। নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন। বোর্ডের সঙ্গেও কাজ করেছেন। পরে অনেক কিছু দেখেছেন। তিনি ভেতর-বাহিরের সবকিছু জানেন। এটা অনেক বড় সুবিধা।’