কামিন্সের ‘আধা ঘণ্টা পরপরই মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ জিতেছেন’
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়কে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উপহার বলেই মনে হচ্ছে প্যাট কামিন্সের। সিডনি বিমানবন্দরে অবতরণের পর এ কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই বেশির ভাগ সময় সফরে কেটেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। ভারত ও ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলেছেন। গত জুনে ভারতের বিপক্ষে জিতেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। এরপর মর্যাদার অ্যাশেজ ধরে রাখাও নিশ্চিত করেছে কামিন্সের দল। এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের মূল খেলোয়াড়েরাও ছিলেন। তবে বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বড় ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে ফাইনালসহ টানা ৯ ম্যাচ জিতে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ নিজেদের ঘুরে তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার কিছু খেলোয়াড় আজই দেশে ফিরেছেন। তাঁদের দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি ঢাকা পড়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে। সিডনি বিমানবন্দরে চশমা পরা কামিন্স বলেছেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টা পরপরই মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ জিতেছি এবং তাতে আবারও উত্তেজিত হয়ে উঠছি। আমরা এখনো (এই জয়ে) মোহগ্রস্ত হয়ে আছি।’
কামিন্স এরপর বলেছেন, ‘বছরটা আমাদের জন্য দারুণ। সেখানে বিশ্বকাপ জয়ই শীর্ষবিন্দু এবং সেটা অসাধারণ ব্যাপার। আমার মনে হয়, খেলোয়াড়েরা নিজেদের লিগ্যাসি তৈরি করেছে। বিশ্বকাপে চার বছর পরপর খেলার সুযোগ পাওয়া যায় আর সেটা ভারতে হওয়া মানে কঠিন টুর্নামেন্ট। অ্যাশেজ জয় এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যোগ করে বলা যায়, এর চেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না। আমরা খুবই তৃপ্ত।’
বিশ্বকাপ শেষে কিছুদিন বিশ্রামের সময় পাচ্ছেন কামিন্স। সামনে তাঁর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট, যেটি আগামী ১৪ ডিসেম্বর পার্থে শুরু হবে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলে এমন পাঁচ খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাবেন না। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে মাঠে নামতে হবে তাঁদের। বিশ্বকাপের ফাইনালে শতক তুলে নেওয়া ওপেনার ট্রাভিস হেডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়েছে।
তবে হেড এই সিরিজে খেলতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন অস্ট্রেলিয়া দলের অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। মেলবোর্নে সংবাদকর্মীদের বলেছেন, ‘হেড সবার বিবেচনাতেই ছিল। তবে আমি নিশ্চিত নই, সে খেলতে পারবে কি না। আমি নির্বাচক কিংবা কোচ নই, তবে সে খেললে সেটি হবে অলৌকিক ব্যাপার।’
মার্শ নিজেই বিশ্রামে থাকবেন। তবে আসছে গ্রীষ্মে টেস্ট দলে জায়গা পেতে তাঁকে আরেক অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। মার্শ বলেছেন, ‘কিছুদিনের জন্য সব বন্ধ। বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটিয়ে গ্রীষ্মের প্রস্তুতি নিতে চাই।’