নিজেকেই ‘দোষী’ বললেন নাজমুল
৫ উইকেটে ৭১ রান থেকে শেষ পর্যন্ত ২৩৫ রানের সংগ্রহ। অন্যদিকে ২ উইকেটে ১২০ থেকে ১৪৩ রানে অলআউট। আজ বৃহস্পতিবার শারজায় এমন ভিন্ন দুটি চিত্রই দেখা গেছে আফগানিস্তান–বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে। শুরুর ব্যাটিং–বিপর্যয় কাটিয়ে আফগানিস্তান যেখানে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেখানে জয়ের পথে থাকা বাংলাদেশ দেখেছে আকস্মিক ভরাডুবি।
মাত্র ২৩ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারিয়েছে শেষ ৮ উইকেট, হারের ব্যবধান ৯২ রান। অবিশ্বাস্যই বলা যায়! ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন হারের দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন। বলেছেন, তাঁর আউটটাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। পাশাপাশি আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান ও বোলারদেরও প্রশংসা করেছেন নাজমুল।
বল হাতে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দ্রুত ৫ উইকেট নিয়ে চাপেও ফেলেছিল আফগানদের। কিন্তু এরপরই দারুণ এক জুটিতে জবাব দিতে শুরু করেন হাশমতউল্লাহ শহীদি ও মোহাম্মদ নবী। এই দুজনের ১২২ বলে ১০৪ রানের জুটিতেই লড়াইয়ের ভিত পায় আফগানরা।
ম্যাচ শেষে আফগান ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করে নাজমুল বলেছেন, ‘প্রথম ১৫–২০ ওভার আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় নিজেদের পরিকল্পনা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। নবী দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমাদের খুব বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। উইকেট বোলারদের যথেষ্ট সহায়তা করেছে। কিন্তু শহীদি ও নবী খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে।’
আফগানিস্তানের করা ২৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে জয়ের ভিত ঠিকই পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। টপঅর্ডারে সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ভালো শুরু এনে দেন। কিন্তু এরপরই গজনফরের ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে কোনো চ্যালেঞ্জ না দিয়েই অসহায় আত্মসমর্পণ করেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। ৪৭ রান করে তাঁর আউটের পরই যে পথ হারায় বাংলাদেশ!
ম্যাচ শেষে নাজমুল বলেছেন, ‘আমার উইকেটটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি থিতু ব্যাটসম্যান ছিলাম, আমার ইনিংস আরও লম্বা হওয়া উচিত ছিল। আফগানিস্তানের সব সময় রহস্য স্পিনার থাকে। আজ সেও (গজনফর) খুব ভালো বোলিং করেছে। আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। কিন্তু দিনটা আমাদের ছিল না। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’